'দুর্বল' মন্তব্য করবেন না: তদন্তকারী সংস্থাকে দুষলেন এনআইএ- বিশেষ আদালত
জমা পড়েনি চার্জশিট, Pahalgam ঘটনায় গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত জামিনে মুক্ত
- আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সোমবার
 - / 253
 
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: কেটে গেছে ৯০ দিন। এখনও চার্জশিট জমা করেনি তদন্তকারী সংস্থা NIA । (Pahalgam) পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ২ যুবককে ‘ডিফল্ট’ জামিন দিল আদালত। উভয়ের বিরুদ্ধে পহেলগাঁও ঘটনায় যুক্ত লস্কর-ই-তইবার শাখা সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট -( Lashkar-e-Taiba offshoot The Resistance Front (TRF)) এর অর্থ জোগানো ও সংগঠন প্রচারের অভিযোগ উঠেছিল। তবে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও চার্জশিট এখনও জমা করতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা (NIA )।
তাই জম্মুর বিশেষ এনআইএ আদালতের বিচারপতি সন্দীপ গন্দোত্র বৃহস্পতিবার রায় দেন যে, তদন্তকারী সংস্থা ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট দাখিল না করায় অভিযুক্তদের আইনি অধিকার অনুযায়ী জামিন দিতে বাধ্য আদালত। পালাক্রমে এপ্রিল ও মে মাসে তাদের গ্রেফতার করা হয়। অর্থাৎ এনআইএ হেফাজতে ইয়াসির হায়াত ইতিমধ্যেই ১১০ দিন, এবং শফাত ওয়ানি ১৮০ দিন কাটিয়ে দিয়েছেন। এদিনের রায় দিতে গিয়ে আদালত জানায়, ইউএপিএ-এর ধারা ৪৩ (ডি)(২)(বি) (under Section 43 (D) (2) (b) of the UAPA ) অনুযায়ী, ঘটনার ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা না করলে অভিযুক্তদের (Pahalgam ) জামিন চাওয়ার অবিচ্ছেদ্য অধিকার থাকে। সেক্ষেত্রে অপরাধ যতই গুরুতর হোক না কেন।
অন্যদিকে নিজের হয়ে সাফাই গেয়ে তদন্তকারী সংস্থা যুক্তি দেয় যে, অভিযুক্তদের ফোন থেকে পাওয়া গৃহীত কল রেকর্ড এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে রয়েছে। এছাড়াও সন্দেহভাজন কয়েকজন পলাতক। একই সঙ্গে অভিযুক্তদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তাই আরও কিছু সময় লাগছে। এত তাড়াতাড়ি সব সম্ভব নয়।
অন্যদিকে তদন্তকারী সংস্থার এহেন ‘দুর্বল’ মন্তব্য শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়ে এনআইএ-র বিশেষ আদালতের বিচারপতিরা। বলেন, একই যুক্তি বারবার দর্শিয়ে মেয়াদ বাড়ানো যাবে না। তাই ১৫টি শর্তে ইয়াসির হায়াতকে এদিন জামিন দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল এনক্রিপ্টেড প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা। শুধুমাত্র অনুমোদিত মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে হবে এবং তার আইএমইআই নম্বর নিকটবর্তী থানার এসএইচও ও তদন্তকারী অফিসারকে জানাতে হবে।
দিল্লিতে ED অফিসে হাজিরা দিলেন মিমি চক্রবর্তী
বলা বাহুল্য, একটি এনক্রিপ্টেড প্ল্যাটফর্ম হলো এমন একটি সিস্টেম বা অ্যাপ্লিকেশন যেখানে তথ্যকে গোপন কোডে রূপান্তরিত করা হয়, যেন শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটি কোড থাকা ব্যক্তিরা সেই তথ্য পড়তে পারে। এর ফলে, ডেটা একটি সুরক্ষিত অবস্থায় থাকে এবং অননুমোদিত অ্যাক্সেস থেকে রক্ষা পায়। যেমন, কোনও মেসেজিং অ্যাপে পাঠানো বার্তাগুলো এনক্রিপ্টেড হতে পারে, যা শুধুমাত্র প্রেরক ও প্রাপক বুঝতে পারবে।
																			
																		































