শিয়ালদহ থেকে নয়াদিল্লি পর্যন্ত যাত্রা আরও আরামদায়ক ও দ্রুত করতে ভারতীয় রেলওয়ে শীঘ্রই চালু করতে চলেছে বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন। দাবী বঙ্গ বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়ার
এবার কি শিয়ালদহ তে বন্দেভারত স্লিপার ?

- আপডেট : ৩ মে ২০২৫, শনিবার
- / 59
পুবের কলম ডেস্ক: শিয়ালদহ থেকে নয়াদিল্লি পর্যন্ত যাত্রা আরও আরামদায়ক ও দ্রুত করতে ভারতীয় রেলওয়ে শীঘ্রই চালু করতে চলেছে বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন। এই আধুনিক ট্রেনটি যাত্রীদের উন্নত পরিষেবা প্রদান করবে এবং পশ্চিমবঙ্গ ও রাজধানী দিল্লির মধ্যে সংযোগ আরও মজবুত করবে।
প্রস্তাবিত রুট অনুযায়ী, শিয়ালদহ – নয়াদিল্লি বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে থামবে আসানসোল জংশন, ধানবাদ জংশন, গয়া জংশন, ডিডি উপাধ্যায় জংশন, কানপুর সেন্ট্রাল
এই স্টেশনগুলি পূর্ব ও উত্তর ভারতের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিকে সংযুক্ত করে, যা যাত্রীদের জন্য সুবিধাজনক হবে। যদিও সরকারিভাবে সময়সূচী এখনও ঘোষণা করা হয়নি, বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী, ট্রেনটি প্রতিদিন বিকেল ৪টায় শিয়ালদহ থেকে ছেড়ে পরের দিন সকাল ৭টায় নয়াদিল্লি পৌঁছাবে। একইভাবে, নয়াদিল্লি থেকে বিকেল ৪টায় ছেড়ে পরের দিন সকাল ৭টায় শিয়ালদহ পৌঁছাবে। অর্থাৎ, মোট যাত্রার সময় হবে প্রায় ১৫ ঘণ্টা।
বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনটি ১৬টি কোচ নিয়ে গঠিত হবে, যার মধ্যে থাকবে এসি ৩-টিয়ার ভাড়া প্রায় ₹৩,২০০, এসি ২-টিয়ার ভাড়া প্রায় ₹৪,২০০, এসি ফার্স্ট ক্লাস র প্রায় ₹৫,৩০০
এই ভাড়া অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় কিছুটা বেশি হলেও, উন্নত পরিষেবা ও কম যাত্রার সময়ের কারণে যাত্রীরা এটি পছন্দ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই ট্রেন চালুর জন্য শিয়ালদহ ও সংলগ্ন এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ জোরকদমে চলছে। ট্র্যাক আধুনিকীকরণ, নতুন করিডোর নির্মাণ এবং স্টেশনের উন্নয়নের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। এই উন্নয়নের ফলে যাত্রীদের জন্য আরও সুরক্ষিত ও আরামদায়ক যাত্রা নিশ্চিত হবে।
বঙ্গ বিজেপির অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া পেজে এই ট্রেন চালুর বিষয়ে একটি পোস্ট করা হয়েছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে, মাত্র ১৫ ঘণ্টায় শিয়ালদহ ও নয়াদিল্লির মধ্যে যাত্রা সম্পন্ন হবে। যদিও সরকারিভাবে এখনও কোনও ঘোষণা হয়নি, তবে এই ট্রেন চালুর বিষয়ে বিভিন্ন মহলে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
শিয়ালদহ – নয়াদিল্লি বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন চালু হলে, এটি পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লির মধ্যে যোগাযোগ আরও মজবুত করবে এবং যাত্রীদের জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা করবে। উন্নত পরিষেবা, দ্রুত যাত্রা ও আধুনিক পরিকাঠামোর মাধ্যমে এই ট্রেনটি ভারতের রেল পরিষেবার মান আরও উন্নত করবে।
আরও পড়ুন: হাই মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষায় নজরকাড়া ফল নৌরিন আলামের