০৮ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“ঘুঙ্গাট, পাগড়ি, ক্রসের তাহলে কি হবে ?” জানতে চাইল কর্ণাটক হাইকোর্ট

মাসুদ আলি
  • আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২, বুধবার
  • / 65

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : কর্ণাটক হাইকোর্টে বুধবার ছিল হিজাব মালার চতুর্থ দিনের শুনানি।প্রধান বিচারপতি এদিন মুসলিম মেয়েদের যুক্তি শোনেন।হিজাবীদের পক্ষে যুক্তি দিয়ে,আইনজীবী রবি বর্মা কুমার বিচারকদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে “অনেকেই দুপাট্টা, চুড়ি, পাগড়ি, ক্রস এবং টিপ্ পরেন। সাধাৰণ লোকজন শত শত ধর্মীয় প্রতীক বহন করেন।তাহলে হিজাবকে   কেন আলাদা করা হচ্ছে।’

আইনজীবীর প্রশ্ন, “সমাজের সব শ্রেণীর ধর্মীয় প্রতীকের বিশাল বৈচিত্র্য রয়েছে। সরকার কেন একা হিজাব বেছে নিয়ে এই বৈষম্যমূলক আচরণ করছে? শাঁখা পলাও তো পরা হয়? এগুলো কি ধর্মীয় প্রতীক নয়? কেন আপনি এই মুসলমানদের উপর বাছাই করছেন?’আইনজীবী রবি কুমার বর্মা বলেন, “ঘুঙ্গাট অনুমোদিত। শাঁখা-পলা অনুমোদিত। শুধুমাত্র হিজাব নিয়ে কথা কেন? শিখের পাগড়ি, খ্রিস্টানদের ক্রুশ নিয়ে কেন কোনও কথা নয়?”অন্য কোন ধর্মীয় চিহ্ন যখন বিবেচনা করা হয় না, তখন শুধু শুধু হিজাব কেন? এটা কি তাদের ধর্মের কারণে নয়? মুসলিম মেয়েদের বিরুদ্ধে বৈষম্য সম্পূর্ণরূপে ধর্মের ভিত্তিতে। সওয়াল আইনজীবী কুমারের।

আরও পড়ুন: কর্নাটকের নার্সিং কলেজে কাশ্মীরি ছাত্রীদের হিজাব নিষেধাজ্ঞা! মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি ছাত্র সংগঠনের

হিজাব পরার জন্য ছাত্রদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে বা ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আইনজীবী কুমার বলেন, ‘আমাদের অনুমতি দেওয়া হয় না। হিজাবি ছাত্রীদের কথা শোনা হয় না,তাদের সরাসরি শাস্তি দেওয়া হয়। যারা এটা করছে তাদের কি শিক্ষক বলা যেতে পারে?’হিজাব বন্ধের কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি। ছাত্রীদের জানানো হয়নি। অথচ বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে যে এই হিজাবি ছাত্রীরা অবাধ্য।

আরও পড়ুন: Iran: নারীদের পোশাকবিধি নিশ্চিত করতে নয়া প্রযুক্তি

আরও পড়ুন: হিজাবে ঢাকল Eiffel Tower

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

“ঘুঙ্গাট, পাগড়ি, ক্রসের তাহলে কি হবে ?” জানতে চাইল কর্ণাটক হাইকোর্ট

আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : কর্ণাটক হাইকোর্টে বুধবার ছিল হিজাব মালার চতুর্থ দিনের শুনানি।প্রধান বিচারপতি এদিন মুসলিম মেয়েদের যুক্তি শোনেন।হিজাবীদের পক্ষে যুক্তি দিয়ে,আইনজীবী রবি বর্মা কুমার বিচারকদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে “অনেকেই দুপাট্টা, চুড়ি, পাগড়ি, ক্রস এবং টিপ্ পরেন। সাধাৰণ লোকজন শত শত ধর্মীয় প্রতীক বহন করেন।তাহলে হিজাবকে   কেন আলাদা করা হচ্ছে।’

আইনজীবীর প্রশ্ন, “সমাজের সব শ্রেণীর ধর্মীয় প্রতীকের বিশাল বৈচিত্র্য রয়েছে। সরকার কেন একা হিজাব বেছে নিয়ে এই বৈষম্যমূলক আচরণ করছে? শাঁখা পলাও তো পরা হয়? এগুলো কি ধর্মীয় প্রতীক নয়? কেন আপনি এই মুসলমানদের উপর বাছাই করছেন?’আইনজীবী রবি কুমার বর্মা বলেন, “ঘুঙ্গাট অনুমোদিত। শাঁখা-পলা অনুমোদিত। শুধুমাত্র হিজাব নিয়ে কথা কেন? শিখের পাগড়ি, খ্রিস্টানদের ক্রুশ নিয়ে কেন কোনও কথা নয়?”অন্য কোন ধর্মীয় চিহ্ন যখন বিবেচনা করা হয় না, তখন শুধু শুধু হিজাব কেন? এটা কি তাদের ধর্মের কারণে নয়? মুসলিম মেয়েদের বিরুদ্ধে বৈষম্য সম্পূর্ণরূপে ধর্মের ভিত্তিতে। সওয়াল আইনজীবী কুমারের।

আরও পড়ুন: কর্নাটকের নার্সিং কলেজে কাশ্মীরি ছাত্রীদের হিজাব নিষেধাজ্ঞা! মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি ছাত্র সংগঠনের

হিজাব পরার জন্য ছাত্রদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে বা ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আইনজীবী কুমার বলেন, ‘আমাদের অনুমতি দেওয়া হয় না। হিজাবি ছাত্রীদের কথা শোনা হয় না,তাদের সরাসরি শাস্তি দেওয়া হয়। যারা এটা করছে তাদের কি শিক্ষক বলা যেতে পারে?’হিজাব বন্ধের কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি। ছাত্রীদের জানানো হয়নি। অথচ বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে যে এই হিজাবি ছাত্রীরা অবাধ্য।

আরও পড়ুন: Iran: নারীদের পোশাকবিধি নিশ্চিত করতে নয়া প্রযুক্তি

আরও পড়ুন: হিজাবে ঢাকল Eiffel Tower