০২ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানে বন্যার কবলে ৬ লক্ষ গর্ভবতী নারী

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১ সেপ্টেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 49

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ পাকিস্তানে বন্যাকবলিতদের মধ্যে অন্তত সাড়ে ছয় লক্ষ অন্তঃসত্ত্বা নারী রয়েছেন। এর মধ্যে ৭৩ হাজার নারীর আগামী মাসেই সন্তান প্রসবের কথা রয়েছে। এমন অবস্থায় বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোয় জরুরি ভিত্তিতে মাতৃস্বাস্থ্যসেবা জরুরি হয়ে পড়েছে।

 

আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সেনা কনভয়ে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ, নিহত কমপক্ষে ১৩ জওয়ান

রাষ্ট্রসংঘের জনসংখ্যাবিষয়ক সংস্থা ইউএনএফপিএ সতর্ক করে বলেছে, বন্যায় প্রায় ১০ লক্ষ ঘরবাড়ি ধ্বংস হওয়ায় লাখো মানুষ দুর্দশার মধ্যে পড়বে। ইউএনএফপিএ বলছে, আগামী মাসে ৭৩ হাজার নারী সন্তান প্রসব করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: এবার পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে নজর ইসরাইলের

 

আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে কাছে টেনে ইরানের ওপর চাপ বাড়াতে চাইছে আমেরিকা 

তাঁদের জন্য দক্ষ পরিচর্যাকারী, নবজাতকের সুরক্ষার ব্যবস্থা ও সহায়তা প্রয়োজন। সংস্থাটি আরও বলেছে, জরুরি অবস্থা কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবে শেষ হবে, তার জন্য গর্ভাবস্থা কিংবা সন্তান জন্মদানকে থামিয়ে রাখা যায় না। আর এমন পরিস্থিতিতে নারী ও শিশুরা অসহায় থাকে এবং তাদের জন্য অনেক বেশি সুরক্ষার প্রয়োজন।

 

ইউএনএফপিএ’র ভারপ্রাপ্ত পাকিস্তান প্রতিনিধি বাখিতর কাদিরভ বলেছেন, অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং অবস্থার মধ্যেও অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং নতুন মায়েদের জন্য জীবন সুরক্ষাকারী সেবা নিশ্চিত করতে ইউএনএফপিএ মাঠে থেকে সহযোগীদের সঙ্গে কাজ করছে।

 

সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, সিন্ধু প্রদেশে ১,০০০-এরও বেশি স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র আংশিক কিংবা পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বালুচিস্তানের বিভিন্ন জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৯৮টি স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র। রাস্তাঘাট ও সেতুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নারী ও কিশোরীরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে পারছেন না। বাখিতর কাদিরভ আরও বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে সরঞ্জাম ও মানবসম্পদ সরবরাহ করে যাব, যেন চ্যালেঞ্জিং মানবিক পরিস্থিতির মধ্যেও পুরোপুরি কাজ চালানো যায়।’

 

বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে ত্রাণ বিতরণ করেছে রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। সংস্থার প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সহায়তা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন।

 

গ্রান্ডি বলেন, বৃষ্টি ও বন্যা মানুষের জন্য দুর্যোগ বয়ে এনেছে। এ কঠিন সময়ে পাকিস্তানের প্রতি  প্রয়োজন। উল্লেখ্য, পাকিস্তানজুড়ে ৩ কোটি মানুষ বৃষ্টি ও বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

 

৬৪ লক্ষ মানুষের জন্য অবিলম্বে সহায়তা প্রয়োজন। হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। বন্যায় মৃত্যু হাজার ছাড়িয়েছে। এদিকে রাষ্ট্রসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা (ইউনিসেফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশটিতে ভয়াবহ বন্যার কারণে ৩০ লক্ষেরও বেশি শিশু ঝুঁকিতে রয়েছে।

 

সংস্থাটি বলছে, সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ এই বন্যায় পাকিস্তানের ৩০ লক্ষেরও বেশি শিশুর মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। পানিবাহিত রোগ, পানিতে ডুবে মৃত্যু এবং অপুষ্টির ঝুঁকিতে রয়েছে এসব শিশু। এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বন্যাকবলিত এলাকায় শিশুদের জরুরি সহায়তা দিতে সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে ইউনিসেফ।



                            

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পাকিস্তানে বন্যার কবলে ৬ লক্ষ গর্ভবতী নারী

আপডেট : ১ সেপ্টেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ পাকিস্তানে বন্যাকবলিতদের মধ্যে অন্তত সাড়ে ছয় লক্ষ অন্তঃসত্ত্বা নারী রয়েছেন। এর মধ্যে ৭৩ হাজার নারীর আগামী মাসেই সন্তান প্রসবের কথা রয়েছে। এমন অবস্থায় বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোয় জরুরি ভিত্তিতে মাতৃস্বাস্থ্যসেবা জরুরি হয়ে পড়েছে।

 

আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সেনা কনভয়ে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ, নিহত কমপক্ষে ১৩ জওয়ান

রাষ্ট্রসংঘের জনসংখ্যাবিষয়ক সংস্থা ইউএনএফপিএ সতর্ক করে বলেছে, বন্যায় প্রায় ১০ লক্ষ ঘরবাড়ি ধ্বংস হওয়ায় লাখো মানুষ দুর্দশার মধ্যে পড়বে। ইউএনএফপিএ বলছে, আগামী মাসে ৭৩ হাজার নারী সন্তান প্রসব করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: এবার পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে নজর ইসরাইলের

 

আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে কাছে টেনে ইরানের ওপর চাপ বাড়াতে চাইছে আমেরিকা 

তাঁদের জন্য দক্ষ পরিচর্যাকারী, নবজাতকের সুরক্ষার ব্যবস্থা ও সহায়তা প্রয়োজন। সংস্থাটি আরও বলেছে, জরুরি অবস্থা কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবে শেষ হবে, তার জন্য গর্ভাবস্থা কিংবা সন্তান জন্মদানকে থামিয়ে রাখা যায় না। আর এমন পরিস্থিতিতে নারী ও শিশুরা অসহায় থাকে এবং তাদের জন্য অনেক বেশি সুরক্ষার প্রয়োজন।

 

ইউএনএফপিএ’র ভারপ্রাপ্ত পাকিস্তান প্রতিনিধি বাখিতর কাদিরভ বলেছেন, অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং অবস্থার মধ্যেও অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং নতুন মায়েদের জন্য জীবন সুরক্ষাকারী সেবা নিশ্চিত করতে ইউএনএফপিএ মাঠে থেকে সহযোগীদের সঙ্গে কাজ করছে।

 

সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, সিন্ধু প্রদেশে ১,০০০-এরও বেশি স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র আংশিক কিংবা পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বালুচিস্তানের বিভিন্ন জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৯৮টি স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র। রাস্তাঘাট ও সেতুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নারী ও কিশোরীরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে পারছেন না। বাখিতর কাদিরভ আরও বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে সরঞ্জাম ও মানবসম্পদ সরবরাহ করে যাব, যেন চ্যালেঞ্জিং মানবিক পরিস্থিতির মধ্যেও পুরোপুরি কাজ চালানো যায়।’

 

বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে ত্রাণ বিতরণ করেছে রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। সংস্থার প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সহায়তা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন।

 

গ্রান্ডি বলেন, বৃষ্টি ও বন্যা মানুষের জন্য দুর্যোগ বয়ে এনেছে। এ কঠিন সময়ে পাকিস্তানের প্রতি  প্রয়োজন। উল্লেখ্য, পাকিস্তানজুড়ে ৩ কোটি মানুষ বৃষ্টি ও বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

 

৬৪ লক্ষ মানুষের জন্য অবিলম্বে সহায়তা প্রয়োজন। হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। বন্যায় মৃত্যু হাজার ছাড়িয়েছে। এদিকে রাষ্ট্রসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা (ইউনিসেফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশটিতে ভয়াবহ বন্যার কারণে ৩০ লক্ষেরও বেশি শিশু ঝুঁকিতে রয়েছে।

 

সংস্থাটি বলছে, সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ এই বন্যায় পাকিস্তানের ৩০ লক্ষেরও বেশি শিশুর মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। পানিবাহিত রোগ, পানিতে ডুবে মৃত্যু এবং অপুষ্টির ঝুঁকিতে রয়েছে এসব শিশু। এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বন্যাকবলিত এলাকায় শিশুদের জরুরি সহায়তা দিতে সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে ইউনিসেফ।