০৫ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘কর্নাটক অধিকৃত মহারাষ্ট্র’কে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার দাবি জানালেন উদ্ধব

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবার
  • / 77

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ  ‘পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর’ একটি বহুল চর্চিত শব্দবন্ধ। আর   এবার শোনা গেল, ‘কর্নাটক অধিকৃত মহারাষ্ট্র’। মন্তব্যকারী মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা  শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে।

 

আরও পড়ুন: কর্ণাটকে সেনার পোশাকে দুঃসাহসী ডাকাতি, ৫৮ কেজি সোনা লুট

সোমবার বিধান পরিষদে বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন,  কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত ‘কর্নাটক অধিকৃত মহারাষ্ট্র’কে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা। মহারাষ্ট্র-কর্নাটক সীমান্ত বিবাদ প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেন তিনি।

আরও পড়ুন: কৃষক আত্মহত্যা: মহারাষ্ট্রে ৩ মাসে আত্মঘাতী ৭৬৭ জন

 

আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্র: পদ্ম বিধায়কের বিরুদ্ধে মিছিল খ্রিস্টানদের

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এই ইস্যুতে একটিও কথা বলেছেন কিনা সেই প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি উদ্ধব প্রশ্ন তুলেছেন এই ইস্যুতে মহারাষ্ট্র সরকারের অবস্থান নিয়েও।

 

উদ্ধবের কথায়, ‘এটি শুধুমাত্র ভাষা ও সীমান্তের ব্যাপার নয়। এটা মানবতারও বিষয়। মারাঠি ভাষী মানুষরা সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে কয়েক প্রজন্ম ধরে বসবাস করছে। তাই যতদিন পর্যন্ত বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে থাকবে ততদিন কেন্দ্রের উচিত এই কর্নাটক অধিকৃত মহারাষ্ট্রকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা।

 

মহারাষ্ট্র-কর্নাটক সীমানা বিরোধ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে উত্তাল হয়ে বিধানসভা। বিরোধীরা দুই রাজ্যের মধ্যে এই সীমান্ত দ্বন্দ্ব ইস্যুতে সংসদে সুনির্দিষ্ট আলোচনার দাবি জানিয়েছে।  এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের মধ্যে বিতর্কিত সীমান্তবর্তী এলাকাকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন উদ্ধব।

 

এজন্য বিধানসভায় একটি প্রস্তাব পাসের কথাও বলেন তিনি। বিধানসভায় বক্তব্য রাখার সময় মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডের সমালোচনাও করে বলেন, সীমান্ত  দ্বন্দ্ব নিয়ে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী  আক্রমনাত্মক অবস্থান নিচ্ছেন, অথচ, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে নীরব। তাই যতক্ষণ  পর্যন্ত না বেলগাভি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট তার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছে ততদিন পর্যন্ত এই বিতর্কিত এলাকাটিকে ‘কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল’ হিসাবে ঘোষণা করা উচিত।

 

যদিও উপ- মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফোড়নবিশ জানিয়েছেন, যে কোনও পরিস্থিতিতে সীমান্তে বসবাসকারী মারাঠি ভাষীদের পাশ থেকে সরে দাঁড়াবে না সরকার। প্রতি ইঞ্চি জমির জন্য লড়াই হবে তা সুপ্রিম কোর্ট হোক বা সংসদ।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘কর্নাটক অধিকৃত মহারাষ্ট্র’কে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার দাবি জানালেন উদ্ধব

আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ  ‘পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর’ একটি বহুল চর্চিত শব্দবন্ধ। আর   এবার শোনা গেল, ‘কর্নাটক অধিকৃত মহারাষ্ট্র’। মন্তব্যকারী মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা  শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে।

 

আরও পড়ুন: কর্ণাটকে সেনার পোশাকে দুঃসাহসী ডাকাতি, ৫৮ কেজি সোনা লুট

সোমবার বিধান পরিষদে বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন,  কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত ‘কর্নাটক অধিকৃত মহারাষ্ট্র’কে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা। মহারাষ্ট্র-কর্নাটক সীমান্ত বিবাদ প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেন তিনি।

আরও পড়ুন: কৃষক আত্মহত্যা: মহারাষ্ট্রে ৩ মাসে আত্মঘাতী ৭৬৭ জন

 

আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্র: পদ্ম বিধায়কের বিরুদ্ধে মিছিল খ্রিস্টানদের

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এই ইস্যুতে একটিও কথা বলেছেন কিনা সেই প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি উদ্ধব প্রশ্ন তুলেছেন এই ইস্যুতে মহারাষ্ট্র সরকারের অবস্থান নিয়েও।

 

উদ্ধবের কথায়, ‘এটি শুধুমাত্র ভাষা ও সীমান্তের ব্যাপার নয়। এটা মানবতারও বিষয়। মারাঠি ভাষী মানুষরা সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে কয়েক প্রজন্ম ধরে বসবাস করছে। তাই যতদিন পর্যন্ত বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে থাকবে ততদিন কেন্দ্রের উচিত এই কর্নাটক অধিকৃত মহারাষ্ট্রকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা।

 

মহারাষ্ট্র-কর্নাটক সীমানা বিরোধ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে উত্তাল হয়ে বিধানসভা। বিরোধীরা দুই রাজ্যের মধ্যে এই সীমান্ত দ্বন্দ্ব ইস্যুতে সংসদে সুনির্দিষ্ট আলোচনার দাবি জানিয়েছে।  এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের মধ্যে বিতর্কিত সীমান্তবর্তী এলাকাকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন উদ্ধব।

 

এজন্য বিধানসভায় একটি প্রস্তাব পাসের কথাও বলেন তিনি। বিধানসভায় বক্তব্য রাখার সময় মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডের সমালোচনাও করে বলেন, সীমান্ত  দ্বন্দ্ব নিয়ে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী  আক্রমনাত্মক অবস্থান নিচ্ছেন, অথচ, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে নীরব। তাই যতক্ষণ  পর্যন্ত না বেলগাভি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট তার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছে ততদিন পর্যন্ত এই বিতর্কিত এলাকাটিকে ‘কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল’ হিসাবে ঘোষণা করা উচিত।

 

যদিও উপ- মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফোড়নবিশ জানিয়েছেন, যে কোনও পরিস্থিতিতে সীমান্তে বসবাসকারী মারাঠি ভাষীদের পাশ থেকে সরে দাঁড়াবে না সরকার। প্রতি ইঞ্চি জমির জন্য লড়াই হবে তা সুপ্রিম কোর্ট হোক বা সংসদ।