১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিনা টুনিলাইট ও সরিষার তেলের দাম বাড়ায় দীপাবলিতে কমেছে মাটির প্রদীপের চাহিদা

রফিকুল হাসান
  • আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার
  • / 19

বর্ধমানে মুকলেসুর রহমানের তোলা ছবি।

মুসরত আরা পারভিন, চাঁচলঃ আর কয়েকদিন পরে শুরু আলোর উৎসব দীপাবলি। আর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে আলোকমালায় সেজে ওঠবে গোটা দেশ। ছোট থেকে বড় সবাই মেতে উঠবে আলোর পার্বণে। তবে এই অগ্নিমূল্যের বাজারেও রংবেরঙের চায়না টুনি লাইটের ব্যবহার বেড়েছে। পাশাপাশি সরিষার তেলের দাম বাড়ার ফলেও  কমেছে মাটির প্রদীপের চাহিদা। ফলে মাথায় হাত পড়েছে মৃৎশিল্পীদের।

 যদিও মাত্র কয়েক বছর পেছনে ফিরে তাকালে মনে পড়বে আলোর পার্বণের কথা। যখন সামান্য মাটির প্রদীপের আলোয় আলোকিত হয়ে থাকত পুরো পাড়া। গ্রাম থেকে শহর, বাসভবন থেকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। দরজার সামনে ছোট ছোট মাটির প্রদীপের উজ্জ্বল আলো টিমটিম করে জ্বলতো। কিন্তু বদলেছে সময়। সময়ের সাথে সাথে বদলে গেছে মানুষের পছন্দ। এখন বিজলি বাতির আলো ও নানা ধরনের চিনা টুনি বাল্বের আলো। তার ওপর অগ্নিমূল্য সরিষার তেলও। কোথাও যেন হারিয়ে যাচ্ছে মাটির প্রদীপের আলো। 

আরও পড়ুন: ঈদের নামায চলাকালীন বৃদ্ধের গলায় চাকুর কোপ: হরিশ্চন্দ্রপুরে গ্রেফতার অভিযুক্ত যুবক

কুমোরপাড়ায় অন্যান্য বছর সবাই এই সময় খাওয়া-দাওয়া ভুলে ব্যস্ত থাকতেন মাটির প্রদীপ তৈরীর কাজে। কিন্তু এ বছর মাটির প্রদীপের চাহিদা বাজারে না থাকায় বেদনার সুর বাজছে উত্তর মালদা সহ পুরো জেলা জুড়ে। রতুয়া-১ ব্লকের মনিপুরের মৃৎশিল্পী প্রশান্ত পাল কিংবা গাজোলের আলালের সুকুমার পাল জানিয়েছেন, বাজারে মাটির প্রদীপের প্রচলন টিকিয়ে রাখার জন্যই আমরা মাটির প্রদীপ তৈরি করছি। তবে বাজারে মাটির প্রদীপের চাহিদা না থাকায় সবার কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

আরও পড়ুন: দাম ছয় হাজার টাকা কেজি! দুর্মূল্য মিয়াজাকি আম ফলিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন ঝন্টু সরকার

আরও পড়ুন: মালদায় করোনা আক্রান্ত ২ বছরের শিশু

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

চিনা টুনিলাইট ও সরিষার তেলের দাম বাড়ায় দীপাবলিতে কমেছে মাটির প্রদীপের চাহিদা

আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার

মুসরত আরা পারভিন, চাঁচলঃ আর কয়েকদিন পরে শুরু আলোর উৎসব দীপাবলি। আর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে আলোকমালায় সেজে ওঠবে গোটা দেশ। ছোট থেকে বড় সবাই মেতে উঠবে আলোর পার্বণে। তবে এই অগ্নিমূল্যের বাজারেও রংবেরঙের চায়না টুনি লাইটের ব্যবহার বেড়েছে। পাশাপাশি সরিষার তেলের দাম বাড়ার ফলেও  কমেছে মাটির প্রদীপের চাহিদা। ফলে মাথায় হাত পড়েছে মৃৎশিল্পীদের।

 যদিও মাত্র কয়েক বছর পেছনে ফিরে তাকালে মনে পড়বে আলোর পার্বণের কথা। যখন সামান্য মাটির প্রদীপের আলোয় আলোকিত হয়ে থাকত পুরো পাড়া। গ্রাম থেকে শহর, বাসভবন থেকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। দরজার সামনে ছোট ছোট মাটির প্রদীপের উজ্জ্বল আলো টিমটিম করে জ্বলতো। কিন্তু বদলেছে সময়। সময়ের সাথে সাথে বদলে গেছে মানুষের পছন্দ। এখন বিজলি বাতির আলো ও নানা ধরনের চিনা টুনি বাল্বের আলো। তার ওপর অগ্নিমূল্য সরিষার তেলও। কোথাও যেন হারিয়ে যাচ্ছে মাটির প্রদীপের আলো। 

আরও পড়ুন: ঈদের নামায চলাকালীন বৃদ্ধের গলায় চাকুর কোপ: হরিশ্চন্দ্রপুরে গ্রেফতার অভিযুক্ত যুবক

কুমোরপাড়ায় অন্যান্য বছর সবাই এই সময় খাওয়া-দাওয়া ভুলে ব্যস্ত থাকতেন মাটির প্রদীপ তৈরীর কাজে। কিন্তু এ বছর মাটির প্রদীপের চাহিদা বাজারে না থাকায় বেদনার সুর বাজছে উত্তর মালদা সহ পুরো জেলা জুড়ে। রতুয়া-১ ব্লকের মনিপুরের মৃৎশিল্পী প্রশান্ত পাল কিংবা গাজোলের আলালের সুকুমার পাল জানিয়েছেন, বাজারে মাটির প্রদীপের প্রচলন টিকিয়ে রাখার জন্যই আমরা মাটির প্রদীপ তৈরি করছি। তবে বাজারে মাটির প্রদীপের চাহিদা না থাকায় সবার কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

আরও পড়ুন: দাম ছয় হাজার টাকা কেজি! দুর্মূল্য মিয়াজাকি আম ফলিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন ঝন্টু সরকার

আরও পড়ুন: মালদায় করোনা আক্রান্ত ২ বছরের শিশু