০৪ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কসবায় একই পরিবারের ৩ জনের দেহ উদ্ধার

সুস্মিতা
  • আপডেট : ৪ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 110

পুবের কলম প্রতিবেদক: ট্যাংরার পর এবার কসবা। একই পরিবারের তিনজনের দেহ উদ্ধার হল। হালতুতে বাড়ির মধ্য থেকে তাঁদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদের নাম সোমনাথ রায় (৪০), তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা রায় (৩৫) এবং তাঁদের বছর আড়াইয়ের সন্তান রুoনীল রায়। মঙ্গলবার বাড়ির দরজা ভেঙে তিনজনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
কয়েকদিন আগেই ট্যাংরায় একই পরিবারের দুই গৃহবধূ ও এক নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ট্যাংরার দে পরিবার দেনায় ডুবে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এ দিন যে পরিবারের তিনজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেই পরিবারের কর্তা সোমনাথ রায় পেশায় অটোচালক ছিলেন। জানা গিয়েছে, তাঁরও অনেক ধারদেনা ছিল। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পাওনাদার বাড়িতে এসে টাকা চেয়েছিলেন। হুমকিও দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
এ দিন সকালে প্রতিবেশীরা ওই পরিবারের কোনও সাড়াশধ না পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে তিনজনের দেহ উদ্ধার করে। শিশুটিকে মেরে দম্পতি আত্মহত্যা করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ‘সোমনাথের নিজের অটো ছিল। ছেলেটি অসুস্থ ছিল। অস্ত্রোপচারও হয়েছিল। তার জন্য কিছু ধারদেনা হয়েছিল। হয়তো কিছুটা মানসিক চাপে ছিল। কিন্তু, কাউকে কিছু বলত না।’
সুমিত্রার বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে-জামাই খুব ভালো ছিল। জামাই অটো চালাতেন। জায়গা নিয়ে পরিবারের অন্যদের সঙ্গে সমস্যা ছিল। গণ্ডগোলও হত।’

আরও পড়ুন: কলকাতায় শধদূষণ ও বায়ুদূষণ অন্যান্য মহানগরগুলির তুলনায় অনেক কমঃ পুলিশ কমিশনার
Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কসবায় একই পরিবারের ৩ জনের দেহ উদ্ধার

আপডেট : ৪ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: ট্যাংরার পর এবার কসবা। একই পরিবারের তিনজনের দেহ উদ্ধার হল। হালতুতে বাড়ির মধ্য থেকে তাঁদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদের নাম সোমনাথ রায় (৪০), তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা রায় (৩৫) এবং তাঁদের বছর আড়াইয়ের সন্তান রুoনীল রায়। মঙ্গলবার বাড়ির দরজা ভেঙে তিনজনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
কয়েকদিন আগেই ট্যাংরায় একই পরিবারের দুই গৃহবধূ ও এক নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ট্যাংরার দে পরিবার দেনায় ডুবে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এ দিন যে পরিবারের তিনজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেই পরিবারের কর্তা সোমনাথ রায় পেশায় অটোচালক ছিলেন। জানা গিয়েছে, তাঁরও অনেক ধারদেনা ছিল। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পাওনাদার বাড়িতে এসে টাকা চেয়েছিলেন। হুমকিও দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
এ দিন সকালে প্রতিবেশীরা ওই পরিবারের কোনও সাড়াশধ না পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে তিনজনের দেহ উদ্ধার করে। শিশুটিকে মেরে দম্পতি আত্মহত্যা করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ‘সোমনাথের নিজের অটো ছিল। ছেলেটি অসুস্থ ছিল। অস্ত্রোপচারও হয়েছিল। তার জন্য কিছু ধারদেনা হয়েছিল। হয়তো কিছুটা মানসিক চাপে ছিল। কিন্তু, কাউকে কিছু বলত না।’
সুমিত্রার বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে-জামাই খুব ভালো ছিল। জামাই অটো চালাতেন। জায়গা নিয়ে পরিবারের অন্যদের সঙ্গে সমস্যা ছিল। গণ্ডগোলও হত।’

আরও পড়ুন: কলকাতায় শধদূষণ ও বায়ুদূষণ অন্যান্য মহানগরগুলির তুলনায় অনেক কমঃ পুলিশ কমিশনার