ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য, এই ইস্যুতে কেন্দ্রের কি ভাবছে জানতে চেয়ে রাজ্যসভায় সরব ডেরেক ও ব্রায়েন

- আপডেট : ২১ মার্চ ২০২২, সোমবার
- / 13
পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ইউক্রেন থেকে ভারতে আসা পড়ুয়াদের নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সংঘাত চরমে উঠল। ইতিমধ্যেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইউক্রেন থেকে ফেরত আসা পড়ুয়াদের দেশে পড়ার আশ্বাস দিয়েছেন। সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ভাতা সহ ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেওয়া হোক ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জিও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার এই ইস্যু নিয়ে রাজ্যসভায় সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে বিবৃতির দাবি করলেন তিনি। সোমবার রাজ্যসভায় অধিবেশন চলাকালীন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দেওয়া হলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি।
ওই সমস্ত পড়ুয়াদের পরবর্তী শিক্ষা ব্যবস্থার কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সেই ব্যাপারে কোনও কিছু জানানো হয়নি। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু জানিয়েছেন, বিষয়টা স্বাস্থ্য মন্ত্রককে জানানো হয়েছে।
ইউক্রেন ফের শিক্ষার্থীদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই অবস্থায় কেন্দ্র তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিশেষ কিছু পরামর্শ বা দাবি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইউক্রেন থেকে পশ্চিমবঙ্গে ফিরে এসেছেন এমন পড়ুয়ার সংখ্যা ৩৯১। তাঁদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিতে লিখেছেন, দেশে মেডিক্যাল পড়াশোনা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন কর্তৃক পরিচালিত হয়। তাই বেশ কিছু পরামর্শ দিতে চান তিনি। মমতার দাবি, যে সব শিক্ষার্থীরা ইন্টার্নশিপের যোগ্য তাঁদের রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ভাতা সহ ইন্টার্নশিপের সুযোগ দিতে হবে।
যিনি যে বর্ষের শিক্ষার্থী, তাঁকে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে সেই বর্ষেই ভর্তির সুযোগ দিতে হবে। সেই হিসেব মতো আসন সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এনএমসি-র নিয়ম অনুযায়ী যে সব ছাত্র-ছাত্রীরা ন্যাশনাল এন্ট্রান্স এলিজিবিলিটি টেস্ট উত্তীর্ণ হন, তাঁরাই একমাত্র মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হতে পারেন। সেই গাইডলাইন কিছুটা শিথিল করার আর্জিও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হতেই সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েন পড়ুয়ারা। ইতিমধ্যেই সেই সমস্ত ছাত্রকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। তারা নিরাপদে বাড়িও এসে পৌঁছেছে। কেউ প্রথম বর্ষ, কেউ আবার দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র বা ছাত্রী। বেশিরভাগই চিকিৎসা বিজ্ঞানের পড়ুয়া। এই সমস্ত শিক্ষার্থীদের পরিবারের অভিযোগ, দেশে পড়ার খরচ অনেক বেশি। আর সেই কারণে জমি-জমা বেচে, সোনা-গয়না গাঁটি বন্ধক রেখে ছেলে-মেয়েদের পড়াতে পাঠানো হয়েছিল।