০৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৯১ শিশুকে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ ৪৫ বছরের অস্ট্রেলিয়র

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২ অগাস্ট ২০২৩, বুধবার
  • / 23

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন এক চাইল্ড কেয়ার সেন্টারের  কর্মী ৯১টি শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। বলা হচ্ছে, দেশটির ইতিহাসে এটি সবচেয়ে মারাত্মক শিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনা। ৪৫ বছর বয়সি ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১ হাজার ৬২৩টি পৃথক অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৩৬টি ধর্ষণ, ১০ বছরের কম বয়সি শিশুদের সঙ্গে ১১০ বার যৌন মিলন এবং ৬১৩টি শিশুকে যৌন নির্যাতনের প্রচেষ্টা। অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশ মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২০০৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে সিডনি, ব্রিসবেন এবং অন্যান্য স্থানের ১২টি পৃথক চাইল্ড কেয়ার সেন্টার থেকে অভিযোগগুলো এসেছে। ওই ব্যক্তি নিজেই তার কুকর্মগুলো রেকর্ড করে রেখেছিলেন এবং মেয়েগুলো বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছার আগেই তার যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। যৌন নিপীড়নের শিকার ৮৭ অস্ট্রেলিয়ান শিশুকে শনাক্ত করা গেছে এবং বাইরের চার শিশুকে শনাক্তের কাজ চলছে। ওই ব্যক্তি ডার্ক ওয়েবে ২০১৪ সালে শিশু নিপীড়নের ছবি ও ভিডিয়ো প্রচার করলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ও অনুসন্ধান শুরু হয়। কুইন্সল্যান্ডের গোল্ড কোস্টের বাসিন্দা ওই ব্যক্তিকে ২০২২ সালের আগস্টে গ্রেফতার করা হয় এবং তখন থেকেই পুলিশি হেফাজতে আছেন। ওই ব্যক্তিকে ২১ আগস্ট ব্রিসবেনে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

৯১ শিশুকে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ ৪৫ বছরের অস্ট্রেলিয়র

আপডেট : ২ অগাস্ট ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন এক চাইল্ড কেয়ার সেন্টারের  কর্মী ৯১টি শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। বলা হচ্ছে, দেশটির ইতিহাসে এটি সবচেয়ে মারাত্মক শিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনা। ৪৫ বছর বয়সি ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১ হাজার ৬২৩টি পৃথক অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৩৬টি ধর্ষণ, ১০ বছরের কম বয়সি শিশুদের সঙ্গে ১১০ বার যৌন মিলন এবং ৬১৩টি শিশুকে যৌন নির্যাতনের প্রচেষ্টা। অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশ মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২০০৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে সিডনি, ব্রিসবেন এবং অন্যান্য স্থানের ১২টি পৃথক চাইল্ড কেয়ার সেন্টার থেকে অভিযোগগুলো এসেছে। ওই ব্যক্তি নিজেই তার কুকর্মগুলো রেকর্ড করে রেখেছিলেন এবং মেয়েগুলো বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছার আগেই তার যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। যৌন নিপীড়নের শিকার ৮৭ অস্ট্রেলিয়ান শিশুকে শনাক্ত করা গেছে এবং বাইরের চার শিশুকে শনাক্তের কাজ চলছে। ওই ব্যক্তি ডার্ক ওয়েবে ২০১৪ সালে শিশু নিপীড়নের ছবি ও ভিডিয়ো প্রচার করলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ও অনুসন্ধান শুরু হয়। কুইন্সল্যান্ডের গোল্ড কোস্টের বাসিন্দা ওই ব্যক্তিকে ২০২২ সালের আগস্টে গ্রেফতার করা হয় এবং তখন থেকেই পুলিশি হেফাজতে আছেন। ওই ব্যক্তিকে ২১ আগস্ট ব্রিসবেনে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হবে।