০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতে কি বন্ধ হয়ে যাবে Whats APP !

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার
  • / 38

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সমাজ মাধ্যমে জনপ্রিয় হোয়াটস অ্যাপ। মানুষের মধ্যে এই অ্যাপটির গ্রহণযোগ্যতা তুঙ্গে। এই অবস্থায় ফের বিতর্ক শুরু হল এই অ্যাপটি নিয়ে। কিন্তু বিতর্কের সূত্রপাত কি নিয়ে? জানা গেছে, দিল্লি হাইকোর্টে অ্যাপ বন্ধ করার কথা জানিয়েছে মেটা। সংস্থা জানিয়েছে, হোয়াটস অ্যাপ যদি এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন বন্ধ করতে হলে ভারতে পরিষেবা বন্ধ করতে হবে। ৯০ কোটির বেশি হোয়াটস অ্যাপ ইউজার রয়েছে শুধু ভারতে। ফেসবুকে মালিকাধীন এই অ্যাপের সব থেকে বড় বাজার ভারত। সুতরাং অ্যাপটি বন্ধ হয়ে গেলে বড়সড় চাপানউতোর তৈরি হবে।

এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন হল একটি প্রাইভেসি ফিচার। এটির সুবিধা হল প্রেরক বা সেন্ডার যা পাঠাচ্ছেন তিনি এবং যিনি রিসিভ করছেন বা প্রাপক তারা দু’জন ছাড়া আর কেউ জানতে পারবে না। সে মেসেজ হোক বা ছবি। হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসিতেও এই ফিচারের উল্লেখ করা হয়েছে। দিল্লি হাইকোর্টে এনক্রিপশন ভাঙা যাবে না বলে জানিয়েছে মেটা। তবে এই বিষয়ে পালটা যুক্তি দিয়েছে সরকার। তবে এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু ঘোষণা করেনি।

কেন্দ্র জানিয়েছে, অনলাইন সুরক্ষা এবং ক্ষতিকর কনটেন্ট রুখতে আরও সচেতন থাকতে হবে। সেই সঙ্গে যারা হিংসাত্মক ঘটনা ছড়াচ্ছে তাদের দিকে নজর রাখতে হবে। সমাজে ভুয়ো তথ্য ও হিংসা ছড়াচ্ছে তাদের চিহ্নিত করা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলোর দায়িত্ব। সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, তাদের শনাক্ত করা মেকানিসম বা প্রযুক্তি আনা উচিত। তবে বিষয়টির জটিলতা বুঝতে পেরে প্রাইভেসি শনাক্তকরণের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার কথা জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।

 

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভারতে কি বন্ধ হয়ে যাবে Whats APP !

আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সমাজ মাধ্যমে জনপ্রিয় হোয়াটস অ্যাপ। মানুষের মধ্যে এই অ্যাপটির গ্রহণযোগ্যতা তুঙ্গে। এই অবস্থায় ফের বিতর্ক শুরু হল এই অ্যাপটি নিয়ে। কিন্তু বিতর্কের সূত্রপাত কি নিয়ে? জানা গেছে, দিল্লি হাইকোর্টে অ্যাপ বন্ধ করার কথা জানিয়েছে মেটা। সংস্থা জানিয়েছে, হোয়াটস অ্যাপ যদি এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন বন্ধ করতে হলে ভারতে পরিষেবা বন্ধ করতে হবে। ৯০ কোটির বেশি হোয়াটস অ্যাপ ইউজার রয়েছে শুধু ভারতে। ফেসবুকে মালিকাধীন এই অ্যাপের সব থেকে বড় বাজার ভারত। সুতরাং অ্যাপটি বন্ধ হয়ে গেলে বড়সড় চাপানউতোর তৈরি হবে।

এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন হল একটি প্রাইভেসি ফিচার। এটির সুবিধা হল প্রেরক বা সেন্ডার যা পাঠাচ্ছেন তিনি এবং যিনি রিসিভ করছেন বা প্রাপক তারা দু’জন ছাড়া আর কেউ জানতে পারবে না। সে মেসেজ হোক বা ছবি। হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসিতেও এই ফিচারের উল্লেখ করা হয়েছে। দিল্লি হাইকোর্টে এনক্রিপশন ভাঙা যাবে না বলে জানিয়েছে মেটা। তবে এই বিষয়ে পালটা যুক্তি দিয়েছে সরকার। তবে এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু ঘোষণা করেনি।

কেন্দ্র জানিয়েছে, অনলাইন সুরক্ষা এবং ক্ষতিকর কনটেন্ট রুখতে আরও সচেতন থাকতে হবে। সেই সঙ্গে যারা হিংসাত্মক ঘটনা ছড়াচ্ছে তাদের দিকে নজর রাখতে হবে। সমাজে ভুয়ো তথ্য ও হিংসা ছড়াচ্ছে তাদের চিহ্নিত করা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলোর দায়িত্ব। সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, তাদের শনাক্ত করা মেকানিসম বা প্রযুক্তি আনা উচিত। তবে বিষয়টির জটিলতা বুঝতে পেরে প্রাইভেসি শনাক্তকরণের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার কথা জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।