০১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুদানে আটকে হুগলির দুই যুবক, উৎকণ্ঠায় পরিবার

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১২ মে ২০২৩, শুক্রবার
  • / 50

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানে আটকে হুগলির দুই যুবক। চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছে দুই যুবকের পরিবার।দু’‌জনের একজন হুগলির হারিটের আমিনুর এবং পাণ্ডুয়ার শেখ রাহুল আমিন।

পরিবার সূত্রে খবর, গত ১৫ ই ডিসেম্বর সুদানে গয়না তৈরির কাজ করতে যায় হুগলির হারিটের জেটে গ্রামের আমিনুর রহমান মণ্ডল (৩৮)। অতীতে মুম্বই, হায়দরাবাদ সহ বিভিন্ন শহরে সোনার গয়না তৈরির কাজ করেছেন। মাস কয়েক আগে বলাগড়ের শিমুলিয়া এলাকার রাহুল নামে এক এজেন্টের মাধ্যমে দোকান মালিক আরশাদ আলির কাছে কাজে যান আমিনুর।

উল্লখ্য, সুদান যাওয়ার মাস কয়েক আগে বলাগড় থানার শিমুলিয়া এলাকার বাসিন্দা রাহুলের সঙ্গে যোগাযোগ হয় আমিনুরের। রাহুল তাঁকে জানায়, তাঁর জামাইবাবুর সুদানে সোনার দোকান রয়েছে। সেখানে সোনার কাজ জানা লোকের প্রয়োজন। তাঁর জামাইবাবুর নাম আরশাদ আলি। ফোনে কথাও বলিয়ে দেয় জামাইবাবুর সঙ্গে। এরপর বৃদ্ধ বাবা–মা, স্ত্রী ও তিন মেয়েকে বাড়িতে রেখে সুদান পাড়ি দেয় আমিনুর।সেখানে গিয়ে আরশাদ আলির দোকানে সোনার কাজে যোগ দেয়। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে ফোনে একাধিকবার কথা হয়েছে আমিনুরের সঙ্গে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ওই দেশ থেকে বাড়ি ফিরে আসার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর।

অভিযোগ, তাঁকে আসতে দিচ্ছে না দোকান মালিক। ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাঁর। একই অবস্থা সেখানে আটকে থাকা অন্যান্য কারিগরদেরও। টেলিফোনে কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েছে আটকে থাকা অন্যান্য ভারতীয়রা। কি করে বাড়ি ফিরবে তারা কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না। এদিকে চরম দুশ্চিন্তায় থাকা আমিনুরের পরিবারের সদস্যরা দাদপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। পরিবারের দাবি অবিলম্বে আমিনুরকে বাড়ি ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সুদানে আটকে হুগলির দুই যুবক, উৎকণ্ঠায় পরিবার

আপডেট : ১২ মে ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানে আটকে হুগলির দুই যুবক। চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছে দুই যুবকের পরিবার।দু’‌জনের একজন হুগলির হারিটের আমিনুর এবং পাণ্ডুয়ার শেখ রাহুল আমিন।

পরিবার সূত্রে খবর, গত ১৫ ই ডিসেম্বর সুদানে গয়না তৈরির কাজ করতে যায় হুগলির হারিটের জেটে গ্রামের আমিনুর রহমান মণ্ডল (৩৮)। অতীতে মুম্বই, হায়দরাবাদ সহ বিভিন্ন শহরে সোনার গয়না তৈরির কাজ করেছেন। মাস কয়েক আগে বলাগড়ের শিমুলিয়া এলাকার রাহুল নামে এক এজেন্টের মাধ্যমে দোকান মালিক আরশাদ আলির কাছে কাজে যান আমিনুর।

উল্লখ্য, সুদান যাওয়ার মাস কয়েক আগে বলাগড় থানার শিমুলিয়া এলাকার বাসিন্দা রাহুলের সঙ্গে যোগাযোগ হয় আমিনুরের। রাহুল তাঁকে জানায়, তাঁর জামাইবাবুর সুদানে সোনার দোকান রয়েছে। সেখানে সোনার কাজ জানা লোকের প্রয়োজন। তাঁর জামাইবাবুর নাম আরশাদ আলি। ফোনে কথাও বলিয়ে দেয় জামাইবাবুর সঙ্গে। এরপর বৃদ্ধ বাবা–মা, স্ত্রী ও তিন মেয়েকে বাড়িতে রেখে সুদান পাড়ি দেয় আমিনুর।সেখানে গিয়ে আরশাদ আলির দোকানে সোনার কাজে যোগ দেয়। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে ফোনে একাধিকবার কথা হয়েছে আমিনুরের সঙ্গে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ওই দেশ থেকে বাড়ি ফিরে আসার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর।

অভিযোগ, তাঁকে আসতে দিচ্ছে না দোকান মালিক। ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাঁর। একই অবস্থা সেখানে আটকে থাকা অন্যান্য কারিগরদেরও। টেলিফোনে কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েছে আটকে থাকা অন্যান্য ভারতীয়রা। কি করে বাড়ি ফিরবে তারা কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না। এদিকে চরম দুশ্চিন্তায় থাকা আমিনুরের পরিবারের সদস্যরা দাদপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। পরিবারের দাবি অবিলম্বে আমিনুরকে বাড়ি ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক।