তুরস্ক বয়কট, মামলা গেল দিল্লি হাইকোর্টে

- আপডেট : ১৭ মে ২০২৫, শনিবার
- / 142
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের ‘তুরস্ক বয়কট’ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দিল্লির হাইকোর্টে মামলা করল তুরস্কের এক বিমানপরিবহন শিল্প সংস্থা সেলেবি এয়ারপোর্ট সার্ভিস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড। জাতীয় সুরক্ষার দোহাই দিয়ে এই সংস্থাকে নিরাপত্তা ছাড়পত্র দেওয়া হল না বা বাতিল হল লাইসেন্স সে কারণে বন্ধ হয়ে যেতে পারে এই সংস্থাটি।
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় তুরস্ক জানিয়েছিল তারা পাকিস্তানের পাশে থাকবে। ফলে স্বাভাবিক কারণেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভারতীয়রা। তুরস্কের পণ্য বয়কট করার আওয়াজও উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে তুরস্কের এই কোম্পানি যারা ভারতের বিভিন্ন বিমানব¨রে সার্ভিস দিতে চুক্তিবদ্ধ ছিল তাদের জন্য নিরাপত্তা ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে না ফলে তাদের কাজকাম বন্ধ রাখতে হবে।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে এই সংস্থা আর্জিতে জানায় এর ফলে তাদের ৩৭৯১ জনের চাকরিতে প্রভাব পড়বে, বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হবে এবং জরুরি পরিষেবার ব্যাঘাত ঘটবে। কেন্দ্র সরকার যে সুরক্ষার দোহাই দিচ্ছে সেটিও অস্পষ্ট এবং তাদেরকে জানানো হয়নি যে এই কোম্পানি কাজ করলে কোথায় কোথায় নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটতে পারে।
উল্লেখ্য, এই কোম্পানি ২০২২ থেকে সুরক্ষা ছাড়পত্র নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রক নোটিশ দিয়েছে জাতীয় সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে তুরস্কের এই সংস্থা সেলেবি এয়ারপোর্ট সার্ভিসের সুরক্ষা ছাড়পত্র লাইসেন্স বাতিল করা হল। তুরস্কের এই কোম্পানি মুম্বই এয়ারপোর্টের পরিষেবার ৭০ শতাংশ কাজ করে দেয়। এই মন্ত্রকের মন্ত্রী মুরলিধর মোহল জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দাবি করা হচ্ছিল তুরস্কের এই কোম্পানিকে বিমানব¨রের কাজের দায়িত্ব থেকে মুক্ত করে দিতে। সেইমতো নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় স্বার্থ ও সুরক্ষার বিষয়টি আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া নয়াল্লিতে তুরস্কের রাজদূতের কাজে যোগ দেওয়া নিয়ে একটি অনুষ্ঠানও স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে নিজের পরিচয় পত্র জমা দেওয়ার জন্য একটি অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। সেই অনুষ্ঠানে আরও অন্য চার দেশের রাজদূতের নিযুক্তির বিষয় ছিল কিন্তু হঠাৎ স্থগিত করে দেওয়া হয় বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে। ইতিপূর্বে জেএনইউ এবং জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও লাভলি ইউনিভার্সিটি তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি বাতিল ঘোষণা করে দিয়েছে।
তুরস্কের রাষ্ট্রপতি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে যুদ্ধের সময় সহমর্মিতা প্রকাশ করে ছিলেন। পাকিস্তানে নিহত সাধারণ মানুষ ও সৈন্যদের পরিবারের জন্য সমবেদনা প্রকাশ করায় ক্ষুব্ধ হয় ভারত। তুরস্কের সঙ্গে আজারবাইজানও পাকিস্তানের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে। পিটিআই জানাচ্ছে এই দু’টি দেশে ভারতের পর্যটক সংস্থা হঠাৎ ৬০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে বুকিং বাতিল হয়ে যাওয়ায়।