১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লেজার রশ্মি দিয়ে মক্কার আকাশে পবিত্র কুরআনের আয়াত !

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, বুধবার
  • / 19

 

 

আরও পড়ুন: মাহে রমযানে পবিত্র কুরআনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে হবে, আলিয়ার অনুষ্ঠানে বললেন ইমরান

 

আরও পড়ুন: পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতায় হলিউডের চিত্রনাট্যকার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: মক্কার আকাশে লেজার লাইট ডিসপ্লে দিয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা.-র কাছে নাজিল হওয়া প্রথম কুরআনের আয়াত প্রদর্শন করা হয়েছে। ঐতিহাসিক জাবাল আল নূর পাহাড়ে এ আয়োজন করা হয়। মক্কার বায়তুল্লাহ শরিফ থেকে ৪ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে জাবাল আল নূরের অবস্থান। সেখানকার হেরা গুহা নামের একটি গুহাতে অবস্থানকালে নবী সা.র কাছে সর্বপ্রথম কুরআনের আয়াত নিয়ে আসেন ফেরেশতা জিবরাইল (আ.)। মক্কা ইতিহাস কেন্দ্রের পরিচালক ড. ফাওয়াজ আল-দাহাস বলেন, সাধারণভাবে মুসলিমদের কাছে জাবাল আল নূরের একটি ঐতিহাসিক মূল্য রয়েছে এবং এটি মক্কার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। ইতিহাসে এটি হেরা পর্বত নামেই বেশি পরিচিত। তবে পবিত্র কুরআনের প্রথম আয়াত নাজিলের পর পুরো পৃথিবীতে যে আলো বিচ্ছুরিত হয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে এই পাহাড়ের নামকরণ করা হয়েছে জাবাল আল-নূর (আলোর পর্বত)। ড. ফাওয়াজ বলেন, মক্কার যে বৈশিষ্ট্য বিশ্বের অন্যান্য শহর থেকে একে আলাদা করে সেটি হল এটি একটি উন্মুক্ত জাদুঘর। এর সমস্ত পর্বত, উপত্যকা, পাথর ও কবরস্থান এক-একটি অনন্য ইতিহাসের প্রতিনিধিত্ব করে। নবী এবং তার সম্মানিত সঙ্গীদের কাহিনীগুলো জানায়। জাবাল আল-নূরের বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল-আজহারি বলেন, লেজারের আলোর মাধ্যমে পবিত্র কুরআনের আয়াতের উপস্থাপনা স্থানটিকে একটি আধ্যাত্মিক মাত্রা দিয়েছে। স্থানটির প্রতি আরও শ্রদ্ধা-ভক্তির উদ্রেক করেছে। লেজারের মাধ্যমে আয়াতটি উপস্থাপন করেছিল সাময়া ইনভেস্টমেন্ট, এই সংস্থাটি মক্কায় দুটি সাংস্কৃতিক প্রকল্পও তৈরি করছে। এগুলো হচ্ছে মিউজিয়াম অব রিভেলেশন এবং মিউজিয়াম অব মাইগ্রেশন। এগুলোর লক্ষ্য হচ্ছে, প্রাক-ইসলামি যুগ থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের উপস্থাপনার মাধ্যমে ইসলামি ইতিহাসের সাথে দর্শকদের পরিচিত করা।

আরও পড়ুন: চার মাসে নিজ হাতে পবিত্র কোরআন লিখে বিস্ময় সৃষ্টি কাশ্মীরি কন্যার

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

লেজার রশ্মি দিয়ে মক্কার আকাশে পবিত্র কুরআনের আয়াত !

আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, বুধবার

 

 

আরও পড়ুন: মাহে রমযানে পবিত্র কুরআনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে হবে, আলিয়ার অনুষ্ঠানে বললেন ইমরান

 

আরও পড়ুন: পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতায় হলিউডের চিত্রনাট্যকার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: মক্কার আকাশে লেজার লাইট ডিসপ্লে দিয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা.-র কাছে নাজিল হওয়া প্রথম কুরআনের আয়াত প্রদর্শন করা হয়েছে। ঐতিহাসিক জাবাল আল নূর পাহাড়ে এ আয়োজন করা হয়। মক্কার বায়তুল্লাহ শরিফ থেকে ৪ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে জাবাল আল নূরের অবস্থান। সেখানকার হেরা গুহা নামের একটি গুহাতে অবস্থানকালে নবী সা.র কাছে সর্বপ্রথম কুরআনের আয়াত নিয়ে আসেন ফেরেশতা জিবরাইল (আ.)। মক্কা ইতিহাস কেন্দ্রের পরিচালক ড. ফাওয়াজ আল-দাহাস বলেন, সাধারণভাবে মুসলিমদের কাছে জাবাল আল নূরের একটি ঐতিহাসিক মূল্য রয়েছে এবং এটি মক্কার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। ইতিহাসে এটি হেরা পর্বত নামেই বেশি পরিচিত। তবে পবিত্র কুরআনের প্রথম আয়াত নাজিলের পর পুরো পৃথিবীতে যে আলো বিচ্ছুরিত হয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে এই পাহাড়ের নামকরণ করা হয়েছে জাবাল আল-নূর (আলোর পর্বত)। ড. ফাওয়াজ বলেন, মক্কার যে বৈশিষ্ট্য বিশ্বের অন্যান্য শহর থেকে একে আলাদা করে সেটি হল এটি একটি উন্মুক্ত জাদুঘর। এর সমস্ত পর্বত, উপত্যকা, পাথর ও কবরস্থান এক-একটি অনন্য ইতিহাসের প্রতিনিধিত্ব করে। নবী এবং তার সম্মানিত সঙ্গীদের কাহিনীগুলো জানায়। জাবাল আল-নূরের বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল-আজহারি বলেন, লেজারের আলোর মাধ্যমে পবিত্র কুরআনের আয়াতের উপস্থাপনা স্থানটিকে একটি আধ্যাত্মিক মাত্রা দিয়েছে। স্থানটির প্রতি আরও শ্রদ্ধা-ভক্তির উদ্রেক করেছে। লেজারের মাধ্যমে আয়াতটি উপস্থাপন করেছিল সাময়া ইনভেস্টমেন্ট, এই সংস্থাটি মক্কায় দুটি সাংস্কৃতিক প্রকল্পও তৈরি করছে। এগুলো হচ্ছে মিউজিয়াম অব রিভেলেশন এবং মিউজিয়াম অব মাইগ্রেশন। এগুলোর লক্ষ্য হচ্ছে, প্রাক-ইসলামি যুগ থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের উপস্থাপনার মাধ্যমে ইসলামি ইতিহাসের সাথে দর্শকদের পরিচিত করা।

আরও পড়ুন: চার মাসে নিজ হাতে পবিত্র কোরআন লিখে বিস্ময় সৃষ্টি কাশ্মীরি কন্যার