২৭ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের লিস্টে তুর্কি চা ও নাসিরুদ্দিনের গল্প

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৭ ডিসেম্বর ২০২২, বুধবার
  • / 105

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ তুরস্কের দুটি জিনিসের সাংস্কৃতিক গুরুত্ব ও মূল্য রয়েছে। এর একটি হচ্ছে চা, অন্যটি নাসিরুদ্দিন হোজ্জার গল্প। ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে এই দুটি ঐতিহ্য বহনকারী শিল্প-সাহিত্য। ২৮ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে মরক্কোয় বসেছিল ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের ১৭তম অধিবেধশন। সেখানে তুরস্কের এ দু’টি সাংস্কৃতিক উপাদান মনোনীত হয়।

 

আরও পড়ুন: অক্টোবরে গাজায় যাবে তুর্কি শান্তিরক্ষী বাহিনী

চা হল তুরস্কের পরিচয়, আতিথেয়তা ও সমাজের প্রতীক। অন্যদিকে, নাসরদ্দিন হোজ্জা তুর্কি লোককাহিনীতে অনন্য স্থান ধারণ করে আছেন। নাসিরুদ্দিন হোজ্জা তথা মোল্লা নাসিরুদ্দিনের নাম অনেকেরই জানা। মধ্যযুগে ত্রয়োদশ শতকে সেলজুক শাসনামলে ইরানের বৃহত্তর খোরাসানে তিনি বসবাস করতেন। মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্য এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশও নাসিরুদ্দিনকে তাদের দেশের বলে দাবি করে।

আরও পড়ুন: কুরআন অবমাননা: পশ্চিমাদের শিক্ষা দেবেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট

 

আরও পড়ুন: চা-রুটি ছাড়া আফগানবাসীদের ইফতারের জুটছে না কিছুই

এর মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, ইরান, তুরস্ক এবং উজবেকিস্তান। বিভিন্ন সাংস্কৃতিতে তার নাম বিভিন্নভাবে উচ্চারিত হয়। অধিকাংশ সাংস্কৃতিতে ‘হোজ্জা’ এবং ‘মোল্লা’ নামে পরিচিত তিনি। তার হাস্যরসাত্মক গল্প ও উক্তিগুলো তাকে বিখ্যাত করে রেখেছে আজও। এখনও পর্যন্ত, ইউনেস্কোর তালিকায় তুরস্কের সাংস্কৃতিক উপাদানের সংখ্যা ২৫-এ পৌঁছেছে। তুরস্কের বিদেশমন্ত্রক বলেছে, ‘আমরা আমাদের সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিকে লালন করব।’

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের লিস্টে তুর্কি চা ও নাসিরুদ্দিনের গল্প

আপডেট : ৭ ডিসেম্বর ২০২২, বুধবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ তুরস্কের দুটি জিনিসের সাংস্কৃতিক গুরুত্ব ও মূল্য রয়েছে। এর একটি হচ্ছে চা, অন্যটি নাসিরুদ্দিন হোজ্জার গল্প। ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে এই দুটি ঐতিহ্য বহনকারী শিল্প-সাহিত্য। ২৮ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে মরক্কোয় বসেছিল ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের ১৭তম অধিবেধশন। সেখানে তুরস্কের এ দু’টি সাংস্কৃতিক উপাদান মনোনীত হয়।

 

আরও পড়ুন: অক্টোবরে গাজায় যাবে তুর্কি শান্তিরক্ষী বাহিনী

চা হল তুরস্কের পরিচয়, আতিথেয়তা ও সমাজের প্রতীক। অন্যদিকে, নাসরদ্দিন হোজ্জা তুর্কি লোককাহিনীতে অনন্য স্থান ধারণ করে আছেন। নাসিরুদ্দিন হোজ্জা তথা মোল্লা নাসিরুদ্দিনের নাম অনেকেরই জানা। মধ্যযুগে ত্রয়োদশ শতকে সেলজুক শাসনামলে ইরানের বৃহত্তর খোরাসানে তিনি বসবাস করতেন। মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্য এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশও নাসিরুদ্দিনকে তাদের দেশের বলে দাবি করে।

আরও পড়ুন: কুরআন অবমাননা: পশ্চিমাদের শিক্ষা দেবেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট

 

আরও পড়ুন: চা-রুটি ছাড়া আফগানবাসীদের ইফতারের জুটছে না কিছুই

এর মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, ইরান, তুরস্ক এবং উজবেকিস্তান। বিভিন্ন সাংস্কৃতিতে তার নাম বিভিন্নভাবে উচ্চারিত হয়। অধিকাংশ সাংস্কৃতিতে ‘হোজ্জা’ এবং ‘মোল্লা’ নামে পরিচিত তিনি। তার হাস্যরসাত্মক গল্প ও উক্তিগুলো তাকে বিখ্যাত করে রেখেছে আজও। এখনও পর্যন্ত, ইউনেস্কোর তালিকায় তুরস্কের সাংস্কৃতিক উপাদানের সংখ্যা ২৫-এ পৌঁছেছে। তুরস্কের বিদেশমন্ত্রক বলেছে, ‘আমরা আমাদের সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিকে লালন করব।’