১২ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’: সমস্যা সমাধানে নিজেরাই এগিয়ে এলেন বিজয়নগরের বাসিন্দারা

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ১২ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 30

ইনামুল হক, বারাসত: দুয়ারে সরকারের যুগান্তকারী সাফল্যের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির সূচনা হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। পাড়ায় পাড়ায় চলছে ক্যাম্প। শুরু থেকে দু’মাস অর্থাৎ ৬০ দিন ধরে এই ক্যাম্প চলার কথা।

পরবর্তী এক মাস অর্থাৎ ৩০ দিন প্রশাসনিক আধিকারিকদের দ্বারা মূল্যায়ন হওয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ শুরু হবে। সারা রাজ্যে ৮০ হাজারেরও বেশি বুথের কভারেজ দিতে ২৭ হাজারেরও বেশি ক্যাম্প হবে। সাধারণভাবে তিনটি বুথ নিয়ে একটি করে ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কর্পোরেশন এলাকার ক্ষেত্রে দুটি করে বুথ নিয়ে এই ক্যাম্প চলছে।

আরও পড়ুন: সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোই তৃণমূলের আসল রাজনীতি: অভিষেক

মঙ্গলবার বারাসাত পৌরসভা এলাকার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়নগর স্পোর্টিং ক্লাবে ১১৯ ও ১২০ নম্বর বুথ নিয়ে আয়োজিত ক্যাম্পে গিয়ে দেখা গেল এলাকার বাসিন্দারা নিজেরাই ঠিক করলেন ১০ লক্ষ টাকার কাজ। নিজেরাই নিজেদের পাড়ার সমস্যা সমাধানের জন্য এদিন হাজির হয় সকাল ন’টা থেকেই। নাম রেজিস্ট্রেশন করার জন্য ভোটার আই কার্ড হাতে লম্বা লাইন পড়ে যায়।

আরও পড়ুন: ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’, তিন নয়া নির্দেশিকা মুখ্য সচিবের

'আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান': সমস্যা সমাধানে নিজেরাই এগিয়ে এলেন বিজয়নগরের বাসিন্দারা

আরও পড়ুন: আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান কর্মসূচিতে বাড়ি বাড়ি ঘুরলেন কাকদ্বীপের বিধায়ক

কারণ প্রত্যেক ভোটারেরই সুযোগ রয়েছে সাধারণ সমস্যার সমাধানের জন্য প্রস্তাব দেওয়ার। সেক্ষেত্রে তাকে প্রথমেই নির্দিষ্ট ডেস্কে ভোটার আই কার্ড দেখিয়ে নাম রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। এরপর তাকে একটি আইডি নম্বর দেওয়া হয়। সেই আইডি নম্বর নিয়ে ভোটার সরাসরি ভাবে সমস্যা বা প্রস্তাবিত কাজ নথিভুক্ত করার জন্য বুথ সহায়ক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের টেবিলে যাবেন। সেখানে থাকছেন নিরপেক্ষ গোষ্ঠীর প্রতিনিধি একজন। তিনি সংশ্লিষ্ট বুথের বাসিন্দা। পেশায় শিক্ষক বা সরকারি কর্মচারী হতে পারেন।

কাজের প্রস্তাব সরকার নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী হলে তা লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে।কোন ভোটার এককভাবে বা দলগতভাবে লিখিত আকারেও পাড়ার কাজের কথা জানাতে পারেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমস্ত প্রস্তাব লিপিবদ্ধ হওয়ার পর প্রস্তাবকারীদের নিয়ে নিরপেক্ষ গোষ্ঠীর প্রতিনিধির আলাপ আলোচনার মাধ্যমে কোন কোন কাজটিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে তার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে নেওয়া হয় এবং তার ক্রম অনুযায়ী নির্ধারিত তালিকা স্বাক্ষর করে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে দেওয়া হয়।

এরপর আধিকারিক কাজের নাম, প্রস্তাবকের নাম এবং কতজন মানুষ উপকৃত হবেন তার উল্লেখসহ চূড়ান্ত তালিকা করে সংশ্লিষ্ট বুথেই টাঙিয়ে দেন। বুথের জন্য বরাদ্দ ১০ লক্ষ টাকার মধ্যে যেসব কাজগুলিকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে সেগুলি হল ড্রেনেজ, স্ট্রিট লাইট, পানীয় জল এবং ছোটখাটো রাস্তা। এছাড়াও বিবিধ পর্যায়ে খেলার মাঠ ফেন্সিং, স্কুল বিল্ডিং এর সৌন্দর্যায়ন ইত্যাদিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এ দিন ক্যাম্প পরিদর্শনে আসেন বারাসাত পুরসভার পুরপ্রধান অশনি মুখোপাধ্যায়, স্থানীয় কাউন্সিলর সমীর কুন্ডু, বিজয়নগর প্রোটিন ক্লাবের সম্পাদক নিতাই সরকার, সমাজসেবী জয়ন্ত ঘোষ সেন্টু প্রমুখ।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’: সমস্যা সমাধানে নিজেরাই এগিয়ে এলেন বিজয়নগরের বাসিন্দারা

আপডেট : ১২ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার

ইনামুল হক, বারাসত: দুয়ারে সরকারের যুগান্তকারী সাফল্যের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির সূচনা হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। পাড়ায় পাড়ায় চলছে ক্যাম্প। শুরু থেকে দু’মাস অর্থাৎ ৬০ দিন ধরে এই ক্যাম্প চলার কথা।

পরবর্তী এক মাস অর্থাৎ ৩০ দিন প্রশাসনিক আধিকারিকদের দ্বারা মূল্যায়ন হওয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ শুরু হবে। সারা রাজ্যে ৮০ হাজারেরও বেশি বুথের কভারেজ দিতে ২৭ হাজারেরও বেশি ক্যাম্প হবে। সাধারণভাবে তিনটি বুথ নিয়ে একটি করে ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কর্পোরেশন এলাকার ক্ষেত্রে দুটি করে বুথ নিয়ে এই ক্যাম্প চলছে।

আরও পড়ুন: সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোই তৃণমূলের আসল রাজনীতি: অভিষেক

মঙ্গলবার বারাসাত পৌরসভা এলাকার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়নগর স্পোর্টিং ক্লাবে ১১৯ ও ১২০ নম্বর বুথ নিয়ে আয়োজিত ক্যাম্পে গিয়ে দেখা গেল এলাকার বাসিন্দারা নিজেরাই ঠিক করলেন ১০ লক্ষ টাকার কাজ। নিজেরাই নিজেদের পাড়ার সমস্যা সমাধানের জন্য এদিন হাজির হয় সকাল ন’টা থেকেই। নাম রেজিস্ট্রেশন করার জন্য ভোটার আই কার্ড হাতে লম্বা লাইন পড়ে যায়।

আরও পড়ুন: ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’, তিন নয়া নির্দেশিকা মুখ্য সচিবের

'আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান': সমস্যা সমাধানে নিজেরাই এগিয়ে এলেন বিজয়নগরের বাসিন্দারা

আরও পড়ুন: আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান কর্মসূচিতে বাড়ি বাড়ি ঘুরলেন কাকদ্বীপের বিধায়ক

কারণ প্রত্যেক ভোটারেরই সুযোগ রয়েছে সাধারণ সমস্যার সমাধানের জন্য প্রস্তাব দেওয়ার। সেক্ষেত্রে তাকে প্রথমেই নির্দিষ্ট ডেস্কে ভোটার আই কার্ড দেখিয়ে নাম রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। এরপর তাকে একটি আইডি নম্বর দেওয়া হয়। সেই আইডি নম্বর নিয়ে ভোটার সরাসরি ভাবে সমস্যা বা প্রস্তাবিত কাজ নথিভুক্ত করার জন্য বুথ সহায়ক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের টেবিলে যাবেন। সেখানে থাকছেন নিরপেক্ষ গোষ্ঠীর প্রতিনিধি একজন। তিনি সংশ্লিষ্ট বুথের বাসিন্দা। পেশায় শিক্ষক বা সরকারি কর্মচারী হতে পারেন।

কাজের প্রস্তাব সরকার নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী হলে তা লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে।কোন ভোটার এককভাবে বা দলগতভাবে লিখিত আকারেও পাড়ার কাজের কথা জানাতে পারেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমস্ত প্রস্তাব লিপিবদ্ধ হওয়ার পর প্রস্তাবকারীদের নিয়ে নিরপেক্ষ গোষ্ঠীর প্রতিনিধির আলাপ আলোচনার মাধ্যমে কোন কোন কাজটিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে তার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে নেওয়া হয় এবং তার ক্রম অনুযায়ী নির্ধারিত তালিকা স্বাক্ষর করে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে দেওয়া হয়।

এরপর আধিকারিক কাজের নাম, প্রস্তাবকের নাম এবং কতজন মানুষ উপকৃত হবেন তার উল্লেখসহ চূড়ান্ত তালিকা করে সংশ্লিষ্ট বুথেই টাঙিয়ে দেন। বুথের জন্য বরাদ্দ ১০ লক্ষ টাকার মধ্যে যেসব কাজগুলিকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে সেগুলি হল ড্রেনেজ, স্ট্রিট লাইট, পানীয় জল এবং ছোটখাটো রাস্তা। এছাড়াও বিবিধ পর্যায়ে খেলার মাঠ ফেন্সিং, স্কুল বিল্ডিং এর সৌন্দর্যায়ন ইত্যাদিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এ দিন ক্যাম্প পরিদর্শনে আসেন বারাসাত পুরসভার পুরপ্রধান অশনি মুখোপাধ্যায়, স্থানীয় কাউন্সিলর সমীর কুন্ডু, বিজয়নগর প্রোটিন ক্লাবের সম্পাদক নিতাই সরকার, সমাজসেবী জয়ন্ত ঘোষ সেন্টু প্রমুখ।