০৪ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২০২২: ইতিহাসের শুষ্কতম বছর

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, রবিবার
  • / 64

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিশ্বে। এরই মধ্যে শুষ্কতম বছরের তকমা পেয়েছে ২০২২ সাল। শুধু তাই নয়, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবে ৫০০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার মুখে এখন ইউরোপ। এছাড়াও, অনাবৃষ্টির কবলে চিন ও আমেরিকা। (হাইলাইটস)

 

আরও পড়ুন: গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির আহ্বান চিনের

বিশেষ প্রতিবেদন: জলবায়ুর অস্বাভাবিক পরিবর্তনের প্রভাবে চলতি গ্রীষ্মে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ইউরোপ। তাপমাত্রার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি দেখেছে চিনও। শুধু তাই নয়, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবে ভয়াবহ খরার কবলে পড়েছে দেশটি। আশঙ্কাজনক হারে নেমে গেছে পানির স্তর। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে বিশ্ব। দিন দিন বাড়ছে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা। দেখা দিচ্ছে অনাবৃষ্টি। গেল কয়েক দশকের গড় তাপমাত্রা গবেষণা করে এরই মধ্যে ২০২২ সালকে ইতিহাসের শুষ্কতম বছর হিসেবেও অভিহিত করছেন কেউ কেউ। শুষ্কতা পরিমাপের জন্য বিজ্ঞানীরা যেসব পদ্ধতি ব্যবহার করেন, তার মধ্যে একটি উপগ্রহের ছবির সাহায্যে মাটির আর্দ্রতা পরিমাপ করা।
গেল দুই দশকের মধ্যে গ্রীষ্মকালের গড় তাপমাত্রার হার বিবেচনায় উষ্ণতম বছর হয়েছে ২০২২। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ভয়াবহ দাবদাহে যেমন পুড়েছে ইউরোপ, তেমনই চিনের কিছু অংশেও দেখা দেয় তীব্র খরা। এমনকি অনাবৃষ্টির কবলে পড়ে খরা দেখা দিয়েছে আমেরিকায়। জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে ৫০০ বছরের ইতিহাসে ভয়াবহ খরার মুখোমুখি ইউরোপ। শুধু তাই নয়, ইউরোপের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানির স্তরও আশঙ্কাজনক হারে নেমে যেতে শুরু করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আগামী দিনগুলোতে ইউরোপে আরও বেশি খরা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের। এছাড়া, ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা বলেন, ১২শ বছরের মধ্যে বিগত দুই দশক ধরে তীব্র খরা পরিস্থিতি দেখেছে আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চল। এতে করে দাবানল সৃষ্টির পাশাপাশি জলাধারে নেমে যাচ্ছে পানির স্তর। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের হার বেড়ে যাওয়ায় আফ্রিকার প্রায় ২.৫ কোটি মানুষ ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়বে বলে সতর্ক করেছে রাষ্ট্রসংঘ।

আরও পড়ুন: শুল্কযুদ্ধে টানাপোড়েনের মধ্যেই শি জিনপিঙের সঙ্গে ফোনে কথা ট্রাম্পের, যাচ্ছেন চিন 

আরও পড়ুন: China doesn’t plot wars, ট্রাম্পের শুল্ক হুঁশিয়ারিতে কড়া বার্তা বেজিং-এর

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

২০২২: ইতিহাসের শুষ্কতম বছর

আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, রবিবার

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিশ্বে। এরই মধ্যে শুষ্কতম বছরের তকমা পেয়েছে ২০২২ সাল। শুধু তাই নয়, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবে ৫০০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার মুখে এখন ইউরোপ। এছাড়াও, অনাবৃষ্টির কবলে চিন ও আমেরিকা। (হাইলাইটস)

 

আরও পড়ুন: গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির আহ্বান চিনের

বিশেষ প্রতিবেদন: জলবায়ুর অস্বাভাবিক পরিবর্তনের প্রভাবে চলতি গ্রীষ্মে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ইউরোপ। তাপমাত্রার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি দেখেছে চিনও। শুধু তাই নয়, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবে ভয়াবহ খরার কবলে পড়েছে দেশটি। আশঙ্কাজনক হারে নেমে গেছে পানির স্তর। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে বিশ্ব। দিন দিন বাড়ছে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা। দেখা দিচ্ছে অনাবৃষ্টি। গেল কয়েক দশকের গড় তাপমাত্রা গবেষণা করে এরই মধ্যে ২০২২ সালকে ইতিহাসের শুষ্কতম বছর হিসেবেও অভিহিত করছেন কেউ কেউ। শুষ্কতা পরিমাপের জন্য বিজ্ঞানীরা যেসব পদ্ধতি ব্যবহার করেন, তার মধ্যে একটি উপগ্রহের ছবির সাহায্যে মাটির আর্দ্রতা পরিমাপ করা।
গেল দুই দশকের মধ্যে গ্রীষ্মকালের গড় তাপমাত্রার হার বিবেচনায় উষ্ণতম বছর হয়েছে ২০২২। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ভয়াবহ দাবদাহে যেমন পুড়েছে ইউরোপ, তেমনই চিনের কিছু অংশেও দেখা দেয় তীব্র খরা। এমনকি অনাবৃষ্টির কবলে পড়ে খরা দেখা দিয়েছে আমেরিকায়। জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে ৫০০ বছরের ইতিহাসে ভয়াবহ খরার মুখোমুখি ইউরোপ। শুধু তাই নয়, ইউরোপের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানির স্তরও আশঙ্কাজনক হারে নেমে যেতে শুরু করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আগামী দিনগুলোতে ইউরোপে আরও বেশি খরা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের। এছাড়া, ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা বলেন, ১২শ বছরের মধ্যে বিগত দুই দশক ধরে তীব্র খরা পরিস্থিতি দেখেছে আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চল। এতে করে দাবানল সৃষ্টির পাশাপাশি জলাধারে নেমে যাচ্ছে পানির স্তর। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের হার বেড়ে যাওয়ায় আফ্রিকার প্রায় ২.৫ কোটি মানুষ ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়বে বলে সতর্ক করেছে রাষ্ট্রসংঘ।

আরও পড়ুন: শুল্কযুদ্ধে টানাপোড়েনের মধ্যেই শি জিনপিঙের সঙ্গে ফোনে কথা ট্রাম্পের, যাচ্ছেন চিন 

আরও পড়ুন: China doesn’t plot wars, ট্রাম্পের শুল্ক হুঁশিয়ারিতে কড়া বার্তা বেজিং-এর