০১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্কলারশিপে শুরু হচ্ছে আবেদন

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৭ মে ২০২৫, শনিবার
  • / 772

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিস্তৃত প্রাঙ্গণে প্রবেশের মুহূর্তে ছাত্রছাত্রীদের মনে থাকে একরাশ স্বপ্ন আর নতুন কিছু করার উদ্যম। কিন্তু অনেক সময়ই আর্থিক প্রতিবন্ধকতা এই স্বপ্নপূরণের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং বিভিন্ন সংস্থার একাধিক স্কলারশিপ প্রকল্প ছাত্রছাত্রীদের জন্য আশার আলো নিয়ে আসে। এই স্কলারশিপগুলি শুধুমাত্র আর্থিক সহায়তা প্রদান করে তাই নয়, ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণে উৎসাহিত করে এবং তাদের ভবিষ্যতের পথকে মসৃণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

২০২৫ সালে উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্কলারশিপের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে স্কলারশিপের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। স্কলারশিপ সংস্থাগুলির তথ্য উল্লেখ করা হল।

আরও পড়ুন: শিক্ষকের মারে দৃষ্টিশক্তি হারাল এক খুদে পড়ুয়া, কর্নাটকের সরকারি স্কুলের ঘটনা

স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট-কাম-মিনস স্কলারশিপ: পশ্চিমবঙ্গের পড়ুয়াদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় এই স্কলারশিপটি রাজ্য সরকারের উচ্চশিক্ষা দফতরের অধীনস্থ। যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফল করে স্নাতক স্তরে (যেমন , বি.এ, বি.এসসি, বি.কম, ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিক্যাল, নার্সিং ইত্যাদি) ভর্তি হয়, তারা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারে।

আরও পড়ুন: চুক্তিভিক্তিক শিক্ষক নিয়োগে নতুন নিয়ম, ১০ শতাংশের সীমা প্রত্যাহার ইউজিসির

নবান্ন স্কলারশিপ (মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল): যে সকল ছাত্রছাত্রী স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের জন্য প্রয়োজনীয় ৬০শতাংশ  নম্বর পায়নি, কিন্তু উচ্চশিক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন, তাদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে এই স্কলারশিপ দেওয়া হয়। উচ্চমাধ্যমিক, ৫০ শতাংশের উপর নম্বর থাকলে আবেদন করা যায়।

আরও পড়ুন: স্কলারশিপের আবেদন জমা পড়ল ৪২ লক্ষ, টার্গেট ৪৫ লক্ষ, জানালো বিত্ত নিগম

ওয়েসিস স্কলারশিপ: পশ্চিমবঙ্গের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর এবং আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের পক্ষ থেকে তপশিলি জাতি (এসসি), তপশিলি উপজাতি (এসটি) এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত (ওবিসি) ছাত্রছাত্রীদের জন্য এই স্কলারশিপের ব্যবস্থা রয়েছে। এটি পোস্ট-ম্যাট্রিক স্কলারশিপের আওতায় পড়ে। উচ্চমাধ্যমিকের পর আবেদন করা যায়। জুনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু।

ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ : পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন এবং পার্সি) ছাত্রছাত্রীদের জন্য রাজ্য সরকারের সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের এই স্কলারশিপ প্রকল্পটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

কাইন্ড স্কলারশিপ: এটি একটি বেসরকারি স্কলারশিপ যা বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থা এবং ব্যক্তির সহায়তায় প্রদান করা হয়। এটি সারা ভারতের পড়ুয়াদের জন্য উপলব্ধ, তবে পশ্চিমবঙ্গের পড়ুয়ারাও আবেদন করতে পারে।

উচ্চশিক্ষা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত উন্নতিই নয়, সমাজ ও দেশের প্রগতির সোপান। আর্থিক অসংগতি যেন কোনও মেধাবী ছাত্র বা ছাত্রীর উচ্চশিক্ষার পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই লক্ষ্যে এই স্কলারশিপগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যোগ্য ছাত্রছাত্রীদের উচিত এই সুযোগগুলির সদ্ব্যবহার করে নিজেদের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করা।

এ ছাড়া রয়েছে ‘ন্যাশনাল স্কলারশিপ (এনএসপি)’। প্রথম শ্রেণি থেকে পিএইচডি পর্যন্ত। স্নাতকের ছাত্রীদের ৮৫ শতাংশের উপর মার্কস থাকলে ‘লোরেল স্কলারশিপ’-এ আবেদন করা হয়। উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের জন্য ‘সীতারাম জিন্ডাল স্কলারশিপ’। মাধ্যমিক উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের জন্য ‘আলো স্কলারশিপ’।

জগদীশচন্দ্র বোস স্কলারশিপের ১ জুন থেকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আবেদন করা হয়, এই স্কলারশিপে পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়।  দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণদের জন্য আবেদন শুরু হবে ‘স্বামী বিবেকান¨ স্কলারশিপে’।  অক্টোবর  মাসে আবেদন শুরু হবে। রয়েছে ‘পারস্পরিক স্কলারশিপ’। ‘আনন্ত মেরিট স্কলারশিপ’ ( মাধ্যমিক- উচ্চমাধ্যমিক)।

জিডি বিড়লা স্কলারশিপে ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশে নম্বর থাকা স্নাতকের পড়ুয়ারা আবেদন করতে পারে। ১৫ জুলাই আবেদনের শেষ তারি’। ‘প্রিয়ংবদা বিড়লা স্কলারশিপ’। কেসি মহিন্দ্রা ( দশম-দ্বাদশ শ্রেণির)। এফএইএ স্কলারশিপ। এ ছাড়া রয়েছে কন্যাশ্রী’র কে-১, কে-২, কে-৩। এইচডিএফসি স্কলারশিপে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা আবেদন করতে পারবে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের জন্য রয়েছে ‘ মাওলানা আজাদ ন্যাশনাল স্কলারশিপ’, জুন মাসে আবেদন শুরু, চলবে নভেম্বর মাস পর্যন্ত।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্কলারশিপে শুরু হচ্ছে আবেদন

আপডেট : ১৭ মে ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিস্তৃত প্রাঙ্গণে প্রবেশের মুহূর্তে ছাত্রছাত্রীদের মনে থাকে একরাশ স্বপ্ন আর নতুন কিছু করার উদ্যম। কিন্তু অনেক সময়ই আর্থিক প্রতিবন্ধকতা এই স্বপ্নপূরণের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং বিভিন্ন সংস্থার একাধিক স্কলারশিপ প্রকল্প ছাত্রছাত্রীদের জন্য আশার আলো নিয়ে আসে। এই স্কলারশিপগুলি শুধুমাত্র আর্থিক সহায়তা প্রদান করে তাই নয়, ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণে উৎসাহিত করে এবং তাদের ভবিষ্যতের পথকে মসৃণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

২০২৫ সালে উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্কলারশিপের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে স্কলারশিপের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। স্কলারশিপ সংস্থাগুলির তথ্য উল্লেখ করা হল।

আরও পড়ুন: শিক্ষকের মারে দৃষ্টিশক্তি হারাল এক খুদে পড়ুয়া, কর্নাটকের সরকারি স্কুলের ঘটনা

স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট-কাম-মিনস স্কলারশিপ: পশ্চিমবঙ্গের পড়ুয়াদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় এই স্কলারশিপটি রাজ্য সরকারের উচ্চশিক্ষা দফতরের অধীনস্থ। যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফল করে স্নাতক স্তরে (যেমন , বি.এ, বি.এসসি, বি.কম, ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিক্যাল, নার্সিং ইত্যাদি) ভর্তি হয়, তারা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারে।

আরও পড়ুন: চুক্তিভিক্তিক শিক্ষক নিয়োগে নতুন নিয়ম, ১০ শতাংশের সীমা প্রত্যাহার ইউজিসির

নবান্ন স্কলারশিপ (মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল): যে সকল ছাত্রছাত্রী স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের জন্য প্রয়োজনীয় ৬০শতাংশ  নম্বর পায়নি, কিন্তু উচ্চশিক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন, তাদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে এই স্কলারশিপ দেওয়া হয়। উচ্চমাধ্যমিক, ৫০ শতাংশের উপর নম্বর থাকলে আবেদন করা যায়।

আরও পড়ুন: স্কলারশিপের আবেদন জমা পড়ল ৪২ লক্ষ, টার্গেট ৪৫ লক্ষ, জানালো বিত্ত নিগম

ওয়েসিস স্কলারশিপ: পশ্চিমবঙ্গের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর এবং আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের পক্ষ থেকে তপশিলি জাতি (এসসি), তপশিলি উপজাতি (এসটি) এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত (ওবিসি) ছাত্রছাত্রীদের জন্য এই স্কলারশিপের ব্যবস্থা রয়েছে। এটি পোস্ট-ম্যাট্রিক স্কলারশিপের আওতায় পড়ে। উচ্চমাধ্যমিকের পর আবেদন করা যায়। জুনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু।

ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ : পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন এবং পার্সি) ছাত্রছাত্রীদের জন্য রাজ্য সরকারের সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের এই স্কলারশিপ প্রকল্পটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

কাইন্ড স্কলারশিপ: এটি একটি বেসরকারি স্কলারশিপ যা বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থা এবং ব্যক্তির সহায়তায় প্রদান করা হয়। এটি সারা ভারতের পড়ুয়াদের জন্য উপলব্ধ, তবে পশ্চিমবঙ্গের পড়ুয়ারাও আবেদন করতে পারে।

উচ্চশিক্ষা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত উন্নতিই নয়, সমাজ ও দেশের প্রগতির সোপান। আর্থিক অসংগতি যেন কোনও মেধাবী ছাত্র বা ছাত্রীর উচ্চশিক্ষার পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই লক্ষ্যে এই স্কলারশিপগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যোগ্য ছাত্রছাত্রীদের উচিত এই সুযোগগুলির সদ্ব্যবহার করে নিজেদের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করা।

এ ছাড়া রয়েছে ‘ন্যাশনাল স্কলারশিপ (এনএসপি)’। প্রথম শ্রেণি থেকে পিএইচডি পর্যন্ত। স্নাতকের ছাত্রীদের ৮৫ শতাংশের উপর মার্কস থাকলে ‘লোরেল স্কলারশিপ’-এ আবেদন করা হয়। উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের জন্য ‘সীতারাম জিন্ডাল স্কলারশিপ’। মাধ্যমিক উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের জন্য ‘আলো স্কলারশিপ’।

জগদীশচন্দ্র বোস স্কলারশিপের ১ জুন থেকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আবেদন করা হয়, এই স্কলারশিপে পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়।  দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণদের জন্য আবেদন শুরু হবে ‘স্বামী বিবেকান¨ স্কলারশিপে’।  অক্টোবর  মাসে আবেদন শুরু হবে। রয়েছে ‘পারস্পরিক স্কলারশিপ’। ‘আনন্ত মেরিট স্কলারশিপ’ ( মাধ্যমিক- উচ্চমাধ্যমিক)।

জিডি বিড়লা স্কলারশিপে ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশে নম্বর থাকা স্নাতকের পড়ুয়ারা আবেদন করতে পারে। ১৫ জুলাই আবেদনের শেষ তারি’। ‘প্রিয়ংবদা বিড়লা স্কলারশিপ’। কেসি মহিন্দ্রা ( দশম-দ্বাদশ শ্রেণির)। এফএইএ স্কলারশিপ। এ ছাড়া রয়েছে কন্যাশ্রী’র কে-১, কে-২, কে-৩। এইচডিএফসি স্কলারশিপে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা আবেদন করতে পারবে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের জন্য রয়েছে ‘ মাওলানা আজাদ ন্যাশনাল স্কলারশিপ’, জুন মাসে আবেদন শুরু, চলবে নভেম্বর মাস পর্যন্ত।