০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধ শুরুর আগে শান্তি আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন জেলেনস্কি­ : মস্কো

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৪ এপ্রিল ২০২২, সোমবার
  • / 17

পুবের কলম প্রতিবেদক : রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগে শান্তি আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস যুদ্ধ এড়ানোর সবশেষ সুযোগ হিসেবে এ প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রেফারেন্সে রাশিয়ান সংবাদমাধ্যম আরটি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের মধ্য রাশিয়ার সেনা প্রবেশের কয়েক দিন আগে জার্মান চ্যান্সেলর মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে শান্তি আলোচনার চেষ্টা চালান। জানা গেছে, ১৯ ফেব্রুয়ারি মিউনিখে শলৎস জেলেনস্কিকে বলেন, ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে ইউক্রেনের উচিত পুনরায় চিন্তাভাবনা করা ও নিরাপত্তার স্বার্থে নিরপেক্ষতার ঘোষণা দেওয়া। এ বিষয়ে বাইডেন ও পুতিনের মধ্যে একটি চুক্তি হতে পারত। তারা যৌথভাবে ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চিয়তা দিতে পারতেন ।

 

তবে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সে প্রস্তাবের প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এ ধরনের চুক্তি রক্ষার ক্ষেত্রে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিশ্বাস করা যায় না। তাছাড়া অধিকাংশ ইউক্রেনীয়রা ন্যাটোতে যোগ দিতে চায় বলেও জানান তিনি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের এমন উত্তরে হতাশ হন জার্মানির কর্মকর্তারা। কারণ এর মাধ্যমে শান্তি আলোচনার সবশেষ সুযোগও ম্লান হয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানা এক মাস ধরে উত্তেজনা চলার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় রাশিয়া। এক মাসের বেশি সময় ধরে রাশিয়ার সেনাদের সঙ্গে ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনীর তীব্র লড়াই চলছে। এরই মধ্যে কয়েকশ মানুষ হতাহতের খবর পাওয়া গেছে দেশটিতে। ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছেন প্রায় ৩০ লাখ মানুষ ।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

যুদ্ধ শুরুর আগে শান্তি আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন জেলেনস্কি­ : মস্কো

আপডেট : ৪ এপ্রিল ২০২২, সোমবার

পুবের কলম প্রতিবেদক : রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগে শান্তি আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস যুদ্ধ এড়ানোর সবশেষ সুযোগ হিসেবে এ প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রেফারেন্সে রাশিয়ান সংবাদমাধ্যম আরটি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের মধ্য রাশিয়ার সেনা প্রবেশের কয়েক দিন আগে জার্মান চ্যান্সেলর মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে শান্তি আলোচনার চেষ্টা চালান। জানা গেছে, ১৯ ফেব্রুয়ারি মিউনিখে শলৎস জেলেনস্কিকে বলেন, ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে ইউক্রেনের উচিত পুনরায় চিন্তাভাবনা করা ও নিরাপত্তার স্বার্থে নিরপেক্ষতার ঘোষণা দেওয়া। এ বিষয়ে বাইডেন ও পুতিনের মধ্যে একটি চুক্তি হতে পারত। তারা যৌথভাবে ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চিয়তা দিতে পারতেন ।

 

তবে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সে প্রস্তাবের প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এ ধরনের চুক্তি রক্ষার ক্ষেত্রে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিশ্বাস করা যায় না। তাছাড়া অধিকাংশ ইউক্রেনীয়রা ন্যাটোতে যোগ দিতে চায় বলেও জানান তিনি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের এমন উত্তরে হতাশ হন জার্মানির কর্মকর্তারা। কারণ এর মাধ্যমে শান্তি আলোচনার সবশেষ সুযোগও ম্লান হয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানা এক মাস ধরে উত্তেজনা চলার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় রাশিয়া। এক মাসের বেশি সময় ধরে রাশিয়ার সেনাদের সঙ্গে ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনীর তীব্র লড়াই চলছে। এরই মধ্যে কয়েকশ মানুষ হতাহতের খবর পাওয়া গেছে দেশটিতে। ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছেন প্রায় ৩০ লাখ মানুষ ।