১৪ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত রাজ্যের ৬২, আর্থিক সাহায্য ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৪ জুন ২০২৩, রবিবার
  • / 206

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় বাংলার ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৮২ জনকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি। বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এই তথ্য জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যাঁদের এখনও শনাক্ত করা যায়নি, তাঁদের  শনাক্ত করার জন্য জেলায় জেলায় ছবি পাঠানো হয়েছে। মৃতের পরিবার ও আহতদের সাহায্য করার পাশাপাশি দুর্ঘটনার পর যাঁরা মানসিক ট্রমায় রয়েছেন তাঁদেরও আর্থিক সাহায্য দেবে রাজ্য সরকার।

গতকাল ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি। আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে  বলেন, ‘নজরদারি চলছে। বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছে। বহু পরিবার আজও জানে না তাঁদের পরিজন কোথায়।’ দুর্ঘটনার পর থেকেই সবরকম সহায়তায় বাংলা পাশে ছিল।

 মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, ‘১৫০ এর মত অ্যাম্বুলেন্স, গাড়ি, নার্স, ডাক্তার, বাস, ডিসাস্টার টিম দিয়ে দুর্ঘটনার রাত্রি থেকেই পাশে থেকেছে রাজ্য। সেন্ট্রাল কথা বলে বেশি, কাজ করে কম। কাজ রাজ্য সরকার করে।’ একে একে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে রাজ্যের মানুষদের। গতকাল প্রায় ৭০০-৮০০ জনকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলেও জানালেন।

নিহতদের পরিবার, আহতদের ক্ষতিপূরণের কথা আগেই ঘোষণা করেছেন তিনি। আজ ফের বলেন, ‘মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ, গুরুতর আহতদের ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। চিকিৎসা এবং তার পরেও ৩ মাস সাহায্য করবে রাজ্য সরকার।’ অল্প আহতদের ও ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার।

একই সঙ্গে তিনি জানান, ‘যাঁরা আহত হননি, কিন্তু ফিরে এসেছেন, রয়েছেন ট্রমায়, তাদের জন্য রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। আগামী তিন মাস প্রতি পরিবারকে ২ হাজার টাকা সহ সংসার চালানোর জন্য রিলিফ মেটেরিয়াল দেওয়া হবে।’

এর আগে, শনিবার মৃতের সংখ্যা নিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোর সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দেয় মমতার। এ দিনও কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা। যেখানে এখনও বহু দেহ শনাক্ত করা যায়নি, অনেকের খোঁজ পর্যন্ত মেলেনি এখনও, সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের তালিকায় হতাহত কী করে কমছে, প্রশ্ন তোলেন তিনি।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত রাজ্যের ৬২, আর্থিক সাহায্য ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

আপডেট : ৪ জুন ২০২৩, রবিবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় বাংলার ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৮২ জনকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি। বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এই তথ্য জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যাঁদের এখনও শনাক্ত করা যায়নি, তাঁদের  শনাক্ত করার জন্য জেলায় জেলায় ছবি পাঠানো হয়েছে। মৃতের পরিবার ও আহতদের সাহায্য করার পাশাপাশি দুর্ঘটনার পর যাঁরা মানসিক ট্রমায় রয়েছেন তাঁদেরও আর্থিক সাহায্য দেবে রাজ্য সরকার।

গতকাল ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি। আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে  বলেন, ‘নজরদারি চলছে। বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছে। বহু পরিবার আজও জানে না তাঁদের পরিজন কোথায়।’ দুর্ঘটনার পর থেকেই সবরকম সহায়তায় বাংলা পাশে ছিল।

 মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, ‘১৫০ এর মত অ্যাম্বুলেন্স, গাড়ি, নার্স, ডাক্তার, বাস, ডিসাস্টার টিম দিয়ে দুর্ঘটনার রাত্রি থেকেই পাশে থেকেছে রাজ্য। সেন্ট্রাল কথা বলে বেশি, কাজ করে কম। কাজ রাজ্য সরকার করে।’ একে একে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে রাজ্যের মানুষদের। গতকাল প্রায় ৭০০-৮০০ জনকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলেও জানালেন।

নিহতদের পরিবার, আহতদের ক্ষতিপূরণের কথা আগেই ঘোষণা করেছেন তিনি। আজ ফের বলেন, ‘মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ, গুরুতর আহতদের ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। চিকিৎসা এবং তার পরেও ৩ মাস সাহায্য করবে রাজ্য সরকার।’ অল্প আহতদের ও ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার।

একই সঙ্গে তিনি জানান, ‘যাঁরা আহত হননি, কিন্তু ফিরে এসেছেন, রয়েছেন ট্রমায়, তাদের জন্য রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। আগামী তিন মাস প্রতি পরিবারকে ২ হাজার টাকা সহ সংসার চালানোর জন্য রিলিফ মেটেরিয়াল দেওয়া হবে।’

এর আগে, শনিবার মৃতের সংখ্যা নিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোর সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দেয় মমতার। এ দিনও কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা। যেখানে এখনও বহু দেহ শনাক্ত করা যায়নি, অনেকের খোঁজ পর্যন্ত মেলেনি এখনও, সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের তালিকায় হতাহত কী করে কমছে, প্রশ্ন তোলেন তিনি।