০২ ডিসেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৩০ বছরের হিমায়িত ভ্রূণ থেকে জন্ম যমজ শিশুর!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২২, বুধবার
  • / 194

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ আমেরিকার অরিগনে ৩০ বছর আগের হিমায়িত ভ্রূণ থেকে জন্ম নিল যমজ শিশু। ১৯৯২ সালে এই ভ্রূণ দান করেছিলেন এক মার্কিন দম্পতি। এর আগে ২০২০ সালে হিমায়িত ভ্রূণ থেকে মলি গিবসন নামে এক শিশুর জন্ম হয়। ওই ভ্রূণ ২৭ বছর আগে হিমায়িত করে রাখা হয়েছিল। অরিগনে জন্ম নেওয়া শিশু দু’টিকে বলা হচ্ছে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বয়সী শিশু।’ গত ৩১ অক্টোবর রাচেল রিজওয়ে ও ফিলিপ রিজওয়ের কোল আলো করে আসে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে। আমেরিকার ন্যাশনাল এমব্রায়ো ডোনেশন সেন্টারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হিমায়িত ভ্রূণ থেকে জন্ম নেওয়া শিশু দু’টির নাম রাখা হয়েছে লিডিয়া ও টিমোথি রিজওয়ে। জন্মের সময় লিডিয়ার ওজন ছিল আড়াই কেজি আর টিমোথির ওজন ২ দশমিক ৯২ কেজি। উল্লেখ্য, আইভিএফ (ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) পদ্ধতিতে শিশু জন্ম নেওয়ার পর ভ্রূণ অতিরিক্ত থেকে গেলে অজ্ঞাত এক দম্পতির পক্ষ থেকে মার্কিন সংস্থায় তা দান করা হয়। ১৯৯২ সালের ২২ এপ্রিল থেকে ওই ভ্রূণ ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। পরে ২০০৭ সাল থেকে ওয়েস্ট কোস্টের একটি পরীক্ষাগারে এ ভ্রূণ সংরক্ষণ করে রাখা হয়। সেখান থেকে ১৫ বছর পরে লিডিয়া ও টিমোথির জন্ম। রিজওয়ে দম্পতি বলেন, ‘সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে হিমায়িত হয়ে আছে, এমন কোনও ভ্রূণ আমরা খুঁজিনি। কিন্তু যা ঘটেছে তা অসাধারণ। একদিকে তারা আমাদের ছোট শিশু হলেও বয়সের হিসাবে সবচেয়ে বেশি বয়সী শিশু তারা।’

আরও পড়ুন: আরব সাগরের গর্ভে জন্ম নিয়েছে ‘বিপর্যয়’, দানবের আকার নেবে আগামী ২৪ ঘণ্টায়

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

৩০ বছরের হিমায়িত ভ্রূণ থেকে জন্ম যমজ শিশুর!

আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২২, বুধবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ আমেরিকার অরিগনে ৩০ বছর আগের হিমায়িত ভ্রূণ থেকে জন্ম নিল যমজ শিশু। ১৯৯২ সালে এই ভ্রূণ দান করেছিলেন এক মার্কিন দম্পতি। এর আগে ২০২০ সালে হিমায়িত ভ্রূণ থেকে মলি গিবসন নামে এক শিশুর জন্ম হয়। ওই ভ্রূণ ২৭ বছর আগে হিমায়িত করে রাখা হয়েছিল। অরিগনে জন্ম নেওয়া শিশু দু’টিকে বলা হচ্ছে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বয়সী শিশু।’ গত ৩১ অক্টোবর রাচেল রিজওয়ে ও ফিলিপ রিজওয়ের কোল আলো করে আসে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে। আমেরিকার ন্যাশনাল এমব্রায়ো ডোনেশন সেন্টারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হিমায়িত ভ্রূণ থেকে জন্ম নেওয়া শিশু দু’টির নাম রাখা হয়েছে লিডিয়া ও টিমোথি রিজওয়ে। জন্মের সময় লিডিয়ার ওজন ছিল আড়াই কেজি আর টিমোথির ওজন ২ দশমিক ৯২ কেজি। উল্লেখ্য, আইভিএফ (ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) পদ্ধতিতে শিশু জন্ম নেওয়ার পর ভ্রূণ অতিরিক্ত থেকে গেলে অজ্ঞাত এক দম্পতির পক্ষ থেকে মার্কিন সংস্থায় তা দান করা হয়। ১৯৯২ সালের ২২ এপ্রিল থেকে ওই ভ্রূণ ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। পরে ২০০৭ সাল থেকে ওয়েস্ট কোস্টের একটি পরীক্ষাগারে এ ভ্রূণ সংরক্ষণ করে রাখা হয়। সেখান থেকে ১৫ বছর পরে লিডিয়া ও টিমোথির জন্ম। রিজওয়ে দম্পতি বলেন, ‘সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে হিমায়িত হয়ে আছে, এমন কোনও ভ্রূণ আমরা খুঁজিনি। কিন্তু যা ঘটেছে তা অসাধারণ। একদিকে তারা আমাদের ছোট শিশু হলেও বয়সের হিসাবে সবচেয়ে বেশি বয়সী শিশু তারা।’

আরও পড়ুন: আরব সাগরের গর্ভে জন্ম নিয়েছে ‘বিপর্যয়’, দানবের আকার নেবে আগামী ২৪ ঘণ্টায়