০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সন্দেশখালির ঘটনায় পুলিশের অভিযোগ দায়ের নিয়ে হাইকোর্টে ইডি

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১০ জানুয়ারী ২০২৪, বুধবার
  • / 10

মোল্লা জসিমউদ্দিন: বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এর এজলাসে সন্দেশখালির ঘটনায় আদালতের হস্তক্ষেপ চাইলো ইডি। এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করল আর্থিক তদন্তকারী সংস্থা। এদিন এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ইডির আইনজীবী। গত সপ্তাহে রেশন দুর্নীতি মামলায় সন্দেশখালিতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে মার খেতে হয় ইডি আধিকারিকদের। দাবি, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম মারফত তারা জানতে পেরেছেন, আক্রান্ত ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধেই নাকি পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে। শুধু তাই নয়, তাদের হেনস্থা করতে নতুন নতুন পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এদিন ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী আদালতে জানান, ‘ইডির অফিসারের বিরুদ্ধে যে এফআইআর রেজিস্টার হয়েছে তা এখনও পর্যন্ত ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়নি। কিন্তু সকলেই জানে এফআইআর হয়েছে’। এই বিষয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করুক। বুধবার ইডি-র আবেদন শোনার পরই মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

 

চলতি সপ্তাহেই মামলাটির শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, ঘটনার পর একাধিকবার ইডি অফিসেও যেতে দেখা গিয়েছে রাজ্য পুলিশের একাধিক আধিকারিকদের। তাই কলকাতা হাইকোর্টে কেন্দ্রীয় সংস্থা দাবি করল, ‘এফআইআর-এর বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানেন না, অথচ পুলিশ বারবার যাচ্ছে সিজিও কমপ্লেক্সে’। গত শুক্রবার তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে আচমকা হামলার মুখে পড়তে হয় ইডি-কে। সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী সঙ্গে থাকা সত্ত্বেও ভয়াবহ আক্রমণের মুখে পড়েন আধিকারিকরা। কার্যত প্রাণ বাঁচিয়ে এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয় তাঁদের। ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা শাহজাহান শেখ। এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের দিকে আঙুল তুলেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট গিয়েছে ইতিমধ্যেই।

 

ইডি-র অভিযোগ, রেশন দুর্নীতির মামলায় তল্লাশি করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন ইডি অফিসাররা। উল্টে তাঁদের অফিসারদের বিরুদ্ধে পুলিশ এফআইআর করেছে বলে শোনা যাচ্ছে। সব সংবাদমাধ্যমে এটা প্রচার হচ্ছে। অথচ বসিরহাট কোর্টে খোঁজ করেও তেমন কিছু জানা যায়নি বলে দাবি ইডি-র। কলকাতা হাইকোর্টে ইডি জানিয়েছে, ‘ওয়েবসাইটেও এফআইআর-এর কপি আপলোড করা হয়নি, অথচ পুলিশ প্রতিদিন অফিসে পুলিশ খোঁজ করছে কোন কোন অফিসার সেদিন সন্দেশখালি গিয়েছিলেন’। চলতি সপ্তাহে এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সন্দেশখালির ঘটনায় পুলিশের অভিযোগ দায়ের নিয়ে হাইকোর্টে ইডি

আপডেট : ১০ জানুয়ারী ২০২৪, বুধবার

মোল্লা জসিমউদ্দিন: বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এর এজলাসে সন্দেশখালির ঘটনায় আদালতের হস্তক্ষেপ চাইলো ইডি। এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করল আর্থিক তদন্তকারী সংস্থা। এদিন এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ইডির আইনজীবী। গত সপ্তাহে রেশন দুর্নীতি মামলায় সন্দেশখালিতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে মার খেতে হয় ইডি আধিকারিকদের। দাবি, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম মারফত তারা জানতে পেরেছেন, আক্রান্ত ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধেই নাকি পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে। শুধু তাই নয়, তাদের হেনস্থা করতে নতুন নতুন পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এদিন ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী আদালতে জানান, ‘ইডির অফিসারের বিরুদ্ধে যে এফআইআর রেজিস্টার হয়েছে তা এখনও পর্যন্ত ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়নি। কিন্তু সকলেই জানে এফআইআর হয়েছে’। এই বিষয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করুক। বুধবার ইডি-র আবেদন শোনার পরই মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

 

চলতি সপ্তাহেই মামলাটির শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, ঘটনার পর একাধিকবার ইডি অফিসেও যেতে দেখা গিয়েছে রাজ্য পুলিশের একাধিক আধিকারিকদের। তাই কলকাতা হাইকোর্টে কেন্দ্রীয় সংস্থা দাবি করল, ‘এফআইআর-এর বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানেন না, অথচ পুলিশ বারবার যাচ্ছে সিজিও কমপ্লেক্সে’। গত শুক্রবার তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে আচমকা হামলার মুখে পড়তে হয় ইডি-কে। সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী সঙ্গে থাকা সত্ত্বেও ভয়াবহ আক্রমণের মুখে পড়েন আধিকারিকরা। কার্যত প্রাণ বাঁচিয়ে এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয় তাঁদের। ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা শাহজাহান শেখ। এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের দিকে আঙুল তুলেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট গিয়েছে ইতিমধ্যেই।

 

ইডি-র অভিযোগ, রেশন দুর্নীতির মামলায় তল্লাশি করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন ইডি অফিসাররা। উল্টে তাঁদের অফিসারদের বিরুদ্ধে পুলিশ এফআইআর করেছে বলে শোনা যাচ্ছে। সব সংবাদমাধ্যমে এটা প্রচার হচ্ছে। অথচ বসিরহাট কোর্টে খোঁজ করেও তেমন কিছু জানা যায়নি বলে দাবি ইডি-র। কলকাতা হাইকোর্টে ইডি জানিয়েছে, ‘ওয়েবসাইটেও এফআইআর-এর কপি আপলোড করা হয়নি, অথচ পুলিশ প্রতিদিন অফিসে পুলিশ খোঁজ করছে কোন কোন অফিসার সেদিন সন্দেশখালি গিয়েছিলেন’। চলতি সপ্তাহে এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।