১০ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রকৃতি এবং বন্যপ্রাণ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে তরুণ প্রজন্মকে: বীরবাহা হাঁসদা

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার
  • / 112

পুবের কলম প্রতিবেদক: শীতের প্রাক্কালে পশু-পাখি দর্শন এবং খোশ মেজাজে আড্ডা শুরু হয়ে গিয়েছে চিড়িয়াখায়। পশু-পাখি প্রিয় দর্শনার্থীদের জন্য শীতের প্রাক্কালেই বিশেষ চমক দিল আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এবার কাঁচে ঘেরা প্রায় ২০০ মিটার লম্বা টানেল কাম এনক্লোজার থেকে খুব কাছ থেকেই বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখতে পারবেন দর্শকরা। আলিপুর চিড়িয়াখানার নেচার ইনফরমেশন সেন্টারের সামনে স্বর্ণময়ী হাউজের পাশেই পাখিদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য নতুন করে এনক্লোজার তৈরি করা হয়েছে। বিশালাকার কাঁচে মোড়া খাঁচা থেকেই পাখিদের দেখতে পাওয়া যাবে।এমনকী স্বচ্ছ কাঁচের ওপারে থাকা পাখির সঙ্গে সেলফি, ছবি এবং ভিডিওগ্রাফিও করতে পারবেন দর্শকরা।

সোমবার নব নির্মিত এনক্লোজারের উদ্বোধন করেন রাজ্যের বন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। উদ্বোধনের পর মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, ‘বর্তমান সময়ে টেক স্যাভি শিশু-কিশোর পড়ুয়াদের মনকে প্রকৃতিমুখী করতে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জু অথারিটি’ এবং আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কর্মসুচী হাতে নিয়েছে।পাশাপাশি দেড়শো বছর পূর্তি উপলক্ষে আলিপুর চিড়িয়াখানাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।’রাজ্যের বন্যপ্রাণ রক্ষা, রাজ্যের জঙ্গল এবং পশু-পাখিদের প্রতি বিশেষ যত্নেরও আহ্বান জানান বন মন্ত্রী বীরবাহা হাসদা।

এদিন আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত বলেন, পাখিদের খাঁচার ভেতরে স্বচ্ছ কাঁচ দিয়ে একটি বিশেষ ওয়াকিং ওয়ে তৈরি করা হয়েছে।সোমবার থেকেই সাধারণ দর্শনার্থীরা ওয়াকিং ওয়ে থেকেই পাখিদের সঙ্গে ঘুরতে এবং ছবি তুলতে পারবেন। ইতিমধ্যেই ওই এনক্লোজারে দেশি এবং বিদেশি ১৪ টি প্রজারির দুই শতাধিক পাখি রাখা হয়েছে বলেও জানান চিড়িয়াখানার অধিকর্তা। বর্তমানে পাখিদের এনক্লোজারে ওয়েস্টার্ণক্রাউন্ড পিজিয়ন, সাদার্ন স্ক্রিমার, নীল-গলা বারবেট, রুডি শেলডাক, নব-বিলহাঁস, কনিওর, টিয়া পাখি, সবুজ ইম্পেরিয়াল পায়রা সহ একাধিক প্রজাতির পাখি রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আলিপুর চিড়িয়াখানা দেশের অন্যতম প্রাচীন হেরিটেজ চিড়িয়াখানা। ১২০ টি এনক্লোজারে প্রায় ১৫০ প্রজাতির মোট ২০০০ পশুপাখি সমৃদ্ধ আলিপুর চিড়িয়াখানায় প্রতিবছর প্রায় ৩৪ লক্ষ পর্যটক আসেন। চিড়িয়াখানার ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে  রাজ্যের বন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা সম্প্রতি তাঁর প্রয়াত বাবার স্মৃতির উদ্দেশে একটি মালায়ান টাপির সহ মাউস ডিয়ার, হগ ডিয়ার এবং চৌশিঙা হরিণ দত্তক নিয়েছেন বলেও জানান আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত।

Tag :

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রকৃতি এবং বন্যপ্রাণ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে তরুণ প্রজন্মকে: বীরবাহা হাঁসদা

আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: শীতের প্রাক্কালে পশু-পাখি দর্শন এবং খোশ মেজাজে আড্ডা শুরু হয়ে গিয়েছে চিড়িয়াখায়। পশু-পাখি প্রিয় দর্শনার্থীদের জন্য শীতের প্রাক্কালেই বিশেষ চমক দিল আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এবার কাঁচে ঘেরা প্রায় ২০০ মিটার লম্বা টানেল কাম এনক্লোজার থেকে খুব কাছ থেকেই বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখতে পারবেন দর্শকরা। আলিপুর চিড়িয়াখানার নেচার ইনফরমেশন সেন্টারের সামনে স্বর্ণময়ী হাউজের পাশেই পাখিদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য নতুন করে এনক্লোজার তৈরি করা হয়েছে। বিশালাকার কাঁচে মোড়া খাঁচা থেকেই পাখিদের দেখতে পাওয়া যাবে।এমনকী স্বচ্ছ কাঁচের ওপারে থাকা পাখির সঙ্গে সেলফি, ছবি এবং ভিডিওগ্রাফিও করতে পারবেন দর্শকরা।

সোমবার নব নির্মিত এনক্লোজারের উদ্বোধন করেন রাজ্যের বন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। উদ্বোধনের পর মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, ‘বর্তমান সময়ে টেক স্যাভি শিশু-কিশোর পড়ুয়াদের মনকে প্রকৃতিমুখী করতে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জু অথারিটি’ এবং আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কর্মসুচী হাতে নিয়েছে।পাশাপাশি দেড়শো বছর পূর্তি উপলক্ষে আলিপুর চিড়িয়াখানাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।’রাজ্যের বন্যপ্রাণ রক্ষা, রাজ্যের জঙ্গল এবং পশু-পাখিদের প্রতি বিশেষ যত্নেরও আহ্বান জানান বন মন্ত্রী বীরবাহা হাসদা।

এদিন আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত বলেন, পাখিদের খাঁচার ভেতরে স্বচ্ছ কাঁচ দিয়ে একটি বিশেষ ওয়াকিং ওয়ে তৈরি করা হয়েছে।সোমবার থেকেই সাধারণ দর্শনার্থীরা ওয়াকিং ওয়ে থেকেই পাখিদের সঙ্গে ঘুরতে এবং ছবি তুলতে পারবেন। ইতিমধ্যেই ওই এনক্লোজারে দেশি এবং বিদেশি ১৪ টি প্রজারির দুই শতাধিক পাখি রাখা হয়েছে বলেও জানান চিড়িয়াখানার অধিকর্তা। বর্তমানে পাখিদের এনক্লোজারে ওয়েস্টার্ণক্রাউন্ড পিজিয়ন, সাদার্ন স্ক্রিমার, নীল-গলা বারবেট, রুডি শেলডাক, নব-বিলহাঁস, কনিওর, টিয়া পাখি, সবুজ ইম্পেরিয়াল পায়রা সহ একাধিক প্রজাতির পাখি রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আলিপুর চিড়িয়াখানা দেশের অন্যতম প্রাচীন হেরিটেজ চিড়িয়াখানা। ১২০ টি এনক্লোজারে প্রায় ১৫০ প্রজাতির মোট ২০০০ পশুপাখি সমৃদ্ধ আলিপুর চিড়িয়াখানায় প্রতিবছর প্রায় ৩৪ লক্ষ পর্যটক আসেন। চিড়িয়াখানার ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে  রাজ্যের বন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা সম্প্রতি তাঁর প্রয়াত বাবার স্মৃতির উদ্দেশে একটি মালায়ান টাপির সহ মাউস ডিয়ার, হগ ডিয়ার এবং চৌশিঙা হরিণ দত্তক নিয়েছেন বলেও জানান আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত।