১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাতারের সঙ্গে ২৪৩.৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি ঘোষণা ট্রাম্পের

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৬ মে ২০২৫, শুক্রবার
  • / 545

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কাতারের সঙ্গে আমেরিকার এক ঐতিহাসিক বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা চুক্তি ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই চুক্তির মোট আর্থিক মূল্য ২৪৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা মার্কিন-কাতার সম্পর্কের এক নতুন উচ্চতা নির্দেশ করে। দোহার সফরে ট্রাম্প বলেন, ‘আজকের চুক্তিগুলি শুধু অর্থনৈতিক নয়, এটি আমাদের প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও যুগান্তকারী প্রভাব ফেলবে।’ এই চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘অসাধারণ সাফল্য’ বলে ব্যাখ্যা করেন ট্রাম্প।

চুক্তির সবচেয়ে আলোচিত অংশ হল বোয়িং এবং জিই এরোস্পেসের সঙ্গে কাতার এয়ারওয়েজের ৯৬ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি , যার আওতায় ২১০টি বিমান কাতারে পাঠানো হবে। এটি বোয়িং-এর ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অর্ডার। হোয়াইট হাউসের দাবি অনুযায়ী, এই চুক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর প্রায় ১.৫৪ লাখ চাকরি সৃষ্টিতে সাহায্য করবে। যদিও ট্রাম্প প্রথমে বলেন, ১৬০টি জেট কেনা হবে, যার মূল্য প্রায় ২০ হাজার কোটি ডলার; পরে হোয়াইট হাউস ওই সংখ্যা সংশোধন করে চূড়ান্ত ঘোষণা দেয়।

আরও পড়ুন: ‘আমেরিকার মধ্যস্থতায় সংঘর্ষ বিরতি হয়নি’, ট্রাম্পকে সাফ জানালেন মোদি

শুধু বেসামরিক বিমান নয়, প্রতিরক্ষা খাতেও গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা হয়েছে। কাতার যুক্তরাষ্ট্র থেকে উন্নত প্রযুক্তির এমকিউ- ৯বি ড্রোন কিনবে।  যা কাতারকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম আধুনিক ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহারকারী করে তুলবে। আরটিএক্সের সঙ্গে ১ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই হয়েছে কনট্রা-ড্রোন প্রযুক্তি কেনার জন্য।

আরও পড়ুন: ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনায় ‘আগুনে ঘি ঢালছেন’ ট্রাম্প: চিনের কড়া প্রতিক্রিয়া

পাশাপাশি আল উদিদ বিমানঘাঁটি ও আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় ৩.৮ হাজার কোটি ডলারের বিনিয়োগের ইচ্ছাপত্রেও স্বাক্ষর হয়েছে। দুই নেতার মধ্যে প্রায় দুই ঘণ্টার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই চুক্তিগুলি চূড়ান্ত হয়। বৈঠক শেষে শেখ থানি জানান, ‘এই সফরের মাধ্যমে দোহা-ওয়াশিংটনের সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।’

আরও পড়ুন: ভারতে মুসলিম নির্যাতন, চুপ কেন ট্রাম্প, প্রশ্ন মানবাধিকার সংস্থার

বাণিজ্য চুক্তির একটি বিশেষ দিক হল কাতারের পক্ষ থেকে ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি, যা কুয়ান্টাম প্রযুক্তি ও কর্মী প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত হবে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এই বিনিয়োগ কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র;দুই দেশেই প্রযুক্তিগত নেতৃত্ব ও কর্মসংস্থান বাড়াবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই চুক্তিগুলি যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যে অর্থনৈতিক এবং প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে এক নতুন যুগে নিয়ে যাবে। একই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অবস্থান আরও দৃঢ় হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কাতারের সঙ্গে ২৪৩.৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি ঘোষণা ট্রাম্পের

আপডেট : ১৬ মে ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কাতারের সঙ্গে আমেরিকার এক ঐতিহাসিক বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা চুক্তি ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই চুক্তির মোট আর্থিক মূল্য ২৪৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা মার্কিন-কাতার সম্পর্কের এক নতুন উচ্চতা নির্দেশ করে। দোহার সফরে ট্রাম্প বলেন, ‘আজকের চুক্তিগুলি শুধু অর্থনৈতিক নয়, এটি আমাদের প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও যুগান্তকারী প্রভাব ফেলবে।’ এই চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘অসাধারণ সাফল্য’ বলে ব্যাখ্যা করেন ট্রাম্প।

চুক্তির সবচেয়ে আলোচিত অংশ হল বোয়িং এবং জিই এরোস্পেসের সঙ্গে কাতার এয়ারওয়েজের ৯৬ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি , যার আওতায় ২১০টি বিমান কাতারে পাঠানো হবে। এটি বোয়িং-এর ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অর্ডার। হোয়াইট হাউসের দাবি অনুযায়ী, এই চুক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর প্রায় ১.৫৪ লাখ চাকরি সৃষ্টিতে সাহায্য করবে। যদিও ট্রাম্প প্রথমে বলেন, ১৬০টি জেট কেনা হবে, যার মূল্য প্রায় ২০ হাজার কোটি ডলার; পরে হোয়াইট হাউস ওই সংখ্যা সংশোধন করে চূড়ান্ত ঘোষণা দেয়।

আরও পড়ুন: ‘আমেরিকার মধ্যস্থতায় সংঘর্ষ বিরতি হয়নি’, ট্রাম্পকে সাফ জানালেন মোদি

শুধু বেসামরিক বিমান নয়, প্রতিরক্ষা খাতেও গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা হয়েছে। কাতার যুক্তরাষ্ট্র থেকে উন্নত প্রযুক্তির এমকিউ- ৯বি ড্রোন কিনবে।  যা কাতারকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম আধুনিক ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহারকারী করে তুলবে। আরটিএক্সের সঙ্গে ১ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই হয়েছে কনট্রা-ড্রোন প্রযুক্তি কেনার জন্য।

আরও পড়ুন: ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনায় ‘আগুনে ঘি ঢালছেন’ ট্রাম্প: চিনের কড়া প্রতিক্রিয়া

পাশাপাশি আল উদিদ বিমানঘাঁটি ও আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় ৩.৮ হাজার কোটি ডলারের বিনিয়োগের ইচ্ছাপত্রেও স্বাক্ষর হয়েছে। দুই নেতার মধ্যে প্রায় দুই ঘণ্টার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই চুক্তিগুলি চূড়ান্ত হয়। বৈঠক শেষে শেখ থানি জানান, ‘এই সফরের মাধ্যমে দোহা-ওয়াশিংটনের সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।’

আরও পড়ুন: ভারতে মুসলিম নির্যাতন, চুপ কেন ট্রাম্প, প্রশ্ন মানবাধিকার সংস্থার

বাণিজ্য চুক্তির একটি বিশেষ দিক হল কাতারের পক্ষ থেকে ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি, যা কুয়ান্টাম প্রযুক্তি ও কর্মী প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত হবে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এই বিনিয়োগ কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র;দুই দেশেই প্রযুক্তিগত নেতৃত্ব ও কর্মসংস্থান বাড়াবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই চুক্তিগুলি যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যে অর্থনৈতিক এবং প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে এক নতুন যুগে নিয়ে যাবে। একই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অবস্থান আরও দৃঢ় হবে বলে মনে করা হচ্ছে।