০৩ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি গ্রেফতার উত্তরপ্রদেশে, বিবৃতি পেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 58

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: রাজ্য-রাজনীতিতে একে অপরকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করার নীতি নিয়ে বিতর্ক কিছু কম হয় না। কিন্তু বর্তমান সময়ে সবচেয়ে চর্চিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত। বিজেপির বহিষ্কৃত নেত্রী নুপূর শর্মার মন্তব্য নিয়ে এখনও বিতর্ক অব্যাহত। এরপরেও আবার সেই মন্তব্যের রেশ ধরে আরও বহু বিতর্ক হয়েছে। ধর্মের পাশাপাশি, লিঙ্গ, জাতি তুলে হিংসাত্মক ঘটনাও কম হয়নি। তবে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার ঘটনায় সবচেয়ে বেশি গ্রেফতার হয়েছে উত্তরপ্রদেশে, এমনটাই দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের।

মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক  সংসদে একটি তথ্য পেশ করে জানিয়েছে, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে সব থেকে বেশি  গ্রেফতার হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে সব মিলিয়ে উত্তরপ্রদেশের ৩৩০ জন মানুষকে  গ্রেফতার করা হয়েছে। তামিলনাড়ুতে গ্রেফতার হয়েছে ১৭৬ জন। তার পরে তালিকায় রয়েছে অসম। ওড়িশা ও মিজোরামের মতো রাজ্যে  কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

আরও পড়ুন: দলিত যুবককে মন্দিরে ঢুকতে বাঁধা, চলল মারধর-শারীরিক নির্যাতন

ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো ২০১৮ থেকে ২০২০ পর্যন্ত একটি তথ্য প্রকাশ করেছে। সেই তথ্যই এদিন তুলে ধরা হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে।

আরও পড়ুন: ফের সোনম কাণ্ডের ছায়া, যোগী রাজ্যে প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীর মুন্ডুচ্ছেদ করলেন স্ত্রী

লোকসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে আরও দাবি করা হয়েছে, ধর্মীয় আবেগে আঘাত করার ইচ্ছাকৃত ও বিদ্বেষপূর্ণ কোনও প্রবণতা দেখা যায়নি।

আরও পড়ুন: হিন্দুত্ববাদীদের হুমকি, মসজিদকে ভেঙে ফেললেন খোদ মুসলিমরাই

সম্প্রতি নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু এলাকা উত্তপ্ত হয়। বিক্ষোভকারীদের দাঙ্গাবাজ বলে চিহ্নিত করে যোগী সরকারের পুলিশ তাদের থানায় আটকে রেখে অমানুষিক অত্যাচার চালায়। বিক্ষোভকারীদের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।   ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সরব হন দেশের আইনজীবীরা। এমনকী সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানাকে চিঠিও লেখেন ১২ জন আইনজীবী। যদিও বেআইনি নির্মাণ ভেঙে  ফেলার ঘটনায় স্থগিতাদেশ দেয়নি দেশের শীর্ষ আদালত।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি গ্রেফতার উত্তরপ্রদেশে, বিবৃতি পেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

আপডেট : ২ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: রাজ্য-রাজনীতিতে একে অপরকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করার নীতি নিয়ে বিতর্ক কিছু কম হয় না। কিন্তু বর্তমান সময়ে সবচেয়ে চর্চিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত। বিজেপির বহিষ্কৃত নেত্রী নুপূর শর্মার মন্তব্য নিয়ে এখনও বিতর্ক অব্যাহত। এরপরেও আবার সেই মন্তব্যের রেশ ধরে আরও বহু বিতর্ক হয়েছে। ধর্মের পাশাপাশি, লিঙ্গ, জাতি তুলে হিংসাত্মক ঘটনাও কম হয়নি। তবে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার ঘটনায় সবচেয়ে বেশি গ্রেফতার হয়েছে উত্তরপ্রদেশে, এমনটাই দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের।

মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক  সংসদে একটি তথ্য পেশ করে জানিয়েছে, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে সব থেকে বেশি  গ্রেফতার হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে সব মিলিয়ে উত্তরপ্রদেশের ৩৩০ জন মানুষকে  গ্রেফতার করা হয়েছে। তামিলনাড়ুতে গ্রেফতার হয়েছে ১৭৬ জন। তার পরে তালিকায় রয়েছে অসম। ওড়িশা ও মিজোরামের মতো রাজ্যে  কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

আরও পড়ুন: দলিত যুবককে মন্দিরে ঢুকতে বাঁধা, চলল মারধর-শারীরিক নির্যাতন

ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো ২০১৮ থেকে ২০২০ পর্যন্ত একটি তথ্য প্রকাশ করেছে। সেই তথ্যই এদিন তুলে ধরা হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে।

আরও পড়ুন: ফের সোনম কাণ্ডের ছায়া, যোগী রাজ্যে প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীর মুন্ডুচ্ছেদ করলেন স্ত্রী

লোকসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে আরও দাবি করা হয়েছে, ধর্মীয় আবেগে আঘাত করার ইচ্ছাকৃত ও বিদ্বেষপূর্ণ কোনও প্রবণতা দেখা যায়নি।

আরও পড়ুন: হিন্দুত্ববাদীদের হুমকি, মসজিদকে ভেঙে ফেললেন খোদ মুসলিমরাই

সম্প্রতি নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু এলাকা উত্তপ্ত হয়। বিক্ষোভকারীদের দাঙ্গাবাজ বলে চিহ্নিত করে যোগী সরকারের পুলিশ তাদের থানায় আটকে রেখে অমানুষিক অত্যাচার চালায়। বিক্ষোভকারীদের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।   ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সরব হন দেশের আইনজীবীরা। এমনকী সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানাকে চিঠিও লেখেন ১২ জন আইনজীবী। যদিও বেআইনি নির্মাণ ভেঙে  ফেলার ঘটনায় স্থগিতাদেশ দেয়নি দেশের শীর্ষ আদালত।