০৬ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৈষম্য নয় সমতা চাই: পূর্ণ  সাম্মানিক (বেতন) ও সম্মান (পুরস্কার) থেকে বঞ্চিত, শিক্ষক দিবসের প্রাক্কালে ক্ষেদ  কলেজ এর আংশিক ও চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের  

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, রবিবার
  • / 82

ইনামুল হক, বারাসতঃ বৈষম্য নয়, সমতা চাই। শিক্ষকদের মধ্যে শ্রেণি বৈষম্য ও সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চনার পাশাপাশি যোগ্য ও গুণী শিক্ষকদের সরকারি ভাবে পুরস্কার না দেওয়ায়  ক্ষেদ প্রকাশ করে একগুচ্ছ দাবি-দাওয়া জানালেন বিভিন্ন কলেজের আংশিক ও চুক্তিভিত্তিক  শিক্ষকরা।

 

আরও পড়ুন: হিন্দু ধর্মে সমতা থাকলে অস্পৃশ্যতা এল কিভাবে? ধর্মান্তকরণ ইস্যুতে বিস্ফোরক Siddaramaiah

রবিবার বারাসাতের হেলাবটতলার মধুভাষ হলে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট এডেড কলেজ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কলেজ শিক্ষকরা তাদের বিভিন্ন দাবী দাওয়ার কথা তুলে ধরেন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য।সংগঠনের সভাপতি অরুন কুমার পাল এবং আহ্বায়িকা রিঙ্কু ঘোষ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, তারা পূর্ণ সময়ের শিক্ষকদের সমান যোগ্যতা ও সমান শ্রমে শিক্ষকতার কাজ করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। অথচ তারা বিভিন্নভাবে অবমাননা ও বঞ্চনার শিকার।

আরও পড়ুন: শিক্ষক দিবসে শুভেচ্ছা জানালেন মমতা ও অভিষেক

 

আরও পড়ুন: ‘ইন্ডিয়া’ গরিব, বঞ্চিত ও নিপীড়িতদের কণ্ঠস্বর: দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বললেন হেমন্ত সোরেন

নেই ৬৫ বছরের চাকরির নিরাপত্তা, নেই বেতন কাঠামো, নেই পেনশন, নেই কোন পুরস্কার। সংগঠনের সদস্য তথা কলেজ শিক্ষিকা কৃষ্ণা মিত্র , মানসী ঘোষ, শাশ্বতী দাস বিধান সরকার, সেলিম উদ্দিন, ডোরা মিত্ররা  তাদের অভিজ্ঞতার কথা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরে বলেন ২৫-৩০ বছর ধরে কাজ করেও নেই যোগ্য সাম্মানিক। সর্বসাকুল্যে মাস মাহিনা হিসেবে ২৭-২৮ হাজার থেকে ত্রিশ বত্রিশ হাজার এর মত অর্থ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। অথচ শিক্ষকতার কাজের বাইরেও কলেজের নানাবিধ কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হয় তাদের।

 

সংগঠনের রাজ্য  কমিটির  সদস্য কলেজ শিক্ষিকা মুনমুন রায়, বিপ্লব দাস, তাপস মন্ডলদের আক্ষেপের সঙ্গে অনুযোগ, একে তো সাম্মানিক বেতনের এই দৈন্যদশা। তার ওপরে শিক্ষক দিবসে সরকারিভাবে প্রদত্ত সম্মান শিক্ষারত্ন পুরস্কার থেকেও বঞ্চিত আমাদের যোগ্য ও গুণী শিক্ষক-শিক্ষিকারা। শিক্ষকতার এই মহান পেশায় যুক্ত থেকেও শ্রেণি বৈষম্যের শিকার হয়েই বছরের পর বছর ধরে এভাবেই অপমানিত ও অবহেলিত আংশিক সময়ের কলেজ শিক্ষকরা।

 

৬৫ বছরে অবসর গ্রহণ, পে স্কেল, মাস মাইনের বৈষম্য দূরীকরণ, ভদ্রস্থ গ্রাচুইটি, পেনশন ব্যবস্থার আওতাভুক্ত করা এবং হেলথ স্কিমের আওতাভুক্ত করা সহ একগুচ্ছ  ন্যায্য দাবি দাওয়া পূরণ করার আবেদন জানান রাজ্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তারা আশাবাদী শিক্ষক দিবসে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী প্রাথমিক  শিক্ষা থেকে উচ্চ শিক্ষা স্তরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে সমান নজরে বিবেচনা করার সাথে সাথে তাদের জন্যও যোগ্য ও সদর্থক বার্তা দেবেন।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বৈষম্য নয় সমতা চাই: পূর্ণ  সাম্মানিক (বেতন) ও সম্মান (পুরস্কার) থেকে বঞ্চিত, শিক্ষক দিবসের প্রাক্কালে ক্ষেদ  কলেজ এর আংশিক ও চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের  

আপডেট : ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, রবিবার

ইনামুল হক, বারাসতঃ বৈষম্য নয়, সমতা চাই। শিক্ষকদের মধ্যে শ্রেণি বৈষম্য ও সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চনার পাশাপাশি যোগ্য ও গুণী শিক্ষকদের সরকারি ভাবে পুরস্কার না দেওয়ায়  ক্ষেদ প্রকাশ করে একগুচ্ছ দাবি-দাওয়া জানালেন বিভিন্ন কলেজের আংশিক ও চুক্তিভিত্তিক  শিক্ষকরা।

 

আরও পড়ুন: হিন্দু ধর্মে সমতা থাকলে অস্পৃশ্যতা এল কিভাবে? ধর্মান্তকরণ ইস্যুতে বিস্ফোরক Siddaramaiah

রবিবার বারাসাতের হেলাবটতলার মধুভাষ হলে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট এডেড কলেজ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কলেজ শিক্ষকরা তাদের বিভিন্ন দাবী দাওয়ার কথা তুলে ধরেন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য।সংগঠনের সভাপতি অরুন কুমার পাল এবং আহ্বায়িকা রিঙ্কু ঘোষ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, তারা পূর্ণ সময়ের শিক্ষকদের সমান যোগ্যতা ও সমান শ্রমে শিক্ষকতার কাজ করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। অথচ তারা বিভিন্নভাবে অবমাননা ও বঞ্চনার শিকার।

আরও পড়ুন: শিক্ষক দিবসে শুভেচ্ছা জানালেন মমতা ও অভিষেক

 

আরও পড়ুন: ‘ইন্ডিয়া’ গরিব, বঞ্চিত ও নিপীড়িতদের কণ্ঠস্বর: দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বললেন হেমন্ত সোরেন

নেই ৬৫ বছরের চাকরির নিরাপত্তা, নেই বেতন কাঠামো, নেই পেনশন, নেই কোন পুরস্কার। সংগঠনের সদস্য তথা কলেজ শিক্ষিকা কৃষ্ণা মিত্র , মানসী ঘোষ, শাশ্বতী দাস বিধান সরকার, সেলিম উদ্দিন, ডোরা মিত্ররা  তাদের অভিজ্ঞতার কথা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরে বলেন ২৫-৩০ বছর ধরে কাজ করেও নেই যোগ্য সাম্মানিক। সর্বসাকুল্যে মাস মাহিনা হিসেবে ২৭-২৮ হাজার থেকে ত্রিশ বত্রিশ হাজার এর মত অর্থ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। অথচ শিক্ষকতার কাজের বাইরেও কলেজের নানাবিধ কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হয় তাদের।

 

সংগঠনের রাজ্য  কমিটির  সদস্য কলেজ শিক্ষিকা মুনমুন রায়, বিপ্লব দাস, তাপস মন্ডলদের আক্ষেপের সঙ্গে অনুযোগ, একে তো সাম্মানিক বেতনের এই দৈন্যদশা। তার ওপরে শিক্ষক দিবসে সরকারিভাবে প্রদত্ত সম্মান শিক্ষারত্ন পুরস্কার থেকেও বঞ্চিত আমাদের যোগ্য ও গুণী শিক্ষক-শিক্ষিকারা। শিক্ষকতার এই মহান পেশায় যুক্ত থেকেও শ্রেণি বৈষম্যের শিকার হয়েই বছরের পর বছর ধরে এভাবেই অপমানিত ও অবহেলিত আংশিক সময়ের কলেজ শিক্ষকরা।

 

৬৫ বছরে অবসর গ্রহণ, পে স্কেল, মাস মাইনের বৈষম্য দূরীকরণ, ভদ্রস্থ গ্রাচুইটি, পেনশন ব্যবস্থার আওতাভুক্ত করা এবং হেলথ স্কিমের আওতাভুক্ত করা সহ একগুচ্ছ  ন্যায্য দাবি দাওয়া পূরণ করার আবেদন জানান রাজ্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তারা আশাবাদী শিক্ষক দিবসে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী প্রাথমিক  শিক্ষা থেকে উচ্চ শিক্ষা স্তরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে সমান নজরে বিবেচনা করার সাথে সাথে তাদের জন্যও যোগ্য ও সদর্থক বার্তা দেবেন।