০১ জানুয়ারী ২০২৬, বৃহস্পতিবার, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জানেন কি দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে কী কী ক্ষতি হতে পারে?

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার ফলে শরীরে মারত্মক ক্ষতি সাধিত হতে পারে। বেশিরভাগ পুরুষই দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করেন। প্রস্রাব করার সময় পুরুষের এই অভ্যাস অতি পরিচিত।কিন্তু জানেন কী, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে,দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার ফলে শরীরে মারত্মক ক্ষতি হয়ে থাকে।দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে পুরুষের যেসব মারাত্মক ক্ষতি হয় আসুন তা জেনে নেওয়া যাক।

এক নজরে দেখে নিন ঠিক কি কি ক্ষতি পারে

আরও পড়ুন: ‘মুসলমানরা শুধু তাদের ভোটব্যাঙ্ক’: মহাজোটকে আক্রমণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ানের

১। দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে প্রস্রাবের দূষিত পদার্থগুলো মূত্রথলির নিচে গিয়ে জমা হয়। অথচ বসে প্রস্রাব করলে মূত্রথলিতে চাপ লাগে, ফলে সহজেই এসব দূষিত পদার্থ শরীর থেকে তা বেরিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: মুসলিম ও কাশ্মীরিদের টার্গেট করবেন না, আর্জি পহেলগাঁও কাণ্ডে শহিদ বিনয়ের স্ত্রীর

২।দীর্ঘদিন দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে প্রস্রাবের বেগ ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

আরও পড়ুন: সরকারি ট্রেন্ডারে মুসলিমদের ৪ শতাংশ সংরক্ষণ, সিদ্ধান্ত কর্নাটক সরকারের

৩।দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে পেটের উপরের অংশে কোনও চাপ পড়ে না। ফলে দূষিত বায়ু স্বাভাবিকভাবে বের হতে পারে না। উল্ট তা শরীরের উপর দিকে উঠে যায়। এর ফলে শরীরের অস্থিরতা, রক্তচাপ, হৃদস্পন্দনের গতি বৃদ্ধি পায়।

৪। দীর্ঘদিন দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে এই দূষিত পদার্থগুলো জমতে জমতে কিডনিতে পাথর সৃ্ষ্টি করে।

মুসলিমরা বিপদে না পড়লে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করেন না। সমস্যা হল বেশিরভাগ সুলভ শৌচালয়ে বসে প্রস্রাব করা সুযোগ নেই। মুসলিমরা প্রস্রাবের পর হাইজিন পালন করেন। তারা জল দিয়ে লজ্জাস্থান পরিষ্কার করে নেন। কেবল পায়ে জল ঢেলে ক্ষান্ত হননা।প্রস্রাবের মাধ্যমে নানা দূষিত পদার্থ বের হয়। তাই স্থানটি জল দিয়ে না ধুয়ে ফেললে নানা সমস্যা হতে পারে। যার মধ্যে অন্যতম হল যৌনাঙ্গে সংক্ৰমণ।

পরিছন্নতার এই প্রাথমিক ধারণাটি সকলের মধ্যেই থাকা উচিত। তবে  এদেশে তা হয়নি। বসে প্রস্রাব করা এবং প্রস্রাবের পর জল দিয়ে স্থানটি  ধুয়ে ফেলা সাধারণ হাইজিন।তার মধ্যে ধর্মীয় কিংবা সাংস্কৃতিক গোঁয়ারতুমি থাকা উচিত নয়। মুসলিমরা ধর্মীয় ভাবেই এই পরিচ্ছিন্নতার শিক্ষা পেয়েছে।ফলে প্রজন্মের পর প্রজন্ম তারা এর অনুশীলন করে আসছে। অন্যেরাও এই অনুশীলন করলে সার্বিকভাবে সকলে উপকৃত হতে পারত। সেক্ষেত্রে বসে প্রস্রাব করার সুযোগ তৈরি হত শৌচালয় গুলিতে।তাতে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার বিপদ থেকে সকলে পরিত্রান পেতে পারত।

সর্বধিক পাঠিত

‘জয় শ্রী রাম’ বলাতে চাপ, বিজেপির রাজ্যে নির্যাতনের শিকার কাশ্মীরি ব্যবসায়ীরা

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জানেন কি দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে কী কী ক্ষতি হতে পারে?

আপডেট : ৫ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার ফলে শরীরে মারত্মক ক্ষতি সাধিত হতে পারে। বেশিরভাগ পুরুষই দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করেন। প্রস্রাব করার সময় পুরুষের এই অভ্যাস অতি পরিচিত।কিন্তু জানেন কী, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে,দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার ফলে শরীরে মারত্মক ক্ষতি হয়ে থাকে।দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে পুরুষের যেসব মারাত্মক ক্ষতি হয় আসুন তা জেনে নেওয়া যাক।

এক নজরে দেখে নিন ঠিক কি কি ক্ষতি পারে

আরও পড়ুন: ‘মুসলমানরা শুধু তাদের ভোটব্যাঙ্ক’: মহাজোটকে আক্রমণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ানের

১। দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে প্রস্রাবের দূষিত পদার্থগুলো মূত্রথলির নিচে গিয়ে জমা হয়। অথচ বসে প্রস্রাব করলে মূত্রথলিতে চাপ লাগে, ফলে সহজেই এসব দূষিত পদার্থ শরীর থেকে তা বেরিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: মুসলিম ও কাশ্মীরিদের টার্গেট করবেন না, আর্জি পহেলগাঁও কাণ্ডে শহিদ বিনয়ের স্ত্রীর

২।দীর্ঘদিন দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে প্রস্রাবের বেগ ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

আরও পড়ুন: সরকারি ট্রেন্ডারে মুসলিমদের ৪ শতাংশ সংরক্ষণ, সিদ্ধান্ত কর্নাটক সরকারের

৩।দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে পেটের উপরের অংশে কোনও চাপ পড়ে না। ফলে দূষিত বায়ু স্বাভাবিকভাবে বের হতে পারে না। উল্ট তা শরীরের উপর দিকে উঠে যায়। এর ফলে শরীরের অস্থিরতা, রক্তচাপ, হৃদস্পন্দনের গতি বৃদ্ধি পায়।

৪। দীর্ঘদিন দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে এই দূষিত পদার্থগুলো জমতে জমতে কিডনিতে পাথর সৃ্ষ্টি করে।

মুসলিমরা বিপদে না পড়লে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করেন না। সমস্যা হল বেশিরভাগ সুলভ শৌচালয়ে বসে প্রস্রাব করা সুযোগ নেই। মুসলিমরা প্রস্রাবের পর হাইজিন পালন করেন। তারা জল দিয়ে লজ্জাস্থান পরিষ্কার করে নেন। কেবল পায়ে জল ঢেলে ক্ষান্ত হননা।প্রস্রাবের মাধ্যমে নানা দূষিত পদার্থ বের হয়। তাই স্থানটি জল দিয়ে না ধুয়ে ফেললে নানা সমস্যা হতে পারে। যার মধ্যে অন্যতম হল যৌনাঙ্গে সংক্ৰমণ।

পরিছন্নতার এই প্রাথমিক ধারণাটি সকলের মধ্যেই থাকা উচিত। তবে  এদেশে তা হয়নি। বসে প্রস্রাব করা এবং প্রস্রাবের পর জল দিয়ে স্থানটি  ধুয়ে ফেলা সাধারণ হাইজিন।তার মধ্যে ধর্মীয় কিংবা সাংস্কৃতিক গোঁয়ারতুমি থাকা উচিত নয়। মুসলিমরা ধর্মীয় ভাবেই এই পরিচ্ছিন্নতার শিক্ষা পেয়েছে।ফলে প্রজন্মের পর প্রজন্ম তারা এর অনুশীলন করে আসছে। অন্যেরাও এই অনুশীলন করলে সার্বিকভাবে সকলে উপকৃত হতে পারত। সেক্ষেত্রে বসে প্রস্রাব করার সুযোগ তৈরি হত শৌচালয় গুলিতে।তাতে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার বিপদ থেকে সকলে পরিত্রান পেতে পারত।