১৯ জুলাই ২০২৫, শনিবার, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাতিল হওয়া ওষুধে নিষেধাজ্ঞা জারি রাজ্যের

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 186

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের পরীক্ষায় ফেল করা ১৯৪টি ওষুধের ব্যাচের ওপর এবার কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যের সমস্ত পাইকারি ও খুচরো ওষুধ ব্যবসায়ী, বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোম এবং সরকারি হাসপাতালকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অবিলম্বে এই নির্দিষ্ট ব্যাচের ওষুধ বাজার থেকে তুলে নিতে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, হাই ডায়াবেটিক রোগী, হাই ব্লাড প্রেসার রোগী, এবং হার্ট ফেলিওর বা বুকে ব্যথার রোগীরা যদি এই জাল ব্যাচের ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে তীব্র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, এমনকি জীবনের ঝুঁকি হতে পারে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি জেলা হাসপাতাল, নার্সিংহোম ও ওষুধের দোকানে বিশেষ নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। সাপ্লাই চেইন থেকে অবিলম্বে এই ওষুধ সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও অবস্থাতেই এই ব্যাচের ওষুধ বিক্রি বা ব্যবহার করা যাবে না।

ওষুধ কেনার সময় গ্রাহকদের ব্যাচ নম্বর ভালোভাবে যাচাই করার পরামর্শ দিচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। বিশেষ করে যাঁরা বর্তমানে টেলমা-৪০ বা অন্যান্য উল্লেখিত ওষুধ সেবন করছেন, তাঁদের দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।

ড্রাগ কন্ট্রোলের বক্তব্য,  “রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল আধিকারিকের বক্তব্য, এই ধরনের ঘটনা জনস্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক বিপজ্জনক। এই ঘটনার পর আরও কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে ওষুধ সরবরাহের প্রতিটি ধাপে। যে সংস্থাগুলি এই জাল ওষুধ বাজারে ছেড়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে”।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বাতিল হওয়া ওষুধে নিষেধাজ্ঞা জারি রাজ্যের

আপডেট : ২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের পরীক্ষায় ফেল করা ১৯৪টি ওষুধের ব্যাচের ওপর এবার কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যের সমস্ত পাইকারি ও খুচরো ওষুধ ব্যবসায়ী, বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোম এবং সরকারি হাসপাতালকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অবিলম্বে এই নির্দিষ্ট ব্যাচের ওষুধ বাজার থেকে তুলে নিতে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, হাই ডায়াবেটিক রোগী, হাই ব্লাড প্রেসার রোগী, এবং হার্ট ফেলিওর বা বুকে ব্যথার রোগীরা যদি এই জাল ব্যাচের ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে তীব্র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, এমনকি জীবনের ঝুঁকি হতে পারে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি জেলা হাসপাতাল, নার্সিংহোম ও ওষুধের দোকানে বিশেষ নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। সাপ্লাই চেইন থেকে অবিলম্বে এই ওষুধ সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও অবস্থাতেই এই ব্যাচের ওষুধ বিক্রি বা ব্যবহার করা যাবে না।

ওষুধ কেনার সময় গ্রাহকদের ব্যাচ নম্বর ভালোভাবে যাচাই করার পরামর্শ দিচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। বিশেষ করে যাঁরা বর্তমানে টেলমা-৪০ বা অন্যান্য উল্লেখিত ওষুধ সেবন করছেন, তাঁদের দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।

ড্রাগ কন্ট্রোলের বক্তব্য,  “রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল আধিকারিকের বক্তব্য, এই ধরনের ঘটনা জনস্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক বিপজ্জনক। এই ঘটনার পর আরও কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে ওষুধ সরবরাহের প্রতিটি ধাপে। যে সংস্থাগুলি এই জাল ওষুধ বাজারে ছেড়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে”।