০১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবশেষে প্রাচীনতম রেশমের পাণ্ডুলিপি ফিরে পেল চিন

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৭ মে ২০২৫, শনিবার
  • / 114

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: প্রায় ৮০ বছর পর চিন ফিরে পেল তাদের এক অমূল্য ঐতিহাসিক সম্পদ; বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন রেশমের পাণ্ডুলিপি। ডাকাতদের হাত ঘুরে ১৯৪৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাচার হওয়া ‘জিদানকু সিল্ক পাণ্ডুলিপি’র দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড অবশেষে চিনের জাতীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রশাসনের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার ওয়াশিংটনে চিনা দূতাবাসে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে এই পাণ্ডুলিপি হস্তান্তর করা হয়। এই পাণ্ডুলিপিগুলোর নাম উক্সিং লিং এবং গংশো ঝান। এগুলি খ্রিস্টপূর্ব ৪র্থ থেকে ৩য় শতাধীর ‘যুদ্ধরত রাজ্য’ যুগের একমাত্র সিল্ক পাণ্ডুলিপি হিসেবে স্বীকৃত। এই দু’টি পাণ্ডুলিপির আদি আবিষ্কার ঘটে ১৯৪২ সালে,  চিনের হুনান প্রদেশের চাংশা অঞ্চলের ‘জিদানকু’ এলাকায় একটি সিল করা সমাধি থেকে। ওই সমাধি ডাকাতরা লুট করে পাণ্ডুলিপিগুলি নিয়ে পালায়, এবং পরে এগুলি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যায়।

আরও পড়ুন: চিনে বাদুড়ের দেহে মিলল নতুন করোনা ভাইরাস

চিনের রাষ্ট্রদূত শি ফেং বলেন, ‘এই প্রাচীন রেশমের পাণ্ডুলিপিতে ৯০০-রও বেশি চিনা অক্ষর, পৌরাণিক কাহিনি ও সংখ্যাতত্ত্বের বিবরণ রয়েছে। এটি প্রাচীন চিনা সাহিত্য, দর্শন ও সভ্যতার এক গভীর প্রতিফলন।’ প্রসঙ্গত, এই পাণ্ডুলিপিগুলিকে অনেকে মৃতসাগর পাণ্ডুলিপির (কুমরান গুহা পাণ্ডুলিপি) চেয়েও প্রাচীন মনে করেন।

আরও পড়ুন: ফের করোনার ভ্রূকুটি চিনে, বাতিল বিমান, বন্ধ স্কুল

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট প্রত্নতত্ত্ববিদ অধ্যাপক লি লিং বলেন, ‘জিদানকু পাণ্ডুলিপি প্রাচীন চিনা জাদুবিদ্যা ও ধ্যানচিন্তার অন্তর্দৃষ্টি অনুধাবনের এক অনন্য উপায়। এটি চিনা সংস্কৃতির ডেড সি স্ক্রোল বলেই গণ্য হতে পারে।’ এখনও পর্যন্ত তিন খণ্ডে বিভক্ত জিদানকু সিল্ক পাণ্ডুলিপির প্রথম খণ্ড, সিশি লিং, ব্যক্তিগত মালিকানাধীন থাকায় চিনে ফেরত আসেনি। তবে সে দেশের ঐতিহ্য সংরক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, তারা প্রথম খণ্ড ফেরত আনার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। চিনের জাতীয় জাদুঘরে ২০২৫ সালের জুলাই মাসে এই রেশমের পাণ্ডুলিপিগুলি প্রথমবারের মতো জনসাধারণের জন্য প্রদর্শিত হবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অবশেষে প্রাচীনতম রেশমের পাণ্ডুলিপি ফিরে পেল চিন

আপডেট : ১৭ মে ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: প্রায় ৮০ বছর পর চিন ফিরে পেল তাদের এক অমূল্য ঐতিহাসিক সম্পদ; বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন রেশমের পাণ্ডুলিপি। ডাকাতদের হাত ঘুরে ১৯৪৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাচার হওয়া ‘জিদানকু সিল্ক পাণ্ডুলিপি’র দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড অবশেষে চিনের জাতীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রশাসনের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার ওয়াশিংটনে চিনা দূতাবাসে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে এই পাণ্ডুলিপি হস্তান্তর করা হয়। এই পাণ্ডুলিপিগুলোর নাম উক্সিং লিং এবং গংশো ঝান। এগুলি খ্রিস্টপূর্ব ৪র্থ থেকে ৩য় শতাধীর ‘যুদ্ধরত রাজ্য’ যুগের একমাত্র সিল্ক পাণ্ডুলিপি হিসেবে স্বীকৃত। এই দু’টি পাণ্ডুলিপির আদি আবিষ্কার ঘটে ১৯৪২ সালে,  চিনের হুনান প্রদেশের চাংশা অঞ্চলের ‘জিদানকু’ এলাকায় একটি সিল করা সমাধি থেকে। ওই সমাধি ডাকাতরা লুট করে পাণ্ডুলিপিগুলি নিয়ে পালায়, এবং পরে এগুলি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যায়।

আরও পড়ুন: চিনে বাদুড়ের দেহে মিলল নতুন করোনা ভাইরাস

চিনের রাষ্ট্রদূত শি ফেং বলেন, ‘এই প্রাচীন রেশমের পাণ্ডুলিপিতে ৯০০-রও বেশি চিনা অক্ষর, পৌরাণিক কাহিনি ও সংখ্যাতত্ত্বের বিবরণ রয়েছে। এটি প্রাচীন চিনা সাহিত্য, দর্শন ও সভ্যতার এক গভীর প্রতিফলন।’ প্রসঙ্গত, এই পাণ্ডুলিপিগুলিকে অনেকে মৃতসাগর পাণ্ডুলিপির (কুমরান গুহা পাণ্ডুলিপি) চেয়েও প্রাচীন মনে করেন।

আরও পড়ুন: ফের করোনার ভ্রূকুটি চিনে, বাতিল বিমান, বন্ধ স্কুল

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট প্রত্নতত্ত্ববিদ অধ্যাপক লি লিং বলেন, ‘জিদানকু পাণ্ডুলিপি প্রাচীন চিনা জাদুবিদ্যা ও ধ্যানচিন্তার অন্তর্দৃষ্টি অনুধাবনের এক অনন্য উপায়। এটি চিনা সংস্কৃতির ডেড সি স্ক্রোল বলেই গণ্য হতে পারে।’ এখনও পর্যন্ত তিন খণ্ডে বিভক্ত জিদানকু সিল্ক পাণ্ডুলিপির প্রথম খণ্ড, সিশি লিং, ব্যক্তিগত মালিকানাধীন থাকায় চিনে ফেরত আসেনি। তবে সে দেশের ঐতিহ্য সংরক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, তারা প্রথম খণ্ড ফেরত আনার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। চিনের জাতীয় জাদুঘরে ২০২৫ সালের জুলাই মাসে এই রেশমের পাণ্ডুলিপিগুলি প্রথমবারের মতো জনসাধারণের জন্য প্রদর্শিত হবে।