২৭ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এনডিটিভির সম্পাদকীয় নীতিতে হস্তক্ষেপ করব না : আদানি

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 135

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ এনডিটিভি-এর বড় অংশের অংশীদার এখন গৌতম আদানি। একথা সামনে আসার পর থেকেই দেশের সাধারণ শ্রোতা ও দর্শক মহলে প্রশ্ন উঠেছিল, আদৌ কি এবার এনডিটিভি নিরপেক্ষ থাকবে। নাকি বাকি গোদি মিডিয়ার মতোই নিরপেক্ষ এই চ্যানেলটিও স্রোতে ভাষা মিডিয়া হয়ে উঠবে।

 

আরও পড়ুন: আদানি-এলআইসি ইস্যুতে বিরোধীদের তোপে কেন্দ্র

তার জবাব আগেই দিয়েছিলেন গৌতম আদানি। ফের তিনি আর একবার এর জবাব দিলেন।  তিনি জানলেন সম্পাদকীয় নীতিতে হস্তক্ষেপ করা হবে না। শিল্পপতি গৌতম আদানি বুধবার এ কথা জানিয়েছেন। ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে আদানি বলেন, ‘‘সম্পাদকীয় স্বাধীনতার বিষয়ে আমি স্পষ্ট ভাবে বলতে চাই, এনডিটিভি একটি বিশ্বাসযোগ্য, স্বাধীন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম হয়ে উঠবে যার ব্যবস্থাপনা এবং সম্পাদকীয় নীতির মধ্যে স্পষ্ট লক্ষ্মণরেখা থাকবে।’’

আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ভাঙার দায়ে আদানি সংস্থা ফের তদন্তের জালে

 

আরও পড়ুন: আদানির সংস্থার ৫০০০ কোটির ডিবেঞ্চার কিনল এলআইসি

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ‘ঘনিষ্ঠ’ আদানির জমানায় এনডিটিভি স্বাধীন সম্পাদকীয় নীতি থেকে সরে আসতে চলেছে। একথা নেট বাজারের ছড়িয়ে পড়েছে। তা নিয়ে অনেককে আক্ষেপ করতেও শোনা  যাচ্ছে। সেই সম্ভাবনা খারিজ করে আদানির দাবি, সময়ের সঙ্গেই  প্রমাণ হয়ে যাবে সম্পাদকীয় নীতিতে হস্তক্ষেপের আশঙ্কা অমূলক। এ প্রসঙ্গে প্রশ্নকর্তাকে তিনি বলেন, ‘‘কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগে অন্তত কিছুটা সময় আমাদের দিন।’’

 

সাক্ষাৎকারে তাঁর এবং মোদির ব্যাক্তিগত সম্পর্ক নিয়েও কথা ওঠে। এর উত্তরে আদানি বলেন, মোদি একজন গুজরাটি, তিনিও। এই কারণেই তাঁদের নামে কুৎসা করেন নিন্দুকরা। তাই বলে গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ভূয়ষী প্রশংসা করার সুযোগ হাতছাড়া করেননি আদানি। তবে তিনি দাবি করেছেন, ভারতের বাজারে গতি এসেছে সেই নয়ের দশকের গোড়াতেই। ফলে অন্য লাভের ফসল তিনিও ঘরে তুলেছেন।

 

অনেকে হয়তো হবেন, কিন্তু পিছনে ফিরে তাকালে রাজীব গান্ধীর আমলের কথা বলতে হয়। যখন শিল্পে উদারীকরণের ভিত গড়ার কাজ শুরু হয়। যার ফলে রফতানি বাণিজ্যে সুবিধা হয়েছিল আমার মতো ব্যবসায়ীর। এরপর ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও ও অর্থমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের উদারীকরণের কথা সকলের জানা। এর ফলে আমিও লাভবান হই।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এনডিটিভির সম্পাদকীয় নীতিতে হস্তক্ষেপ করব না : আদানি

আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ এনডিটিভি-এর বড় অংশের অংশীদার এখন গৌতম আদানি। একথা সামনে আসার পর থেকেই দেশের সাধারণ শ্রোতা ও দর্শক মহলে প্রশ্ন উঠেছিল, আদৌ কি এবার এনডিটিভি নিরপেক্ষ থাকবে। নাকি বাকি গোদি মিডিয়ার মতোই নিরপেক্ষ এই চ্যানেলটিও স্রোতে ভাষা মিডিয়া হয়ে উঠবে।

 

আরও পড়ুন: আদানি-এলআইসি ইস্যুতে বিরোধীদের তোপে কেন্দ্র

তার জবাব আগেই দিয়েছিলেন গৌতম আদানি। ফের তিনি আর একবার এর জবাব দিলেন।  তিনি জানলেন সম্পাদকীয় নীতিতে হস্তক্ষেপ করা হবে না। শিল্পপতি গৌতম আদানি বুধবার এ কথা জানিয়েছেন। ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে আদানি বলেন, ‘‘সম্পাদকীয় স্বাধীনতার বিষয়ে আমি স্পষ্ট ভাবে বলতে চাই, এনডিটিভি একটি বিশ্বাসযোগ্য, স্বাধীন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম হয়ে উঠবে যার ব্যবস্থাপনা এবং সম্পাদকীয় নীতির মধ্যে স্পষ্ট লক্ষ্মণরেখা থাকবে।’’

আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ভাঙার দায়ে আদানি সংস্থা ফের তদন্তের জালে

 

আরও পড়ুন: আদানির সংস্থার ৫০০০ কোটির ডিবেঞ্চার কিনল এলআইসি

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ‘ঘনিষ্ঠ’ আদানির জমানায় এনডিটিভি স্বাধীন সম্পাদকীয় নীতি থেকে সরে আসতে চলেছে। একথা নেট বাজারের ছড়িয়ে পড়েছে। তা নিয়ে অনেককে আক্ষেপ করতেও শোনা  যাচ্ছে। সেই সম্ভাবনা খারিজ করে আদানির দাবি, সময়ের সঙ্গেই  প্রমাণ হয়ে যাবে সম্পাদকীয় নীতিতে হস্তক্ষেপের আশঙ্কা অমূলক। এ প্রসঙ্গে প্রশ্নকর্তাকে তিনি বলেন, ‘‘কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগে অন্তত কিছুটা সময় আমাদের দিন।’’

 

সাক্ষাৎকারে তাঁর এবং মোদির ব্যাক্তিগত সম্পর্ক নিয়েও কথা ওঠে। এর উত্তরে আদানি বলেন, মোদি একজন গুজরাটি, তিনিও। এই কারণেই তাঁদের নামে কুৎসা করেন নিন্দুকরা। তাই বলে গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ভূয়ষী প্রশংসা করার সুযোগ হাতছাড়া করেননি আদানি। তবে তিনি দাবি করেছেন, ভারতের বাজারে গতি এসেছে সেই নয়ের দশকের গোড়াতেই। ফলে অন্য লাভের ফসল তিনিও ঘরে তুলেছেন।

 

অনেকে হয়তো হবেন, কিন্তু পিছনে ফিরে তাকালে রাজীব গান্ধীর আমলের কথা বলতে হয়। যখন শিল্পে উদারীকরণের ভিত গড়ার কাজ শুরু হয়। যার ফলে রফতানি বাণিজ্যে সুবিধা হয়েছিল আমার মতো ব্যবসায়ীর। এরপর ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও ও অর্থমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের উদারীকরণের কথা সকলের জানা। এর ফলে আমিও লাভবান হই।