ফের রায়দিঘিতে ট্রলার ডুবির ঘটনা, বঙ্গোপসাগরে প্রাণে বাঁচলেন ১৩ মৎস্যজীবী

- আপডেট : ৫ জুলাই ২০২৫, শনিবার
- / 82
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: আবারও বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে গেল একটি মৎস্যজীবীদের ট্রলার। শুক্রবার দুপুরে রায়দিঘি ঘাটের অদূরে ভয়াবহ এই ট্রলার দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রলারটিতে থাকা ১৩ জন মৎস্যজীবীকে পাশের অন্য ট্রলারগুলি তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধার করে, যার ফলে বড়সড় প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
এফবি ভাইভাই নামে একটি ট্রলার, যেটি ১৩ জন মৎস্যজীবী নিয়ে গভীর সমুদ্রে ইলিশ ধরতে গিয়েছিল, তা শুক্রবার দুপুরে জম্বুদ্বীপ থেকে পশ্চিম-দক্ষিণ দিকে বঙ্গোপসাগরে উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে।
জালে প্রচুর ইলিশ ওঠার পর, মৎস্যজীবীরা ঘাটে ফিরছিলেন। তখনই আচমকা ফেটে যায় ট্রলারের পাটাতন। জল ঢুকতে শুরু করে দ্রুত, আর মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই ডুবে যেতে থাকে ট্রলারটি।
চিৎকার শুনে পাশে থাকা আরও দুটি ট্রলার দ্রুত ছুটে আসে এবং সমস্ত ১৩ জন মৎস্যজীবীকেই উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। স্থানীয় মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে তুলতে ইতিমধ্যেই কয়েকটি উদ্ধারকারী ট্রলার বঙ্গোপসাগরে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনার পর রায়দিঘি এলাকার মৎস্যজীবীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁদের প্রশ্ন, কীভাবে একের পর এক ট্রলার দুর্ঘটনা ঘটছে এবং কেন এখনও পর্যন্ত কোনও স্থায়ী নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়নি?
শুধু এই একটি ঘটনাই নয়, কয়েকদিন আগেই নামখানা থেকে রওনা দেওয়া দু’টি ট্রলারও একই ধরনের দুর্ঘটনার মুখে পড়ে।
সৌভাগ্যবশত, সেখানেও প্রাণহানি হয়নি, তবে ট্রলারগুলির মারাত্মক ক্ষতি হয়।
মৎস্যজীবীদের দাবি, প্রতিটি ট্রলারে নিরাপত্তা যন্ত্র, লাইফ জ্যাকেট এবং জলরোধী সরঞ্জাম বাধ্যতামূলক করা হোক।এছাড়া, মেরামতযোগ্যতা যাচাই করে তবেই ট্রলার সমুদ্রে নামার অনুমতি দেওয়া হোক।
রাজ্য মৎস্য দফতর এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীকে বেআইনি বা দুর্বল কাঠামোর ট্রলারগুলির উপর কঠোর নজরদারি চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন অনেকেই।