কেন্দ্রের রোহিঙ্গা-বিতাড়ন নিয়ে সরব জামায়াত

- আপডেট : ১৬ মে ২০২৫, শুক্রবার
- / 180
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: জামায়াত-ই-ইসলামি হিন্দের সহ-সভাপতি অধ্যাপক সেলিম ইঞ্জিনিয়ার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অমানবিক বিতাড়নের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ও এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।গত সপ্তাহে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নৌযানে করে নিয়ে গিয়ে মায়ানমারের জলসীমায় নামিয়ে দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। ওই ঘটনার নিন্দা করেছেন রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ টম অ্যান্ড্রিউস। তিনি ওই ঘটনাকে বিবেকহীন ও অগ্রহণযোগ্য কর্মকাণ্ড বলে অভিহিত করেছেন।
প্রফেসর সেলিম ইঞ্জিনিয়ার বলেছেন, নারী, শিশু, বৃদ্ধ এবং দুর্বলসহ ৪৩ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে জোরপূর্বক বিতাড়নের অভিযোগে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। একাধিক বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদন অনুসারে, বিতাড়িত শরণার্থীদের চোখ বেঁধে নয়াদিল্লি থেকে পোর্ট ব্লেয়ারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। একটি নিরাপদ দেশে স্থানান্তরের মিথ্যা অজুহাতে শরণার্থীদের নিয়ে গিয়ে তীরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। সেটাও আবার মায়ানমারে, যেখান থেকে তারা গণহত্যার হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে এসেছিল। এটি ভারতের সাংবিধানিক এবং মানবিক বাধ্য-বাধকতার ক্ষেত্রে এক লজ্জাজনক অধ্যায়। তিনি আরও বলেন, আমরা মোদি সরকারকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে ভারত নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘের কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী।
সুতরাং ওই ব্যক্তিদের এমন জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না যেখানে তারা জীবন বা স্বাধীনতার জন্য হুমকির সম্মুখীন হবে। আন্তর্জাতিক বিচার আদালত রোহিঙ্গাদেরকে স্বীকৃতি দিয়েছে গণহত্যার শিকার হিসাবে। বাংলাদেশের মতো ছোট রাষ্ট্র যেখানে ১২ লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে পারছে সেখানে মোদি সরকার কেন সামান্য সংখ্যক রোহিঙ্গার সঙ্গে এমন নৃশংস আচরণ করছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে দেশ-বিদেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলি।
গত সপ্তাহে কর্তৃপক্ষ কয়েক ডজন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে দিল্লিতে আটক করে। এদের মধ্যে প্রায় ৪৩ জনকে চোখ বেঁধে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাদেরকে ভারতীয় নৌযানে ওঠানো হয়। নৌযানটি আন্দামান সাগরে প্রবেশ করলে ওই শরণার্থীদেরকে লাইফ জ্যাকেট দিয়ে জলে নামতে বাধ্য করা হয়। তাদেরকে সাঁতরে মায়ানমারের একটি দ্বীপে যেতে বলে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। ধারণা করা হচ্ছে, তারা বেঁচে আছেন। তবে তাদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে জানা যায়নি। ডিসেম্বরে ভারতে প্রায় ২২ হাজার ৫০০ জন নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ছিল।