পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ সোমবার সন্ধ্যায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে সাসপেন্ড করল
স্বাস্থ্য ভবন। একইসঙ্গে রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিল থেকেও
বিতাড়িত করা হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের
প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে।
আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে নেমে বিতর্কিত এই প্রাক্তন
অধ্যক্ষ গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। মঙ্গলবারতাকে
আলিপুর আদালতে তোলা হলে সন্দীপ ঘোষ-সহ চারজনের আট দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন
বিচারক। আদালতের সেই নির্দেশের কয়েক ঘন্টার
মধ্যেই সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড ঘোষণা করে স্বাস্থ্যভবন। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসককে
ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সামনে আসার দিন থেকেই
'No safety, No Duty' আমরা এখানে মরতে আসিনি... আরজিকর কাণ্ডে দেশজুড়ে কর্মবিরতি চিকিৎসকদের, সামিল দিল্লির এইমস
আগামীকাল গোটা দেশে বন্ধ থাকবে চিকিৎসা পরিষেবা, ধর্মঘটের ডাক আইএমএ-র
তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ খুন কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে যৌন কর্মীরা
তার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির একগুচ্ছ অভিযোগ
থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁকে সাসপেন্ড করা হবে না সেই প্রশ্ন তুলে টানা আন্দোলন-বিক্ষোভ
চলছিল। অবশেষে ঘটনার ২৬ দিন পর সন্দীপ ঘোষকে
নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলল স্বাস্থ্যভবন।
আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল আগেই। হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার
আলি সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে রীতিমতো তোপ দেগে প্রকাশ্যে এনেছিলেন সেই সব মারাত্মক অভিযোগ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সেই অভিযোগের
তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই।