০১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিশোরীগঞ্জে ভাগীরথীর পাড় বাঁধানোর কাজ শুরু

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার
  • / 17

সফিকুল ইসলাম (দুলাল), বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলার নাদনঘাট থানার অন্তর্গত নসরতপুর পঞ্চায়েতের কিশোরীগঞ্জ একটি নদী তীরবর্তী প্রত্যন্ত গ্রাম। এই গ্রামটির প্রান্ত ঘেঁষেই বয়ে চলেছে ভাগীরথী নদী। দীর্ঘদিন ধরেই এই গ্রাম নদী ভাঙনের কবলে পড়ে এসেছে। বর্ষাকাল এলেই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। নদীর ধার ভেঙে জমি, ঘরবাড়ি, এমনকি মানুষের ভিটেমাটিও গিলে খায় নদী। বহু পরিবার ঘরছাড়া হয়েছে, কেউ কেউ অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।

কিশোরীগঞ্জের অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজ ও ক্ষেতমজুরির উপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ভাগীরথীর ভাঙনের ফলে তাদের চাষের জমি এবং বসতভিটা বিলীন হয়ে যাওয়ায় চরম দুরবস্থার মধ্যে দিন কাটছিল। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি এলাকার বিধায়ক ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলাশাসক আইএএস আয়েশা রানি সহ জেলা প্রশাসনের একাধিক আধিকারিক কিশোরীগঞ্জ এলাকা পরিদর্শন করেন। মানুষের কষ্ট দেখে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: জলছাড়ার পরিমাণ কমাতে ফের ডিভিসিকে চিঠি পাঠাল নবান্ন

কিশোরীগঞ্জে ভাগীরথীর পাড় বাঁধানোর কাজ শুরু

আরও পড়ুন: পূর্ব বর্ধমানে বিক্ষোভের মুখে রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, গাড়িতে ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগ

পরবর্তীতে রাজ্য সরকার ভাগীরথী নদীভাঙন রোধে প্রায় ২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে। এই বরাদ্দের ভিত্তিতে সেচ দফতরের তত্ত্বাবধানে নদী পাড় বাঁধানোর কাজ শুরু হয়েছে। কাজটি প্রায় আট দিন ধরে চলছে। বাঁশের খাঁচা তৈরি করে তার মধ্যে বোল্ডার ফেলে ভাঙন রোধের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগে কিশোরীগঞ্জ গ্রামের মানুষজনের মুখে ফের হাসি ফুটেছে। অনেকেই বলছেন, অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটেছে। নদী পাড় বাঁধানোর ফলে ভিটেমাটি, জমি ও ঘরবাড়ি রক্ষা পাবে–এমনটাই আশা করছেন সকলেই। প্রশাসনের এই পদক্ষেপে স্থানীয় মানুষের মধ্যে স্বস্তি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পাচ্ছে।

আরও পড়ুন: সংরক্ষণ হবে পীর শাহ চাঁদ আউলিয়ার ৪০০ বছরের প্রাচীন মাজার – ঘোষণা পর্যটন দফতরের

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কিশোরীগঞ্জে ভাগীরথীর পাড় বাঁধানোর কাজ শুরু

আপডেট : ১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার

সফিকুল ইসলাম (দুলাল), বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলার নাদনঘাট থানার অন্তর্গত নসরতপুর পঞ্চায়েতের কিশোরীগঞ্জ একটি নদী তীরবর্তী প্রত্যন্ত গ্রাম। এই গ্রামটির প্রান্ত ঘেঁষেই বয়ে চলেছে ভাগীরথী নদী। দীর্ঘদিন ধরেই এই গ্রাম নদী ভাঙনের কবলে পড়ে এসেছে। বর্ষাকাল এলেই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। নদীর ধার ভেঙে জমি, ঘরবাড়ি, এমনকি মানুষের ভিটেমাটিও গিলে খায় নদী। বহু পরিবার ঘরছাড়া হয়েছে, কেউ কেউ অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।

কিশোরীগঞ্জের অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজ ও ক্ষেতমজুরির উপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ভাগীরথীর ভাঙনের ফলে তাদের চাষের জমি এবং বসতভিটা বিলীন হয়ে যাওয়ায় চরম দুরবস্থার মধ্যে দিন কাটছিল। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি এলাকার বিধায়ক ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলাশাসক আইএএস আয়েশা রানি সহ জেলা প্রশাসনের একাধিক আধিকারিক কিশোরীগঞ্জ এলাকা পরিদর্শন করেন। মানুষের কষ্ট দেখে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: জলছাড়ার পরিমাণ কমাতে ফের ডিভিসিকে চিঠি পাঠাল নবান্ন

কিশোরীগঞ্জে ভাগীরথীর পাড় বাঁধানোর কাজ শুরু

আরও পড়ুন: পূর্ব বর্ধমানে বিক্ষোভের মুখে রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, গাড়িতে ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগ

পরবর্তীতে রাজ্য সরকার ভাগীরথী নদীভাঙন রোধে প্রায় ২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে। এই বরাদ্দের ভিত্তিতে সেচ দফতরের তত্ত্বাবধানে নদী পাড় বাঁধানোর কাজ শুরু হয়েছে। কাজটি প্রায় আট দিন ধরে চলছে। বাঁশের খাঁচা তৈরি করে তার মধ্যে বোল্ডার ফেলে ভাঙন রোধের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগে কিশোরীগঞ্জ গ্রামের মানুষজনের মুখে ফের হাসি ফুটেছে। অনেকেই বলছেন, অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটেছে। নদী পাড় বাঁধানোর ফলে ভিটেমাটি, জমি ও ঘরবাড়ি রক্ষা পাবে–এমনটাই আশা করছেন সকলেই। প্রশাসনের এই পদক্ষেপে স্থানীয় মানুষের মধ্যে স্বস্তি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পাচ্ছে।

আরও পড়ুন: সংরক্ষণ হবে পীর শাহ চাঁদ আউলিয়ার ৪০০ বছরের প্রাচীন মাজার – ঘোষণা পর্যটন দফতরের