১০ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্কুল খোলার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ফি মকুবের দাবি এআইডিএসও র

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার
  • / 33

পুবের কলম প্রতিবেদক­ দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন দাবি জানিয়ে আসছিল যাতে স্কুল-কলেজে পঠন-পঠন শুরু হয়। অবশেষে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরজা খোলা হবে। এ নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে এআইডিএসও’র তরফে একটি মিছিল হয়। এদিনের মিছিল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়– কলেজ স্ট্রিট চত্বর পরিক্রমা করে কফি হাউসের সামনে পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়। তাতে সমস্ত  রকমের ফি মকুবের দাবিও ওঠে।

এদিন বক্তব্য রাখেন এআইডিএসও’র রাজ্য সম্পাদক মণিশঙ্কর পট্টনায়ক– কলকাতা জেলা সম্পাদক আবু সাঈদ প্রমুখ। মণিশঙ্কর পট্টনায়ক বলেন– করোনা পরিস্থিতিকে অজুহাত করে সরকার ক্লাসরুম শিক্ষাপদ্ধতির বদলে অনলাইন শিক্ষাকাঠামোকে লাগু করার চক্রান্ত করেছে। তার বিরুদ্ধে ছাত্র সংগঠন এআইডিএসও দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে এসেছে– সেই আন্দোলনকে প্রতিহত করতে রাজ্য সরকার আমাদের ছাত্র-কর্মীদের উপর মিথ্যা মামলা হয়েছে– হামলা হয়েছে– তারপরও ছাত্র সমাজের সমর্থনকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন পরিচালনা করে এসেছি।

আন্দোলনের এই দীর্ঘ ধারাবাহিকতায় এবং চাপে রাজ্য সরকার আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে কিছু নির্দিষ্ট ক্লাসের জন্য স্কুল কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে। এটা ছাত্র আন্দোলনের জয়। আমাদের দাবি– অবিলম্বে শিক্ষার সমস্ত স্তরের ফি প্রত্যাহার করে সকল ছাত্রছাত্রীকে পড়াশোনার সুযোগ দিতে হবে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সুস্পষ্ট পরিকল্পনার ঘোষণা করতে হবে এবং সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার ভেঙ্গে পড়া পরিকাঠামো পুনরুদ্ধারে সরকারকে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

স্কুল খোলার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ফি মকুবের দাবি এআইডিএসও র

আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদক­ দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন দাবি জানিয়ে আসছিল যাতে স্কুল-কলেজে পঠন-পঠন শুরু হয়। অবশেষে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরজা খোলা হবে। এ নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে এআইডিএসও’র তরফে একটি মিছিল হয়। এদিনের মিছিল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়– কলেজ স্ট্রিট চত্বর পরিক্রমা করে কফি হাউসের সামনে পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়। তাতে সমস্ত  রকমের ফি মকুবের দাবিও ওঠে।

এদিন বক্তব্য রাখেন এআইডিএসও’র রাজ্য সম্পাদক মণিশঙ্কর পট্টনায়ক– কলকাতা জেলা সম্পাদক আবু সাঈদ প্রমুখ। মণিশঙ্কর পট্টনায়ক বলেন– করোনা পরিস্থিতিকে অজুহাত করে সরকার ক্লাসরুম শিক্ষাপদ্ধতির বদলে অনলাইন শিক্ষাকাঠামোকে লাগু করার চক্রান্ত করেছে। তার বিরুদ্ধে ছাত্র সংগঠন এআইডিএসও দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে এসেছে– সেই আন্দোলনকে প্রতিহত করতে রাজ্য সরকার আমাদের ছাত্র-কর্মীদের উপর মিথ্যা মামলা হয়েছে– হামলা হয়েছে– তারপরও ছাত্র সমাজের সমর্থনকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন পরিচালনা করে এসেছি।

আন্দোলনের এই দীর্ঘ ধারাবাহিকতায় এবং চাপে রাজ্য সরকার আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে কিছু নির্দিষ্ট ক্লাসের জন্য স্কুল কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে। এটা ছাত্র আন্দোলনের জয়। আমাদের দাবি– অবিলম্বে শিক্ষার সমস্ত স্তরের ফি প্রত্যাহার করে সকল ছাত্রছাত্রীকে পড়াশোনার সুযোগ দিতে হবে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সুস্পষ্ট পরিকল্পনার ঘোষণা করতে হবে এবং সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার ভেঙ্গে পড়া পরিকাঠামো পুনরুদ্ধারে সরকারকে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।