দেবশ্রী মজুমদার, শান্তিনিকেতন : প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুতের অনুরোধ রাখলো না বিশ্বভারতী, ফেরত দিতেই হবে তিনটি মোবাইল। এমনটাই চিঠি দিয়ে প্রাক্তন উপাচার্যকে জানালো বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিদ্যুৎ জমানায় অকারণে অনেককেই তদন্তের নামে হেনস্থার শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এবার প্রাক্তন উপাচার্যর বিরুদ্ধে কোনো তদন্তের ইঙ্গিত দিচ্ছে? মোবাইল তিনটি কী খুবই গুরুত্বপূর্ণ তদন্তের জন্য? কেন বিদ্যুৎ সেগুলো সঙ্গে নিয়ে গেলেন? স্বাভাবিক ভাবে সেই প্রশ্ন উঠেছে।
এভাবেই মেয়াদ শেষে অবসর গ্রহণের পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দেওয়া তিনটি মোবাইল ফেরত না দিয়ে নিজের সঙ্গে নিয়ে চলে যাওয়ায় বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নিয়ে বিতর্কে ওঠে তাঁর অবসরগ্রহণের পরও। জানা গেছে, এই মুহূর্তে তাঁর হয়ে বলার কেউ নেই। তাঁর পছন্দের অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। এবার সেই তিনটে মোবাইল ফেরত চাইলো কর্তৃপক্ষ।
চোদ্দ মার্চ এক চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব এক চিঠিতে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর তরফে গত বছর তেইশে ডিসেম্বরে বিশ্বভারতীকে পাঠানো ইমেইলের প্রাপ্তি স্বীকার করে জানান, আপনার অনুরোধ কর্তৃপক্ষ পর্যবেক্ষণ করেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি মোবাইলের পরিবর্তে অবমূল্যায়িত মূল্যে কোনো সমন্বয় সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া ওই তিনটি মোবাইল ফেরত দিতে হবে। এক্ষেত্রে কোন তিনটি মোবাইলের ক্রয়মূল্যের সঙ্গে তা কোনোভাবে সমন্বয় বা এডজাস্টমেন্ট করা যাবে না।
বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, উপাচার্য হিসাবে যোগ দেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বিদ্যুৎকে ব্যবহারের জন্য তিনটি ফোন দেওয়া হয়েছিল। সেই তিনটি ফোন থাকত বিদ্যুত চক্রবর্তীর কাছেই। গত বছরের ৮ নভেম্বর উপাচার্য হিসাবে বিদ্যুতের মেয়াদ শেষ হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ার আগে ওই তিনটি ফোন তাঁর বিশ্বভারতীকে ফেরত দিয়ে যাওয়ার কথা।
কিন্তু অভিযোগ, সেই ফোনগুলি তিনি ফেরত দেননি। এর পরেই অভিযোগ ওঠে, ফোনগুলি সঙ্গে নিয়ে ‘পালিয়েছেন’। তার প্রেক্ষিতেই প্রাক্তন উপাচার্যের শেষ মাসের বেতন থেকে মোট ৪৫ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয় বলে প্রাথমিক সূত্রে জানা যায়। কিন্তু ওই তিনটি মোবাইল উপাচার্যর বিরুদ্ধে তদন্তে লাগতে পারে। এখন দেখার মোবাইল তিনটি বিশ্বভারতীকে তিনি ফেরত দেন কিনা। বা ফেরত না দিলে বিশ্বভারতী পরবর্তী পদক্ষেপ কি নেয়?