০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরাইলি হামলায় প্রতি ৪৫ মিনিটে নিহত ১ শিশু

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 130

পুবের কলম, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় প্রতি ৪৫ মিনিটে একজন শিশুকে হত্যা করে ইসরাইলি বাহিনী। বৃহস্পতিবারআল-জাজিরা জানিয়েছে, গাজার প্রতি ১০০ জন শিশুর মধ্যে ২ জন নিহত, ২ জন নিখোঁজ, ৩ জন গুরুতরভাবে আহত, ৫ জন এতিম হয়েছে কিংবা বাবা-মার থেকে আলাদা হয়ে পড়েছে এবং ৫ জন গুরুতর অপুষ্টিতে ভুগছে। এ ছাড়া, উপত্যকায় যত শিশু আছে তাদের প্রত্যেকেরই শরীরে ক্ষতের দাগ আছে এবং সবাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বলেও উঠে এসেছে পরিসংখ্যানে।

 

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে গাজায় বর্তমানে শিশুর সংখ্যা ১২ লাখ, যাদের সবারই মানসিক সহায়তা প্রয়োজন। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার প্রধান কর্মকর্তা টম ফ্লেচার বলেছেন, পুরো একটা প্রজন্ম মানসিকভাবে পঙ্গু হয়ে গেছে। নির্বিচারে বোমা হামলা–গুলি চালানো হয়েছে তাদের ওপর, অভুক্ত রাখা হয়েছে, ঠান্ডায় জমে মৃত্যু হয়েছে, এমনকি পৃথিবীর আলো দেখার আগেই জীবন দিয়েছে কত শিশু!

 

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় গাজায় ১৭ হাজার ৪০০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে রেকর্ড করা হয়েছে। তবে, প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। জেনেভাভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইউরো মেড হিউম্যান রাইটস গ্রুপের তথ্যমতে, ১৮ মার্চ গাজয় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরাইলি আগ্রাসনে প্রাণ গেছে ৮৩০ ফিলিস্তিনির। সংস্থাটির তথ্যমতে, প্রতিদিন গড়ে ১০৩ জনকে হত্যা করে দখলদার বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাহিনী।

 

জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় অফিস এর উদ্ধৃতি দিয়ে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক সংবাদ সম্মেলনে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘গাজার ২ মিলিয়ন মানুষ সেসময় এক মহামারী পরিস্থিতির মুখোমুখি, কারণ একদিকে অবিরত বোমাবর্ষণ এবং অন্যদিকে অবরোধের কারণে মানবিক কার্যক্রম সীমিত হয়ে গেছে।

 

তিনি আরও বলেন, ‘গাজার পরিস্থিতি দিনদিন খারাপ হচ্ছে। নতুন করে বাস্তুচ্যুতির কারণে গাজার ১৭% এলাকার মধ্যে মানুষের বসবাসের সুযোগ ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে।  এটি কেবল আশ্রয় হারানোর বিষয় নয়, মানুষের কাছে খাবার, পানি এবং স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়ছে।

 

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মুখপাত্র আব্দেল লতিফ আল-কানুয়া। উত্তর গাজার জাবালিয়ায় এক শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি বোমা হামলায় প্রাণ হারান এই নেতা। আজ বৃহস্পতিবার কানুয়ার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আল-কুদ্স নিউজ নেটওয়ার্ক।

 

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইসরাইলি হামলায় প্রতি ৪৫ মিনিটে নিহত ১ শিশু

আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় প্রতি ৪৫ মিনিটে একজন শিশুকে হত্যা করে ইসরাইলি বাহিনী। বৃহস্পতিবারআল-জাজিরা জানিয়েছে, গাজার প্রতি ১০০ জন শিশুর মধ্যে ২ জন নিহত, ২ জন নিখোঁজ, ৩ জন গুরুতরভাবে আহত, ৫ জন এতিম হয়েছে কিংবা বাবা-মার থেকে আলাদা হয়ে পড়েছে এবং ৫ জন গুরুতর অপুষ্টিতে ভুগছে। এ ছাড়া, উপত্যকায় যত শিশু আছে তাদের প্রত্যেকেরই শরীরে ক্ষতের দাগ আছে এবং সবাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বলেও উঠে এসেছে পরিসংখ্যানে।

 

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে গাজায় বর্তমানে শিশুর সংখ্যা ১২ লাখ, যাদের সবারই মানসিক সহায়তা প্রয়োজন। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার প্রধান কর্মকর্তা টম ফ্লেচার বলেছেন, পুরো একটা প্রজন্ম মানসিকভাবে পঙ্গু হয়ে গেছে। নির্বিচারে বোমা হামলা–গুলি চালানো হয়েছে তাদের ওপর, অভুক্ত রাখা হয়েছে, ঠান্ডায় জমে মৃত্যু হয়েছে, এমনকি পৃথিবীর আলো দেখার আগেই জীবন দিয়েছে কত শিশু!

 

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় গাজায় ১৭ হাজার ৪০০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে রেকর্ড করা হয়েছে। তবে, প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। জেনেভাভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইউরো মেড হিউম্যান রাইটস গ্রুপের তথ্যমতে, ১৮ মার্চ গাজয় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরাইলি আগ্রাসনে প্রাণ গেছে ৮৩০ ফিলিস্তিনির। সংস্থাটির তথ্যমতে, প্রতিদিন গড়ে ১০৩ জনকে হত্যা করে দখলদার বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাহিনী।

 

জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় অফিস এর উদ্ধৃতি দিয়ে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক সংবাদ সম্মেলনে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘গাজার ২ মিলিয়ন মানুষ সেসময় এক মহামারী পরিস্থিতির মুখোমুখি, কারণ একদিকে অবিরত বোমাবর্ষণ এবং অন্যদিকে অবরোধের কারণে মানবিক কার্যক্রম সীমিত হয়ে গেছে।

 

তিনি আরও বলেন, ‘গাজার পরিস্থিতি দিনদিন খারাপ হচ্ছে। নতুন করে বাস্তুচ্যুতির কারণে গাজার ১৭% এলাকার মধ্যে মানুষের বসবাসের সুযোগ ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে।  এটি কেবল আশ্রয় হারানোর বিষয় নয়, মানুষের কাছে খাবার, পানি এবং স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়ছে।

 

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মুখপাত্র আব্দেল লতিফ আল-কানুয়া। উত্তর গাজার জাবালিয়ায় এক শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি বোমা হামলায় প্রাণ হারান এই নেতা। আজ বৃহস্পতিবার কানুয়ার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আল-কুদ্স নিউজ নেটওয়ার্ক।