০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পঞ্চায়েত ভোটের আগে হিন্দুত্বের আবেগ জাগাতে রামনবমী হাতিয়ার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৫ মার্চ ২০২৩, রবিবার
  • / 11

নিজস্ব প্রতিবেদক: দরজায় কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত ভোট। আর গ্রাম বাংলার ভোটের আগে রামনবমীকে হাতিয়ার করে হিন্দুত্বের আবেগে সুড়সুড়ি দিতে চাইছে রাজ্যের বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতৃত্ব।

আগামী ৩০ মার্চ রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে যাতে ভগবান রামের জন্মদিন উপলক্ষে মিছিল বের করা যায় সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে ইতিমধ্যেই সংগঠনের জেলা নেতৃত্বকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উত্তরবঙ্গের চেয়েও এবার বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গে।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দক্ষিণবঙ্গের মুখপাত্র সৌরীশ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘রামনবমীর দিন রাম নামে এবার মুখরিত হবে বাংলার বিভিন্ন রাজপথ।’ রামনবমীতে অস্ত্র হাতে মিছিল করারও পরিকল্পনা নিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শাখা সংগঠন বজরং দল ও দুর্গা বাহিনী।

করোনা সংক্রমণের কারণে পর পর দু’বছর তেমনভাবে রামনবমী পালন করতে পারেনি বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। গত বছর করোনার বিধিনিষেধ উঠে গেলেও বিধানসভা ভোটে বিজেপির মুখ থুবড়ে পড়ার কারণে অনেকটাই হত্যদ্যম হয়ে পড়েছিল কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা। উত্তরবঙ্গে ঘটা করে রামনবমী উদযাপন করা হলেও দক্ষিণবঙ্গে তেমন সাড়া মেলেনি। তাই দক্ষিণবঙ্গে হিন্দুত্বের অস্ত্রে শান দিতে আগামী ৩০ মার্চের রামনবমীকে ফের হাতিয়ার করতে চলেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ রাজ্য নেতৃত্ব।

‘হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই, হিন্দুদের একতা চাই’ স্লোগানকে সামনে রেখে এবছর রামনবমী উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরিষদের পদাধিকারীরা। কোথাও যেমন ধর্মীয় শোভাযাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে, তেমনই বাইক মিছিলও থাকছে। বোলপুর, কালনা, ভগবানপুর, দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর, ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের জগদ্দল, কাঁকিনাড়া ও ব্যারাকপুরে বিশালাকারের শোভাযাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে। অবাঙালিদের পাশাপাশি বাঙালিদের কাছেও রামচন্দ্রকে প্রধান আরাধ্য হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে পরিষদ নেতৃত্ব। রামনবমীতে অস্ত্র মিছিল হবে কিনা, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার জেলা নেতৃত্বের উপরেই ছাড়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দক্ষিণবঙ্গের মুখপাত্র সৌরীশ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘রামনবমীতে অস্ত্র নিয়ে মিছিল ধর্মীয় প্রথা। পুরুষোত্তম রাম ক্ষত্রিয় ছিলেন। বিখ্যাত শস্ত্রবিদ ছিলেন। ফলে তাঁর জন্মদিনে শস্ত্র হাতে মিছিল করায় অন্যায়ের কিছু নেই। বাংলায় যাতে হিন্দুরা নিজেদের ধর্মীয় আচরণ পালন করতে পারেন সে বিষয়ে প্রশাসন সহযোগিতা করবে বলেই আশা করছি।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পঞ্চায়েত ভোটের আগে হিন্দুত্বের আবেগ জাগাতে রামনবমী হাতিয়ার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

আপডেট : ৫ মার্চ ২০২৩, রবিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক: দরজায় কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত ভোট। আর গ্রাম বাংলার ভোটের আগে রামনবমীকে হাতিয়ার করে হিন্দুত্বের আবেগে সুড়সুড়ি দিতে চাইছে রাজ্যের বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতৃত্ব।

আগামী ৩০ মার্চ রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে যাতে ভগবান রামের জন্মদিন উপলক্ষে মিছিল বের করা যায় সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে ইতিমধ্যেই সংগঠনের জেলা নেতৃত্বকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উত্তরবঙ্গের চেয়েও এবার বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গে।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দক্ষিণবঙ্গের মুখপাত্র সৌরীশ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘রামনবমীর দিন রাম নামে এবার মুখরিত হবে বাংলার বিভিন্ন রাজপথ।’ রামনবমীতে অস্ত্র হাতে মিছিল করারও পরিকল্পনা নিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শাখা সংগঠন বজরং দল ও দুর্গা বাহিনী।

করোনা সংক্রমণের কারণে পর পর দু’বছর তেমনভাবে রামনবমী পালন করতে পারেনি বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। গত বছর করোনার বিধিনিষেধ উঠে গেলেও বিধানসভা ভোটে বিজেপির মুখ থুবড়ে পড়ার কারণে অনেকটাই হত্যদ্যম হয়ে পড়েছিল কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা। উত্তরবঙ্গে ঘটা করে রামনবমী উদযাপন করা হলেও দক্ষিণবঙ্গে তেমন সাড়া মেলেনি। তাই দক্ষিণবঙ্গে হিন্দুত্বের অস্ত্রে শান দিতে আগামী ৩০ মার্চের রামনবমীকে ফের হাতিয়ার করতে চলেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ রাজ্য নেতৃত্ব।

‘হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই, হিন্দুদের একতা চাই’ স্লোগানকে সামনে রেখে এবছর রামনবমী উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরিষদের পদাধিকারীরা। কোথাও যেমন ধর্মীয় শোভাযাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে, তেমনই বাইক মিছিলও থাকছে। বোলপুর, কালনা, ভগবানপুর, দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর, ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের জগদ্দল, কাঁকিনাড়া ও ব্যারাকপুরে বিশালাকারের শোভাযাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে। অবাঙালিদের পাশাপাশি বাঙালিদের কাছেও রামচন্দ্রকে প্রধান আরাধ্য হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে পরিষদ নেতৃত্ব। রামনবমীতে অস্ত্র মিছিল হবে কিনা, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার জেলা নেতৃত্বের উপরেই ছাড়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দক্ষিণবঙ্গের মুখপাত্র সৌরীশ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘রামনবমীতে অস্ত্র নিয়ে মিছিল ধর্মীয় প্রথা। পুরুষোত্তম রাম ক্ষত্রিয় ছিলেন। বিখ্যাত শস্ত্রবিদ ছিলেন। ফলে তাঁর জন্মদিনে শস্ত্র হাতে মিছিল করায় অন্যায়ের কিছু নেই। বাংলায় যাতে হিন্দুরা নিজেদের ধর্মীয় আচরণ পালন করতে পারেন সে বিষয়ে প্রশাসন সহযোগিতা করবে বলেই আশা করছি।’