০২ মে ২০২৫, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংস্কার কাজে ২০০ মাদ্রাসাকে বরাদ্দ ৬ কোটি

সুস্মিতা
  • আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 25

xr:d:DAFjck5jq10:2,j:5091472413,t:23052010

পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যের ২০০ মাদ্রাসাকে সংস্কারের জন্য বরাদ্দ করছে রাজ্যের মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর। এই মাদ্রাসা সংস্কারের জন্য ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানান সংখ্যালঘু দফতরের আধিকারিক ওবাইদুর রহমান। এ দিন তিনি বলেন, প্রথম ধাপে দেওয়া হবে ৩ কোটি, এই মাদ্রাসা প্রথমে পাবে দেড় লক্ষ টাকা করে। দ্বিতীয় পর্যায়ে দেওয়া হবে ৩ কোটি, এই মাদ্রাসাগুলি পাবে ফের দেড় লক্ষ টাকা। জেলাশাসকদের পাঠানো হচ্ছে এই টাকা। তবে মাদ্রাসা সংস্কারের কাজ করবে ব্লক প্রশাসন।মাদ্রাসার বিল্ডিং ভেঙে যাওয়া, চেয়ার-টেবিল রিপেয়ারিং-সহ অন্যান্য কাজের জন্য এই বরাদ্দ হয়েছে। মাদ্রাসাগুলিতে এই বরাদ্দে খুশি শিক্ষকরা।
শিক্ষকদের বক্তব্য, বহুদিন পর মাদ্রাসাগুলি ‘রিপিয়ারিং গ্রান্ট’ পাচ্ছে, এতে খুশি। মাদ্রাসাগুলি যাতে ‘কম্পোজিট গ্রান্ট’ও পায়, তার আর্জি জানান শিক্ষকরা। কিছু মাদ্রাসায় বই পায়নি বলেও অভিযোগ। সেই মাদ্রাসাগুলি যাতে বই পায় তার উদ্যোগ নিতে হবে। স্কুলগুলিকে রং করার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু কোনও মাদ্রাসায় রং করার জন্য আলাদাভাবে বরাদ্দ পায়নি বলে অভিযোগ শিক্ষকদের একাংশের।
অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন ঘটাতে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। ইতিমধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার পরিকাঠামো ঢেলে সাজাতে একগুচ্ছ পরিকল্পনাও নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর। বিশেষ করে বিজ্ঞানভিত্তিক পাঠক্রমের অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য প্রয়াস শুরু হয়েছে। মাদ্রাসাগুলির উন্নয়ন করোনা পরিস্থিতির আগে থেকেই চলছে। আরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই উদ্যোগ এবার কার্যকর করতে চলেছে দফতর। আগামী মার্চ মাসের মধ্যে ১০০টি উচ্চ মাধ্যমিক মাদ্রাসায় কম্পিউটার ল্যাব তৈরি করা হবে। এক একটি মাদ্রাসায় দেওয়া হবে ২১টি কম্পিউটার সহ অন্যান্য সরঞ্জাম।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সংস্কার কাজে ২০০ মাদ্রাসাকে বরাদ্দ ৬ কোটি

আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যের ২০০ মাদ্রাসাকে সংস্কারের জন্য বরাদ্দ করছে রাজ্যের মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর। এই মাদ্রাসা সংস্কারের জন্য ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানান সংখ্যালঘু দফতরের আধিকারিক ওবাইদুর রহমান। এ দিন তিনি বলেন, প্রথম ধাপে দেওয়া হবে ৩ কোটি, এই মাদ্রাসা প্রথমে পাবে দেড় লক্ষ টাকা করে। দ্বিতীয় পর্যায়ে দেওয়া হবে ৩ কোটি, এই মাদ্রাসাগুলি পাবে ফের দেড় লক্ষ টাকা। জেলাশাসকদের পাঠানো হচ্ছে এই টাকা। তবে মাদ্রাসা সংস্কারের কাজ করবে ব্লক প্রশাসন।মাদ্রাসার বিল্ডিং ভেঙে যাওয়া, চেয়ার-টেবিল রিপেয়ারিং-সহ অন্যান্য কাজের জন্য এই বরাদ্দ হয়েছে। মাদ্রাসাগুলিতে এই বরাদ্দে খুশি শিক্ষকরা।
শিক্ষকদের বক্তব্য, বহুদিন পর মাদ্রাসাগুলি ‘রিপিয়ারিং গ্রান্ট’ পাচ্ছে, এতে খুশি। মাদ্রাসাগুলি যাতে ‘কম্পোজিট গ্রান্ট’ও পায়, তার আর্জি জানান শিক্ষকরা। কিছু মাদ্রাসায় বই পায়নি বলেও অভিযোগ। সেই মাদ্রাসাগুলি যাতে বই পায় তার উদ্যোগ নিতে হবে। স্কুলগুলিকে রং করার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু কোনও মাদ্রাসায় রং করার জন্য আলাদাভাবে বরাদ্দ পায়নি বলে অভিযোগ শিক্ষকদের একাংশের।
অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন ঘটাতে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। ইতিমধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার পরিকাঠামো ঢেলে সাজাতে একগুচ্ছ পরিকল্পনাও নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর। বিশেষ করে বিজ্ঞানভিত্তিক পাঠক্রমের অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য প্রয়াস শুরু হয়েছে। মাদ্রাসাগুলির উন্নয়ন করোনা পরিস্থিতির আগে থেকেই চলছে। আরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই উদ্যোগ এবার কার্যকর করতে চলেছে দফতর। আগামী মার্চ মাসের মধ্যে ১০০টি উচ্চ মাধ্যমিক মাদ্রাসায় কম্পিউটার ল্যাব তৈরি করা হবে। এক একটি মাদ্রাসায় দেওয়া হবে ২১টি কম্পিউটার সহ অন্যান্য সরঞ্জাম।