১২০ বছরে এই প্রথম দেশে রেকর্ড তাপমাত্রা বৃদ্ধি, ওড়িশায় তাপপ্রবাহে ৯৯ জনের মৃত্যু

- আপডেট : ৩ জুন ২০২৪, সোমবার
- / 34
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : তাপপ্রবাহের জেরে চরম পরিস্থিতির মুখোমুখি গোটা দেশ। দাবদহে ওড়িশায় ৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, রাজস্থান, চন্ডীগড়ে শোচনীয় অবস্থা। অন্যদিকে তীব্র জলকষ্টে ভুগছে দিল্লি। চরম তাপপ্রবাহ পরিবেশের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দিল্লিতে জলের ঘাটতি সঙ্কটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে, লোকেরা শহরের বিভিন্ন অংশে জলের জন্য হাহাকার করছে।
ওড়িশায় ৯ জন সম্ভবত হিট স্ট্রোকে মারা গেছে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম এবং চূড়ান্ত পর্বের সময় উত্তরপ্রদেশে ৩৩ জন ভোট কর্মী মারা গেছে। ওড়িশায় বোলানগীর, সম্বলপুর, ঝাড়সুগুদা, কেওনঝার, সোনেপুর, সুন্দরগড় এবং বালাসোর থেকে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রাজ্য সরকার তাপপ্রবাহের সতর্কতামূলক ব্যবস্থাগুলিকে জরুরিভাবে বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে। উত্তরপ্রদেশে ৩৩ জন বুথ আধিকারিক, বুথ কর্মী, হোম গার্ড, সাফাই কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও, বালিয়া লোকসভা কেন্দ্রের সিকান্দারপুর এলাকায় একটি ভোট কেন্দ্রে একজন ভোটারের মৃত্যু হয়েছে। দিল্লিতে তাপমাত্রা উত্তোরত্তর বেড়ে চলেছে, গত সপ্তাহে দিল্লির মুঙ্গেশপুরে তাপমাত্রা ছিল ৫২. ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে উদ্বিগ্ন দিল্লি হাইকোর্ট সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, যদি বন উজাড় করা অব্যাহত থাকে তবে শহরটি এবার ‘মরুভূমিতে” পরিণত হতে পারে। আদালত দিল্লি সরকারকে বন সুরক্ষার তত্ত্বাবধানে কমিটিকে সহায়তা করার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছে। যেটি এই পরিস্থিতির তত্ত্ববধান করবে, তার নাম রাখা হয়েছে ‘বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটি’। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড আর্থ সায়েন্সেস, আইআইটি গান্ধীনগরের বিক্রম সারাভাই চেয়ার প্রফেসর বিমল মিশ্র বলেন, ‘১২০ বছরে এই প্রথম এত তাপমাত্রা বৃদ্ধি, পুড়ছে উত্তরভারত। ঘনজনবসতিপূর্ণ এলাকায় তাপমাত্রা ৪৫-৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে, যা আগে কখনও হয়নি। তাপমাত্রা নিজেই একটা রেকর্ড গড়েছে। ‘
উদ্বিগ্ন কেন্দ্র সরকার। রবিবার তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রিভিউ বৈঠক করেছেন। পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাজস্থান, গুজরাট এবং মধ্যপ্রদেশের কিছু অংশে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব পর্যালোচনা করেছেন, বিশেষ করে উত্তর-পূর্বে, এবং ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্যগুলিতে কেন্দ্র থেকে অব্যাহত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গবেষণা বলছে, ৩১ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রা, ৫০ ডিগ্রির বেশি আর্দ্রতা মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। (৩০৪)