১৫ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুজোর আগেই বাংলায় আসছে ৩০০০ মেট্রিক টন ইলিশ

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ৩০ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার
  • / 317

আবদুল ওদুদ : চলতি বছরে পুজোয় বাঙালির পাতে পড়বে ঢাকার ইলিশ। ২০২৪ সালে ৫ আগষ্ট বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের ফলে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়, ভারত- বাংলাদেশ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন ঘটে ।ফলে একাধিক বিষয়ে আমদানি রপ্তানিতে সমস্যা সৃষ্টি হয়। কিন্তু দীর্ঘ এক বছর কেটে যাওয়ায় এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক।ফলে এ বছর দুর্গাপূজায় বাংলাদেশ থেকে ৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ মাছ আসবে পুজোর আগেই।

শুক্রবার বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্রে এমনটাই জানানো হয়েছে। কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপদূতাবাস সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ইলিশ পাঠানোর ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছে ফলে আশা করা হচ্ছে পুজোর আগেই তিন হাজার মেট্রিক টন ইলিশ কলকাতায় স্থল বন্দর দিয়ে ঢুকবে। জানা গিয়েছে,বাংলাদেশ থেকে ৫ হাজার টন ইলিশ আমদানির জন্য সে দেশের অন্তর্র্বতী সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে গত মাসেই চিঠি দেয় বাংলার ‘ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’।

আরও পড়ুন: ১৩ দিনে ভারতে ১৪৫ টন ইলিশ পাঠাল বাংলাদেশ

প্রসঙ্গত,২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ-সহ বিভিন্ন ধরনের মাছের রপ্তানির আর্থিক পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ৮৭ লক্ষ মার্কিন ডলার। ইলিশ ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে পাবদা, ভেটকি, পুঁটি আসে। আর এ দিক থেকে বিপুল পরিমাণে শুঁটকি, লটে, কাঁচকির পাশাপাশি রুই, কাতলা, ম্যাকারেল যায় ওপারে। ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে যার বাণিজ্যমূল্য ছিল ৩ কোটি ৫৫ লক্ষ ডলার মতো। প্রায় ৬৩ হাজার টন মাছ গিয়েছিল বাংলাদেশে।

আরও পড়ুন: ১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু বাংলাদেশের অমর একুশে বইমেলা

এ রাজ্যের আমদানিকারী সংস্থাগুলির দাবি, গত পাঁচ-ছ’বছরে বাংলাদেশে যে পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়েছে, তার মাত্র ০.২৯ শতাংশ ভারতে এসেছে। কারণ বাংলাদেশ সরকার যে পরিমাণ ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেয়, বিভিন্ন কারণে তার থেকে অনেক কম ইলিশ আনার সুযোগ মেলে। ২০২২-’২৩ সালে বাংলাদেশ সরকার প্রায় সাড়ে ৪ হাজার টন ইলিশ ভারতে পাঠানোর অনুমোদন দিলেও এসেছিল মাত্র ১,৩৯১ টন। যদিও ২০২৪ সালে কোন ইলিশ আসেনি এই বাংলায়।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ইলিশ পৌঁছল পেট্রাপোল স্থল বন্দরে, খুশি ব্যবসায়ীরা

বাংলাদেশ সরকার সে দেশের মানুষের ইলিশের চাহিদা মিটিয়ে যেমন বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের জন্য কিছু পরিমাণ ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেয়, তেমনই দাম একটু চড়া হলেও পদ্মার ইলিশ চেখে দেখতে এ পারের অনেকেই মুখিয়ে থাকেন। এ রাজ্যের মাছ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ দেখেছে, ইলিশ রপ্তানি করে তাদের যা আয় হয়, সেই টাকা দিয়ে ভারত থেকে আনা করা শুঁটকি-সহ বাকি মাছের দাম মিটিয়ে দেওয়া যায়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পুজোর আগেই বাংলায় আসছে ৩০০০ মেট্রিক টন ইলিশ

আপডেট : ৩০ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার

আবদুল ওদুদ : চলতি বছরে পুজোয় বাঙালির পাতে পড়বে ঢাকার ইলিশ। ২০২৪ সালে ৫ আগষ্ট বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের ফলে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়, ভারত- বাংলাদেশ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন ঘটে ।ফলে একাধিক বিষয়ে আমদানি রপ্তানিতে সমস্যা সৃষ্টি হয়। কিন্তু দীর্ঘ এক বছর কেটে যাওয়ায় এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক।ফলে এ বছর দুর্গাপূজায় বাংলাদেশ থেকে ৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ মাছ আসবে পুজোর আগেই।

শুক্রবার বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্রে এমনটাই জানানো হয়েছে। কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপদূতাবাস সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ইলিশ পাঠানোর ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছে ফলে আশা করা হচ্ছে পুজোর আগেই তিন হাজার মেট্রিক টন ইলিশ কলকাতায় স্থল বন্দর দিয়ে ঢুকবে। জানা গিয়েছে,বাংলাদেশ থেকে ৫ হাজার টন ইলিশ আমদানির জন্য সে দেশের অন্তর্র্বতী সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে গত মাসেই চিঠি দেয় বাংলার ‘ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’।

আরও পড়ুন: ১৩ দিনে ভারতে ১৪৫ টন ইলিশ পাঠাল বাংলাদেশ

প্রসঙ্গত,২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ-সহ বিভিন্ন ধরনের মাছের রপ্তানির আর্থিক পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ৮৭ লক্ষ মার্কিন ডলার। ইলিশ ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে পাবদা, ভেটকি, পুঁটি আসে। আর এ দিক থেকে বিপুল পরিমাণে শুঁটকি, লটে, কাঁচকির পাশাপাশি রুই, কাতলা, ম্যাকারেল যায় ওপারে। ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে যার বাণিজ্যমূল্য ছিল ৩ কোটি ৫৫ লক্ষ ডলার মতো। প্রায় ৬৩ হাজার টন মাছ গিয়েছিল বাংলাদেশে।

আরও পড়ুন: ১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু বাংলাদেশের অমর একুশে বইমেলা

এ রাজ্যের আমদানিকারী সংস্থাগুলির দাবি, গত পাঁচ-ছ’বছরে বাংলাদেশে যে পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়েছে, তার মাত্র ০.২৯ শতাংশ ভারতে এসেছে। কারণ বাংলাদেশ সরকার যে পরিমাণ ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেয়, বিভিন্ন কারণে তার থেকে অনেক কম ইলিশ আনার সুযোগ মেলে। ২০২২-’২৩ সালে বাংলাদেশ সরকার প্রায় সাড়ে ৪ হাজার টন ইলিশ ভারতে পাঠানোর অনুমোদন দিলেও এসেছিল মাত্র ১,৩৯১ টন। যদিও ২০২৪ সালে কোন ইলিশ আসেনি এই বাংলায়।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ইলিশ পৌঁছল পেট্রাপোল স্থল বন্দরে, খুশি ব্যবসায়ীরা

বাংলাদেশ সরকার সে দেশের মানুষের ইলিশের চাহিদা মিটিয়ে যেমন বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের জন্য কিছু পরিমাণ ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেয়, তেমনই দাম একটু চড়া হলেও পদ্মার ইলিশ চেখে দেখতে এ পারের অনেকেই মুখিয়ে থাকেন। এ রাজ্যের মাছ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ দেখেছে, ইলিশ রপ্তানি করে তাদের যা আয় হয়, সেই টাকা দিয়ে ভারত থেকে আনা করা শুঁটকি-সহ বাকি মাছের দাম মিটিয়ে দেওয়া যায়।