শ্রীনগরে সেনা বাহিনীর স্যালুটে আর দেশনেতাদের টুইটে পালিত হল পুলওয়ামা দিবস
- আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, শনিবার
 - / 77
 
মধুছন্দা চক্রবর্তী
চোদ্দ ফেব্রুয়ারি শুধু প্রেমের দিবস নয়, দেশপ্রেমেরও দিবস। ছয় বছর আগে, ২০১৯ সালের এই দিনেই দেশের সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানকে জীবন বলিদান দিতে হয়েছিল শ্রীনগরের পুলওয়ামায় সেনাবাহিনীর কনভয়ে এক বিশেষ জঙ্গি গোষ্ঠীর আত্মঘাতী বোমার হামলায়। এই নারকীয় হামলায় আহত হয়েছিলেন বহু জওয়ান। কেন এই হামলা, কেন তা প্রতিহত করা যায়নি এমন অনেক তর্ক-বিতর্কের তিরে আজও আমীমাংসিত রয়ে গিয়েছে শোক। এই ভালোবাসার ভ্যালেন্টাইন ডে তাই বহু শহীদের পরিবারেই কাছে কালা দিবস।
বর্তমানে কাশ্মীরে রাজনৈতিক পালাবদল হয়েছে। কিন্তু এখনো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবেই পরিচিতি। ন্যাশনাল কনফারেন্স বা পিডিপি সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল না পুলওয়ামা দিবসের ষষ্ঠ বার্ষিকীতে। তবে পুলওয়ামার কাছে লেথিপোরায় একটি জায়গায় জড়ো হয়েছিল নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা
সেনার চিনার বাহিনী (চিনার ট্রুপ )। তারা সেখানে নীরবতা পালন করে, স্যালুট দিয়ে পুলওয়ামায় বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
জম্মু কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা এদিন কাশ্মীরের নিরাপত্তা ও জঙ্গি মোকাবিলায় একটি হাই পাওয়ার বৈঠক করেন। এদিন তিনি এক্স হ্যান্ডেলে টুইট করে জানিয়েছেন, নৃশংস পুলওয়ামা হামলায় শহীদ সি আর পিএফ জওয়ানদের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই। মাতৃভূমির সেবায় তাঁদের এই বলিদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এদিন এক্স হ্যান্ডেলে টুইট করেছেন, ২০১৯ সালে পুলওয়ামা যে সাহসী বীরদের হারিয়েছে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা রইল। তাঁদের আত্মত্যাগ ও জাতির প্রতি অটল নিবেদন আগামী প্রজন্ম কখনো ভুলবে না।
পুলওয়ামার ঘটনার স্মরণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় শহীদ পরিবারে স্মৃতি তর্পণ হয়েছে শুক্রবার। হাওড়ার বাবলু সাতরা, নদীয়ার সুদীপ বিশ্বাস এবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলওয়ামার শহীদদের পরিবার আজও রয়েছেন স্মৃতি আঁকড়ে ধরে। এখন বাবলুর স্ত্রী মিতা চাকরি পেয়েছেন, সুদীপের মা পেনশন পান। তবু মৃত্যুর ক্ষতর বুঝি কোনো ক্ষতিপূরণ হয় না।
পুলওয়ামার ঘটনার পরে কাশ্মীরের তৎকালীন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক অনেক বিস্ফরক মন্তব্য করেছিলেন। কেন এই পুলওয়ামা হামলা প্রতিরোধ করা গেল না? কেন এমন করে প্রাণ দিতে হলো? কেন ঝরল রক্ত?
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শোক হয়তো শুকিয়ে গিয়েছে ফুলের পাঁপড়ির মতো। শুধু পুলওয়ামার শহীদদের নিয়ে নানা প্রশ্ন জেগে রয়েছে ঝরে যাওয়া গোলাপের কাঁটার মতো। ভালোবাসার দিনে লেগে রয়েছে রক্তের দাগ।
																			
																		















































