০২ ডিসেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘরপরিবার ত্যাগ করে,মুসলিম হলেন মার্কিনি এই মহিলা, চিনে নিন তাঁকে

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২১, শনিবার
  • / 70

বিশেষ প্রতিবেদন¬ আল্লাহতায়ালার প্রতি এখন তাঁর অশেষ শ্রদ্ধা। পাঁচ ওয়াক্ত নামায– ইবাদত ও পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করে প্রতিদিন কেটে যায় তাঁর। কিন্তু আগে তিনি ছিলেন খ্রিস্টান। কলেজের দুই সহপাঠীর মাধ্যমে ইসলামের সঠিক দর্শন সম্পর্কে  জানতে পারেন মার্কিন নাগরিক মিস মালিক। ড. মরিস বুকাইলির ‘বাইবেল– কুরআন ও বিজ্ঞান’ বইটি পড়ে ইসলাম সম্পর্কে সংশয় দূর হয় এবং তিনি মুসলিম হয়ে যান। কিন্তু ইসলাম গ্রহণের পর ঘর ছাড়তে হয়েছিল এই নওমুসলিম নারীকে।

জীবনের সেই সংকটকাল সম্পর্কে তিনি বলে– ’আমি একজন নওমুসলিম নারী। আমেরিকার ভার্জিনিয়া রিচমন্ডে বেড়ে উঠেছি। এক বছর আগেও কোনও মুসলিমের সঙ্গে  আমার পরিচয় ছিল না। আমি জানতাম না যে আমার শহরে ইসলামিক সেন্টার আছে। যাই হোক– ইসলামের প্রতি কৌতূহল ছিল– কিন্তু  পড়ার মতো কিছু খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অবশ্য বিশ্বকোষসহ অন্য বই পড়েছিলাম। তবে তা ছিল অমুসলিমদের লেখা। তারা সবই মিথ্যা বলেছে।’ এরপর কলেজের দুই পাকিস্তানি সহপাঠীর সঙ্গে সখ্যতার সূত্রে ইসলামকে নতুন করে চিনতে শুরু করেন মালিক।

আরও পড়ুন: হিন্দু ধর্মে সমতা থাকলে অস্পৃশ্যতা এল কিভাবে? ধর্মান্তকরণ ইস্যুতে বিস্ফোরক Siddaramaiah

এরপর শহরের ইসলামিক সেন্টার সম্পর্কে জানতে পারে সেখানে প্রত্যাহ একবার করে যেতে শুরু করেন এই নারী। এভাবে একদিন হঠাৎ এক মুসলিম নারীর সঙ্গে পরিচয় হতেই মরিস বুকাইলির বইটি হাতে পান মালিক। বলেন– ’সুবহানাল্লাহ! একজন মুসলিম নারী আমাকে মরিস বুকাইলির ‘বাইবেল– কুরআন অ্যান্ড সায়েন্স’ বইটি উপহার দিলেন। বইটি পড়ার পর আমার ভেতর ইসলামগ্রহণের তাগিদ অনুভব করলাম। আমি নিশ্চিত হলাম যে কুরআনই আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠানো গ্রন্থ। পরের সপ্তাহে আমি মুসলিম হওয়ার ইচ্ছায় ইসলামিক সেন্টারে গেলাম।’ এ নিয়ে পারিবারিক অশান্তি শুরু হলেও মালিক থেমে থাকেননি। তিনি মুসলিম হওয়ার জন্য নিজের ঘর পর্যন্ত ত্যাগ করে টেনেশির ন্যাশভিলে চলে যান। এখন তাঁর জীবন অনেক শান্ত– সাজানোগোছানো ও ইসলামি আলোকে আলোকিত।

আরও পড়ুন: যক্ষার চিকিৎসা নিতে রাজি নন মার্কিন মহিলা, জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা  

আরও খবর পড়ুনঃ

আরও পড়ুন: মুসলিম তরুণীদের ধর্মান্তরিত করতে প্রলোভন দেওয়া হচ্ছে: মাদানি

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ঘরপরিবার ত্যাগ করে,মুসলিম হলেন মার্কিনি এই মহিলা, চিনে নিন তাঁকে

আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২১, শনিবার

বিশেষ প্রতিবেদন¬ আল্লাহতায়ালার প্রতি এখন তাঁর অশেষ শ্রদ্ধা। পাঁচ ওয়াক্ত নামায– ইবাদত ও পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করে প্রতিদিন কেটে যায় তাঁর। কিন্তু আগে তিনি ছিলেন খ্রিস্টান। কলেজের দুই সহপাঠীর মাধ্যমে ইসলামের সঠিক দর্শন সম্পর্কে  জানতে পারেন মার্কিন নাগরিক মিস মালিক। ড. মরিস বুকাইলির ‘বাইবেল– কুরআন ও বিজ্ঞান’ বইটি পড়ে ইসলাম সম্পর্কে সংশয় দূর হয় এবং তিনি মুসলিম হয়ে যান। কিন্তু ইসলাম গ্রহণের পর ঘর ছাড়তে হয়েছিল এই নওমুসলিম নারীকে।

জীবনের সেই সংকটকাল সম্পর্কে তিনি বলে– ’আমি একজন নওমুসলিম নারী। আমেরিকার ভার্জিনিয়া রিচমন্ডে বেড়ে উঠেছি। এক বছর আগেও কোনও মুসলিমের সঙ্গে  আমার পরিচয় ছিল না। আমি জানতাম না যে আমার শহরে ইসলামিক সেন্টার আছে। যাই হোক– ইসলামের প্রতি কৌতূহল ছিল– কিন্তু  পড়ার মতো কিছু খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অবশ্য বিশ্বকোষসহ অন্য বই পড়েছিলাম। তবে তা ছিল অমুসলিমদের লেখা। তারা সবই মিথ্যা বলেছে।’ এরপর কলেজের দুই পাকিস্তানি সহপাঠীর সঙ্গে সখ্যতার সূত্রে ইসলামকে নতুন করে চিনতে শুরু করেন মালিক।

আরও পড়ুন: হিন্দু ধর্মে সমতা থাকলে অস্পৃশ্যতা এল কিভাবে? ধর্মান্তকরণ ইস্যুতে বিস্ফোরক Siddaramaiah

এরপর শহরের ইসলামিক সেন্টার সম্পর্কে জানতে পারে সেখানে প্রত্যাহ একবার করে যেতে শুরু করেন এই নারী। এভাবে একদিন হঠাৎ এক মুসলিম নারীর সঙ্গে পরিচয় হতেই মরিস বুকাইলির বইটি হাতে পান মালিক। বলেন– ’সুবহানাল্লাহ! একজন মুসলিম নারী আমাকে মরিস বুকাইলির ‘বাইবেল– কুরআন অ্যান্ড সায়েন্স’ বইটি উপহার দিলেন। বইটি পড়ার পর আমার ভেতর ইসলামগ্রহণের তাগিদ অনুভব করলাম। আমি নিশ্চিত হলাম যে কুরআনই আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠানো গ্রন্থ। পরের সপ্তাহে আমি মুসলিম হওয়ার ইচ্ছায় ইসলামিক সেন্টারে গেলাম।’ এ নিয়ে পারিবারিক অশান্তি শুরু হলেও মালিক থেমে থাকেননি। তিনি মুসলিম হওয়ার জন্য নিজের ঘর পর্যন্ত ত্যাগ করে টেনেশির ন্যাশভিলে চলে যান। এখন তাঁর জীবন অনেক শান্ত– সাজানোগোছানো ও ইসলামি আলোকে আলোকিত।

আরও পড়ুন: যক্ষার চিকিৎসা নিতে রাজি নন মার্কিন মহিলা, জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা  

আরও খবর পড়ুনঃ

আরও পড়ুন: মুসলিম তরুণীদের ধর্মান্তরিত করতে প্রলোভন দেওয়া হচ্ছে: মাদানি