০৪ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৫ বছর পর খুলল তুরস্কের ঐতিহাসিক নীল মসজিদ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৩, সোমবার
  • / 69

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ৫ বছর বন্ধ রাখার পর ফের খুলে দেওয়া হল ইস্তানবুলের ঐতিহাসিক ‘ব্লু মসজিদ’ বা নীল মসজিদ। ২০১৮ সাল থেকে মসজিদটিতে সংস্কারের কাজ চলছিল। গত শুক্রবার (ঈদের দিন) তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান আনুষ্ঠানিকভাবে মসজিদটি উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনকালে এরদোগান বলেন, এই নীল মসজিদ একই সঙ্গে ইস্তান্বুলের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সৌন্দর্যের প্রতীক। উদ্বোধন উপলক্ষে মসজিদটিতে হাজার হাজার মুসুল্লি জুম্মার নামায আদায় করেন।

এই মসজিদে ৩৫ হাজার মুসল্লি একত্রে নামায আদায় করতে পারেন। তুরস্কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর ইস্তানবুলের বসফরাস প্রণালীর তীর ঘেঁষে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে মসজিদটি। মূলত মসজিদটি তার নীল গম্বুজের কারণে সবার কাছে ‘ব্লু মসজিদ’ নামে পরিচিত। তবে এটি সুলতান আহমেদ মসজিদ নামেও পরিচিত। ১৬০৯-১৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে উসমানীয় সুলতান প্রথম আহমেদের নির্দেশে মসজিদটি নির্মিত হয়। এই মসজিদের স্থপতি ছিলেন মুহাম্মদ আগা।

১৯৩৪ সালে ‘আয়া সোফিয়া’কে জাদুঘরে রূপান্তর করা হলে ইস্তান্বুলের প্রধান মসজিদে পরিণত হয় ব্লু মসজিদ। এটি ৬টি মিনার বিশিষ্ট তুরস্কের একমাত্র মসজিদ। এর মিনার ও গম্বুজগুলো সীসা দ্বারা ঢেকে দেওয়া হয়েছে এবং মিনারের ওপরে সোনার প্রলেপযুক্ত তামার তৈরি ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে। অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত মসজিদটি নীল, সবুজ ও সাদা মার্বেলে তৈরি। মসজিদটি ইস্তানবুলের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনস্থল।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

৫ বছর পর খুলল তুরস্কের ঐতিহাসিক নীল মসজিদ

আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৩, সোমবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ৫ বছর বন্ধ রাখার পর ফের খুলে দেওয়া হল ইস্তানবুলের ঐতিহাসিক ‘ব্লু মসজিদ’ বা নীল মসজিদ। ২০১৮ সাল থেকে মসজিদটিতে সংস্কারের কাজ চলছিল। গত শুক্রবার (ঈদের দিন) তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান আনুষ্ঠানিকভাবে মসজিদটি উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনকালে এরদোগান বলেন, এই নীল মসজিদ একই সঙ্গে ইস্তান্বুলের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সৌন্দর্যের প্রতীক। উদ্বোধন উপলক্ষে মসজিদটিতে হাজার হাজার মুসুল্লি জুম্মার নামায আদায় করেন।

এই মসজিদে ৩৫ হাজার মুসল্লি একত্রে নামায আদায় করতে পারেন। তুরস্কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর ইস্তানবুলের বসফরাস প্রণালীর তীর ঘেঁষে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে মসজিদটি। মূলত মসজিদটি তার নীল গম্বুজের কারণে সবার কাছে ‘ব্লু মসজিদ’ নামে পরিচিত। তবে এটি সুলতান আহমেদ মসজিদ নামেও পরিচিত। ১৬০৯-১৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে উসমানীয় সুলতান প্রথম আহমেদের নির্দেশে মসজিদটি নির্মিত হয়। এই মসজিদের স্থপতি ছিলেন মুহাম্মদ আগা।

১৯৩৪ সালে ‘আয়া সোফিয়া’কে জাদুঘরে রূপান্তর করা হলে ইস্তান্বুলের প্রধান মসজিদে পরিণত হয় ব্লু মসজিদ। এটি ৬টি মিনার বিশিষ্ট তুরস্কের একমাত্র মসজিদ। এর মিনার ও গম্বুজগুলো সীসা দ্বারা ঢেকে দেওয়া হয়েছে এবং মিনারের ওপরে সোনার প্রলেপযুক্ত তামার তৈরি ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে। অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত মসজিদটি নীল, সবুজ ও সাদা মার্বেলে তৈরি। মসজিদটি ইস্তানবুলের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনস্থল।