উমর খালিদ ‘সম্পূর্ণ নির্দোষ’, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার: ছাত্রনেতার পাশে দাঁড়িয়ে মন্তব্য দিগ্বিজয়ের
- আপডেট : ৩ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার
 - / 105
 
পুবের কলম, ভোপাল: দিল্লি দাঙ্গার যুক্ত থাকার অভিযোগে গত পাঁচ বছর ধরে বিনা বিচারে জেলবন্দি রয়েছেন উমর খালিদ ও শারজিল ইমামরা। জেএনইউ-এর প্রাক্তন ছাত্রনেতাদের নিয়ে এবার মুখ খুললেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এবং মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং। প্রাক্তন ছাত্রনেতা উমর খালিদকে “সম্পূর্ণ নির্দোষ” এবং “গুরুতর অবিচারের” শিকার বলে মন্তব্য করলেন তিনি। প্রবীণ কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে ঝড় তুলেছেন।
প্রাক্তন ছাত্রনেতার পাশে দাঁড়িয়ে উমর খালিদকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। খালিদ যে বিষয় নিয়ে গবেষণা করছিলেন তা নিয়ে প্রকাশিত ‘এক ইতিহাস কি বাত’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ শেয়ার করে দিগ্বিজয় সিং লিখেছেন, তাঁকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ না বলে একজন মেধাবী শিক্ষাবিদ হিসেবে বলা উচিত। উমর খালিদের বিনা বিচারে জেলবন্দি করে রাখাকে বিচার বিভাগীয় ন্যায্যতা, সংখ্যালঘু অধিকার এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে তোপ দেগেছেন কংগ্রেস নেতা। সংখ্যালঘুদের লক্ষবস্তু বানানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘উমর খালিদ নির্দোষ এবং তিনি মারাত্মক অবিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন। তিনি একজন পিএইচডি স্কলার এবং কোনও মানদণ্ডে বিশ্বাসঘাতক নন তিনি। বিজেপি ও আরএসএস মুসলিমদের মিথ্যাভাবে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করছে। অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দিতে হবে।’ দেশজুড়ে সংখ্যালঘুদের লক্ষবস্তু বানানো নিয়েও সরব হয়েছেন দিগ্বিজয়। তাঁর কথায়, সম্প্রতি আলিগড়ের একটি মন্দিরের দেয়ালে ‘আই লাভ মহম্মদ’ লিখে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত সকলেই হিন্দু সম্প্রদায়ের। তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে দিল্লিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন হিংসার ঘটনা ঘটে, যাতে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন ৭০০-র বেশি। ওই ঘটনায় উমরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে (ইউএপিএ) মামলা করেছিল দিল্লি পুলিশ। সেই থেকে তিনি জেলে আছেন। এর আগে একাধিকবার জামিনের আবেদন জানিয়ে মামলা করা হলেও আদালত সেই মামলা খারিজ করে দেয়। পরবর্তীতে দেশের শীর্ষ আদালতের দারস্থ হয় তারা।
																			
																		


































