০৮ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়ার ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে পালানোর সময় ৬ রোহিঙ্গা নিহত

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২২, বুধবার
  • / 35

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ মালয়েশিয়ার ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে পালানোর সময় নিহত হয়েছে ৬ রোহিঙ্গা বন্দি । এ ছাড়া ৫২৮ জন  রোহিঙ্গা বন্দি   পালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার সকাল ৬টা ৫০ মিনিটর মহাসড়ক পার হতে গিয়ে তারা ওই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। ২০ এপ্রিল বুধবার ভোর সাড়ে ৪টায় পেনাংয়ের সুঙ্গাই বাকাপের অস্থায়ী ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপো থেকে মোট ৫২৮ জন রোহিঙ্গা বন্দি পালিয়ে যায়।  তার মধ্যে ৩৬২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ।

পেনাংয়ের পুলিশ প্রধান দাতুক মুহাম্মাদ  সুহেলি, মুহাম্মাদ জেইন এ ঘটনা সম্পর্কে  বলেছেন–১০ জন রোহিঙ্গা উত্তর-দক্ষিণ মহাসড়ক পার হওয়ার সময় একটি  দ্রুতগামী গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগে ৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ– দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী– একজন মেয়ে ও একজন ছেলে ছিল।

আরও পড়ুন: রাজনৈতিক স্বার্থ দেশের নিরাপত্তার চেয়ে বড় নয়, মালয়েশিয়ায় মন্তব্য অভিষেকের

ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে– এই ৫২৮ জন রোহিঙ্গা মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার হয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক ছিলেন। মালয়েশিয়ায় লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থী হিসেবে অবস্থান করছে। দেশটিতে ঠিক কী পরিমাণ রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছে তার সঠিক পরিসংখ্যান জানা সম্ভব হয়নি। কারণ অধিকাংশ রোহিঙ্গা সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেছে। তবে লাখের অধিক রোহিঙ্গা দেশটিতে শরণার্থী হিসেবে অবস্থান করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: মুসলিম ও কাশ্মীরিদের টার্গেট করবেন না, আর্জি পহেলগাঁও কাণ্ডে শহিদ বিনয়ের স্ত্রীর

রোহিঙ্গারা অভাবের তাড়নায় অনেক সময় দেশটির বিভিন্ন সেক্টরে কাজে যোগদান করেন। যদিও শরণার্থীদের এ দেশে কাজ করা অবৈধ। কর্মরত অবস্থায় কোনো রোহিঙ্গা ধরা পড়লে তাকে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়। আবার অনেক সময় সাগরপথে মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশের সময় তাদের গ্রেফতার করে ক্যাম্পে রাখা হয়।

আরও পড়ুন: কানাডায় ভারতীয় যুবককে ছুরি দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে খুন, আটক শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি

এদিকে– অভিবাসন মহাপরিচালক দাতুক সেরি খাইরুল জাইমি দাউদ এক বিবৃতিতে বলেছেন– মোট ৩৬২ জনকে দ্বিতীয়বারের মতো গ্রেফতার করা হয়েছে– বাকি অবৈধ অভিবাসীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। ‘তারা ব্লকের দরজা ও ব্যারিয়ারের গ্রিল ভেঙ্গে পালিয়ে যায়। পলাতকদের খুঁজে বের করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের সহায়তার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার সাথে যোগাযোগ করে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি সক্রিয় করা হয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মালয়েশিয়ার ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে পালানোর সময় ৬ রোহিঙ্গা নিহত

আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২২, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ মালয়েশিয়ার ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে পালানোর সময় নিহত হয়েছে ৬ রোহিঙ্গা বন্দি । এ ছাড়া ৫২৮ জন  রোহিঙ্গা বন্দি   পালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার সকাল ৬টা ৫০ মিনিটর মহাসড়ক পার হতে গিয়ে তারা ওই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। ২০ এপ্রিল বুধবার ভোর সাড়ে ৪টায় পেনাংয়ের সুঙ্গাই বাকাপের অস্থায়ী ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপো থেকে মোট ৫২৮ জন রোহিঙ্গা বন্দি পালিয়ে যায়।  তার মধ্যে ৩৬২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ।

পেনাংয়ের পুলিশ প্রধান দাতুক মুহাম্মাদ  সুহেলি, মুহাম্মাদ জেইন এ ঘটনা সম্পর্কে  বলেছেন–১০ জন রোহিঙ্গা উত্তর-দক্ষিণ মহাসড়ক পার হওয়ার সময় একটি  দ্রুতগামী গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগে ৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ– দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী– একজন মেয়ে ও একজন ছেলে ছিল।

আরও পড়ুন: রাজনৈতিক স্বার্থ দেশের নিরাপত্তার চেয়ে বড় নয়, মালয়েশিয়ায় মন্তব্য অভিষেকের

ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে– এই ৫২৮ জন রোহিঙ্গা মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার হয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক ছিলেন। মালয়েশিয়ায় লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থী হিসেবে অবস্থান করছে। দেশটিতে ঠিক কী পরিমাণ রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছে তার সঠিক পরিসংখ্যান জানা সম্ভব হয়নি। কারণ অধিকাংশ রোহিঙ্গা সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেছে। তবে লাখের অধিক রোহিঙ্গা দেশটিতে শরণার্থী হিসেবে অবস্থান করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: মুসলিম ও কাশ্মীরিদের টার্গেট করবেন না, আর্জি পহেলগাঁও কাণ্ডে শহিদ বিনয়ের স্ত্রীর

রোহিঙ্গারা অভাবের তাড়নায় অনেক সময় দেশটির বিভিন্ন সেক্টরে কাজে যোগদান করেন। যদিও শরণার্থীদের এ দেশে কাজ করা অবৈধ। কর্মরত অবস্থায় কোনো রোহিঙ্গা ধরা পড়লে তাকে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়। আবার অনেক সময় সাগরপথে মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশের সময় তাদের গ্রেফতার করে ক্যাম্পে রাখা হয়।

আরও পড়ুন: কানাডায় ভারতীয় যুবককে ছুরি দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে খুন, আটক শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি

এদিকে– অভিবাসন মহাপরিচালক দাতুক সেরি খাইরুল জাইমি দাউদ এক বিবৃতিতে বলেছেন– মোট ৩৬২ জনকে দ্বিতীয়বারের মতো গ্রেফতার করা হয়েছে– বাকি অবৈধ অভিবাসীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। ‘তারা ব্লকের দরজা ও ব্যারিয়ারের গ্রিল ভেঙ্গে পালিয়ে যায়। পলাতকদের খুঁজে বের করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের সহায়তার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার সাথে যোগাযোগ করে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি সক্রিয় করা হয়েছে।