দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থা: ১২টি সিংহ ও অন্যান্য প্রাণী নিলামে দেওয়ার সিদ্ধান্ত পাক চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের

- আপডেট : ১০ অগাস্ট ২০২২, বুধবার
- / 85
পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ পাকিস্তানের উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির হার ও দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থা শুধু আম জনতা না এখানকার পশু পাখিদেরও প্রভাবিত করছে।পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্থের অভাবে সিংহ দের খাওয়াতে পারছেন না লাহোর চিড়িয়াখানার সাফারি পার্কের কর্তৃপক্ষ।
রিপোর্ট অনুযায়ী,পাকিস্তান সরকারের অনুমোদন নিয়ে লাহোর চিড়িয়াখানা বেশ কয়েকটি সিংহ,ও বাঘকে ব্যক্তিগত সংস্থার কাছে নিলাম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।এই প্রসঙ্গে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত অর্থ ও স্থান দুটিই সাশ্রয় করবে।আর সেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পথে নেমেছেন স্থানীয় পশু কর্মীরা।
উল্লেখ্য,বর্তমানে লাহোর চিড়িয়াখানাতে ২ থেকে ৫ বছরের মধ্যে ২৯ টি সিংহ রয়েছে।এই প্রসঙ্গে লাহোর জু-এর ডেপুটি ডিরেক্টর তানবির আহমদ জানজুয়া জানিয়েছেন, ১১ অগাস্ট ২৯টি আফ্রিকান সিংহের মধ্যে ১২টিতে নিলামে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন ,ইতিমধ্যে চিড়িয়াখানায় সিংহ ছাড়াও ছয়টি চিতাবাঘ ও আরও অনেক পশু রয়েছে।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সিংহ গুলির জন্য ন্যূনতম দর নির্ধারণ করেছে ৭০০ ডলার। পাক চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ-এর আশা স্থানীয় মুদ্রায় সিংহ প্রতি ২০ লাখ পাকিস্তানি রুপি আয় করার আশা রাখছেন। পাক সংবাদ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই দেশি-বিদেশ থেকে একাধিক ব্যক্তি ও সংস্থা সিংহ কেনায় ইচ্ছাপ্রকাশ করে নিলামে নাম নথিভুক্ত করেছেন।
এই প্রসঙ্গে লাহোর চিড়িয়াখানার পশু চিকিৎসক মহম্মদ রিজওয়ান খান বলেছেন, ‘‘গত কয়েক বছর প্রজননের ফলে সাফারি পার্কের সিংহের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তাই আমাদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’’কিন্তু পাক পশু প্রেমী সংগঠনগুলি ইতিমধ্যেই লাহর চিড়িয়াখানার সিংহ নিলামের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি তুলেছে।এদিকে, পশু কর্মীরা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে জানিয়েছেন, হয় সিংহ গুলিকে অন্যত্রে স্থানান্তরিত করা হক বা স্ত্রী সিংহদের গর্ভনিরোধক দেওয়া হক। কিন্তু এগুলিকে নিলামে যেন দেওয়া না হয়।