০৫ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাগফিরাতের ১০ দিনে রোজাদারদের জন্য করণীয় !

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২২, রবিবার
  • / 175

প্রতীকী ছবি

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: গত ৩ই এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘রমযান প্রথম ১০ দিন রহমতের, দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাত লাভের এবং তৃতীয় ১০ দিন জাহান্নাম থেকে নাযাত প্রাপ্তির।’ (মিশকাত)।  

 

আরও পড়ুন: মুসলিম ও কাশ্মীরিদের টার্গেট করবেন না, আর্জি পহেলগাঁও কাণ্ডে শহিদ বিনয়ের স্ত্রীর

১২ই এপ্রিল রহমতের দশক শেষ করে, ১৩ই এপ্রিল থেকে মাগফিরাতের দশক শুরু হয়েছে। মাগফিরাতের দশক ২০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। উল্লেখ্য, এই রমযান মাসে আল্লাহ তার বান্দাদের গুনাহ মাফ করেন। রহমতের দশক শেষ হয়ে মাগফেরাতের দশক শুরু হয়। মাগফিরাতের  আভিধানিক অর্থ হল- ক্ষমা। অর্থাৎ মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। অনেকে বলে থাকেন, এই মাগফিরাতের  সময় আল্লাহর কাছে খালেশ অন্তরে ক্ষমা চাইলে সকল জাহানের মালিক, মহান রাব্বুল আলামিন ক্ষমা করে দেন। কিন্তু আপনি কি জানেন ,এই পবিত্র  মাগফিরাতের দশকে আপনার করনীয় কি?

আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্ব ভারতের ৫৫ শতাংশ মানুষ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর পক্ষে

মাগফিরাতের ১০ দিনে রোজাদারদের জন্য করণীয় !
প্রতীকী ছবি

রমযান মাসের মাঝের ১০ দিন যেহেতু , মাগফিরাতের বা ক্ষমার ,তাই আমাদের উচিত আল্লাহ পাকের কাছে বেশি বেশি ক্ষমা চাওয়া। আল্লাহ পাকের ক্ষমাসুলভ নাম গুলি মুখস্ত করে , বেশি বেশি আমল করা। আর হ্যাঁ ৫ ওয়াক্তের নামাযের সঙ্গে কোনও আপোষ করা যাবে না। আল্লাহ পাকের ক্ষমাসুলভ নামগুলো হলো, আত তাউওয়াবু (তওবা কবুলকারী) , আল খফিদু (বিনয় পছন্দকারী), আল গফুরু (ক্ষমাময়), আল আফুউ (মার্জনাকারী), আল হালিমু (সহিষ্ণু), ইত্যাদি।

আরও পড়ুন: মুস্তাফাবাদ কেন্দ্রের নাম হবে শিবপুরী অথবা শিববিহার, বললেন বিস্ত

 

আমাদের নবীজি ,রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘অপরাধ স্বীকারকারী নিরপরাধ ব্যক্তির মতো।’ (বুখারি, মুসলিম ও তিরমিজি)। কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই মানব মন মন্দকর্ম প্রবণ।’ (সূরা ইউসুফ, আয়াত : ৫৩)।

 

হাদিসে রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক আদম সন্তান ত্রুটিশীল ও অপরাধী, আর অপরাধীদের মধ্যে উত্তম তারা যারা তওবা করে।’ (তিরমিজি)।
সুতারং, প্রতিটি মানুষ ভুল করে, কিন্তু সেই ভুলে নিমজ্জিত না থেকে তওবা করে নেওয়াটাই শ্রেয়। আর মাগফেরাতের এই ১০ দিন আমাদের বেশি বেশি তওবা করা উচিত। কারণ আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, সহিষ্ণু, ও রহমানের রহিম।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মাগফিরাতের ১০ দিনে রোজাদারদের জন্য করণীয় !

আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: গত ৩ই এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘রমযান প্রথম ১০ দিন রহমতের, দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাত লাভের এবং তৃতীয় ১০ দিন জাহান্নাম থেকে নাযাত প্রাপ্তির।’ (মিশকাত)।  

 

আরও পড়ুন: মুসলিম ও কাশ্মীরিদের টার্গেট করবেন না, আর্জি পহেলগাঁও কাণ্ডে শহিদ বিনয়ের স্ত্রীর

১২ই এপ্রিল রহমতের দশক শেষ করে, ১৩ই এপ্রিল থেকে মাগফিরাতের দশক শুরু হয়েছে। মাগফিরাতের দশক ২০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। উল্লেখ্য, এই রমযান মাসে আল্লাহ তার বান্দাদের গুনাহ মাফ করেন। রহমতের দশক শেষ হয়ে মাগফেরাতের দশক শুরু হয়। মাগফিরাতের  আভিধানিক অর্থ হল- ক্ষমা। অর্থাৎ মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। অনেকে বলে থাকেন, এই মাগফিরাতের  সময় আল্লাহর কাছে খালেশ অন্তরে ক্ষমা চাইলে সকল জাহানের মালিক, মহান রাব্বুল আলামিন ক্ষমা করে দেন। কিন্তু আপনি কি জানেন ,এই পবিত্র  মাগফিরাতের দশকে আপনার করনীয় কি?

আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্ব ভারতের ৫৫ শতাংশ মানুষ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর পক্ষে

মাগফিরাতের ১০ দিনে রোজাদারদের জন্য করণীয় !
প্রতীকী ছবি

রমযান মাসের মাঝের ১০ দিন যেহেতু , মাগফিরাতের বা ক্ষমার ,তাই আমাদের উচিত আল্লাহ পাকের কাছে বেশি বেশি ক্ষমা চাওয়া। আল্লাহ পাকের ক্ষমাসুলভ নাম গুলি মুখস্ত করে , বেশি বেশি আমল করা। আর হ্যাঁ ৫ ওয়াক্তের নামাযের সঙ্গে কোনও আপোষ করা যাবে না। আল্লাহ পাকের ক্ষমাসুলভ নামগুলো হলো, আত তাউওয়াবু (তওবা কবুলকারী) , আল খফিদু (বিনয় পছন্দকারী), আল গফুরু (ক্ষমাময়), আল আফুউ (মার্জনাকারী), আল হালিমু (সহিষ্ণু), ইত্যাদি।

আরও পড়ুন: মুস্তাফাবাদ কেন্দ্রের নাম হবে শিবপুরী অথবা শিববিহার, বললেন বিস্ত

 

আমাদের নবীজি ,রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘অপরাধ স্বীকারকারী নিরপরাধ ব্যক্তির মতো।’ (বুখারি, মুসলিম ও তিরমিজি)। কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই মানব মন মন্দকর্ম প্রবণ।’ (সূরা ইউসুফ, আয়াত : ৫৩)।

 

হাদিসে রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক আদম সন্তান ত্রুটিশীল ও অপরাধী, আর অপরাধীদের মধ্যে উত্তম তারা যারা তওবা করে।’ (তিরমিজি)।
সুতারং, প্রতিটি মানুষ ভুল করে, কিন্তু সেই ভুলে নিমজ্জিত না থেকে তওবা করে নেওয়াটাই শ্রেয়। আর মাগফেরাতের এই ১০ দিন আমাদের বেশি বেশি তওবা করা উচিত। কারণ আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, সহিষ্ণু, ও রহমানের রহিম।