৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৪ দিনের অন্তর্বর্তী জামিন শেষ হওয়ার পর ফের তিহার জেলে আত্মসমর্পণ করলেন উমর খালিদ

পুবের কলম, নয়াদিল্লি: সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের কর্মী উমর খালিদ ১৪ দিনের অন্তর্বর্তী জামিন শেষে দিল্লির তিহার জেলে ফিরে গিয়েছেন। বোনের বিয়েতে যোগ দিতে তিনি এই জামিন পেয়েছিলেন। জেল গেটের সামনে মায়ের উদ্দেশে বিদায়ের হাত নাড়েন উমর খালিদ।

বোনের বিয়েতে যোগ দেওয়ার জন্য পাওয়া ১৪ দিনের অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, দিল্লির তিহার জেলে আত্মসমর্পণ করেন সমাজকর্মী উমর খালিদ। দিল্লির একটি আদালত ১৬ ডিসেম্বর থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত খালিদকে সাময়িক মুক্তির অনুমতি দেয়। তবে সেই সঙ্গে জারি করা হয় ‘গ্যাগ অর্ডার’। এই নির্দেশ অনুযায়ী, তিনি পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের বাইরে কারও সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয় এবং তাঁকে বাড়ি অথবা বিয়ের অনুষ্ঠান যেখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছিল, সেই স্থানেই সীমাবদ্ধ থাকতে বলা হয়।

আরও পড়ুন: উমর খালিদদের জামিন মামলার রায় স্থগিত রাখলো সুপ্রিম কোর্ট

আদালত পর্যবেক্ষণে জানায়, যেহেতু এটি তাঁর নিজের বোনের বিয়ে, তাই অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ড এবং সমপরিমাণ অর্থের দুইজন জামিনদার জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর আগেও, ২০২২ সালে, বিয়ের কারণে উমর খালিদকে ২৩ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছিল। তখনও দিল্লির কারকড়ডুমা আদালত নির্দিষ্ট শর্ত আরোপ করে জামিন দেয়, যার মধ্যে সংবাদমাধ্যমে কথা বলা বা সাক্ষাৎকার দেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল।

আরও পড়ুন: উমর খালিদ ‘সম্পূর্ণ নির্দোষ’, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার: ছাত্রনেতার পাশে দাঁড়িয়ে মন্তব্য দিগ্বিজয়ের

৩৮ বছর বয়সি উমর খালিদ, যিনি জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে কারাবন্দি। ২০২০ সালের দিল্লি দাঙ্গার ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর সন্ত্রাসবিরোধী আইন ‘অবৈধ কার্যকলাপ (নিরোধ) আইন’ বা ইউএপিএ-র অধীনে মামলা দায়ের করা হয়। ওই দাঙ্গায় ৪০ জনের বেশি মুসলিমের মৃত্যু হয়, ৭০০-রও বেশি মানুষ আহত হন এবং বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন।

আরও পড়ুন: উমর খালিদ, শরজিল ইমাম ও অন্যান্যদের জামিনের শুনানি ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করল সুপ্রিম কোর্ট

দিল্লি পুলিশ উমর খালিদ-সহ একাধিক সমাজকর্মী—শারজিল ইমাম, মোহাম্মদ সেলিম খান, শিফা উর রহমান, আথার খান, মীরান হায়দার, আবদুল খালিদ সাইফি, গুলফিশা ফাতিমা এবং শাদাব—এর বিরুদ্ধে ‘দাঙ্গায় উসকানি দেওয়ার’ অভিযোগ এনেছে। আদালত একাধিকবার তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ করেছে।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.
সর্বধিক পাঠিত

এক সন্তানেই থামবেন না, ২-৩টি করে সন্তান নিন: হিন্দুদের আহ্বান অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

১৪ দিনের অন্তর্বর্তী জামিন শেষ হওয়ার পর ফের তিহার জেলে আত্মসমর্পণ করলেন উমর খালিদ

আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম, নয়াদিল্লি: সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের কর্মী উমর খালিদ ১৪ দিনের অন্তর্বর্তী জামিন শেষে দিল্লির তিহার জেলে ফিরে গিয়েছেন। বোনের বিয়েতে যোগ দিতে তিনি এই জামিন পেয়েছিলেন। জেল গেটের সামনে মায়ের উদ্দেশে বিদায়ের হাত নাড়েন উমর খালিদ।

বোনের বিয়েতে যোগ দেওয়ার জন্য পাওয়া ১৪ দিনের অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, দিল্লির তিহার জেলে আত্মসমর্পণ করেন সমাজকর্মী উমর খালিদ। দিল্লির একটি আদালত ১৬ ডিসেম্বর থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত খালিদকে সাময়িক মুক্তির অনুমতি দেয়। তবে সেই সঙ্গে জারি করা হয় ‘গ্যাগ অর্ডার’। এই নির্দেশ অনুযায়ী, তিনি পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের বাইরে কারও সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয় এবং তাঁকে বাড়ি অথবা বিয়ের অনুষ্ঠান যেখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছিল, সেই স্থানেই সীমাবদ্ধ থাকতে বলা হয়।

আরও পড়ুন: উমর খালিদদের জামিন মামলার রায় স্থগিত রাখলো সুপ্রিম কোর্ট

আদালত পর্যবেক্ষণে জানায়, যেহেতু এটি তাঁর নিজের বোনের বিয়ে, তাই অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ড এবং সমপরিমাণ অর্থের দুইজন জামিনদার জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর আগেও, ২০২২ সালে, বিয়ের কারণে উমর খালিদকে ২৩ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছিল। তখনও দিল্লির কারকড়ডুমা আদালত নির্দিষ্ট শর্ত আরোপ করে জামিন দেয়, যার মধ্যে সংবাদমাধ্যমে কথা বলা বা সাক্ষাৎকার দেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল।

আরও পড়ুন: উমর খালিদ ‘সম্পূর্ণ নির্দোষ’, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার: ছাত্রনেতার পাশে দাঁড়িয়ে মন্তব্য দিগ্বিজয়ের

৩৮ বছর বয়সি উমর খালিদ, যিনি জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে কারাবন্দি। ২০২০ সালের দিল্লি দাঙ্গার ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর সন্ত্রাসবিরোধী আইন ‘অবৈধ কার্যকলাপ (নিরোধ) আইন’ বা ইউএপিএ-র অধীনে মামলা দায়ের করা হয়। ওই দাঙ্গায় ৪০ জনের বেশি মুসলিমের মৃত্যু হয়, ৭০০-রও বেশি মানুষ আহত হন এবং বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন।

আরও পড়ুন: উমর খালিদ, শরজিল ইমাম ও অন্যান্যদের জামিনের শুনানি ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করল সুপ্রিম কোর্ট

দিল্লি পুলিশ উমর খালিদ-সহ একাধিক সমাজকর্মী—শারজিল ইমাম, মোহাম্মদ সেলিম খান, শিফা উর রহমান, আথার খান, মীরান হায়দার, আবদুল খালিদ সাইফি, গুলফিশা ফাতিমা এবং শাদাব—এর বিরুদ্ধে ‘দাঙ্গায় উসকানি দেওয়ার’ অভিযোগ এনেছে। আদালত একাধিকবার তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ করেছে।