অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক, বৈঠকে ছিলেন সোফিয়া কুরেশি, কে এই সোফিয়া কুরেশি

- আপডেট : ৭ মে ২০২৫, বুধবার
- / 450
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার ঠিক ১৫ দিনের মাথায় পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত করল ভারত। অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। বুধবার সকালে ভারতীয় সেনার এই সংক্রান্ত বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। কীভাবে পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করে করে ধ্বংস করা হয়েছে, উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংহের সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন সোফিয়াও। ভারতীয় সেনার গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন সোফিয়া কুরেশি।
ভারতীয় সেনার সামরিক যোগাযোগ ও ইলেকট্রনিক্স অভিযান সহায়ক শাখা সিগন্যাল কর্পসের অন্যতম শীর্ষ আধিকারিক সোফিয়া। বয়স ৩৫ বছর। এই অফিসার সেনাবাহিনীর একাধিক যুগান্তকারী সাফল্যের সঙ্গে যুক্ত। ২০১৬ সালে তিনি প্রথম খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন। ওই বছর ১৮টি দেশের সামনে ভারতের সামরিক মহড়ায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সোফিয়া কুরেশি। প্রথম মহিলা হিসাবে তিনি এই কৃতিত্ব তিনি অর্জন করেন। সে সময়ে সোফিয়া ছিলেন লেফ্টেন্যান্ট কর্নেল। পুণের ওই সামরিক মহড়া ছিল ভারতে আয়োজিত সবচেয়ে বড় বিদেশি সামরিক মহড়া। ২ থেকে ৮ মার্চের মহড়ায় যোগ দিয়েছিল জাপান, চিন, আমেরিকা, রাশিয়ার মতো দেশ। আর কোনও দেশের মহড়ার নেতৃত্বে মহিলা ছিলেন না।
৪০ সদস্যের ভারতীয় সেনাদলকে মহড়ায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সোফিয়া কুরেশি। শান্তিরক্ষার উদ্দেশে মহড়া দেওয়া হয়। এই মহড়ায় নিজের যোগ্যতার ভিত্তিতে তিনি নেতৃত্ব অর্জন করেছিলেন। ২০০৬ সালে কঙ্গোয় রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষা অভিযানে সামরিক পর্যবেক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। সোফিয়ার ঠাকুরদা ভারতীয় সেনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেনার পরিবারেই তাঁর বিয়ে হয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে হামলায় ২৫ জন পর্যটক সহ এক স্থানীয় বাসিন্দা নিহত হন। ওই ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ করে নয়াদিল্লি। মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বেশ কিছু অংশে আঘাত আনা হয়। ভারতীয় সেনার দাবি, পাকিস্তানের ন’টি জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে। জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনও সাধারণ নাগরিকের ক্ষতি করা হয়নি। পাকিস্তান আট জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করে নিয়েছে। ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে সেনার তরফে যে সাংবাদিক বৈঠক করা হয়েছিল, তাতে ছিলেন বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী। তাঁর সঙ্গেই দুই মহিলা অফিসার ছিলেন, যাঁদের মধ্যে অন্যতম কর্নেল সোফিয়া। কীভাবে কোথায় কোথায় হামলা চালানো হয়েছে সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন তিনি।