০১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাড়ি ফিরলেন পাক রেঞ্জার্সদের হাতে ২২ দিন বন্দি থাকা বাংলার জওয়ান পূর্ণম

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২৩ মে ২০২৫, শুক্রবার
  • / 128

জওয়ানদের ভয় পেতে নেই: বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দেশে ফেরার ৯ দিন পর নিজের বাড়ি ফিরছেন পাকিস্তানে বন্দি বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ। শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটের পর হাওড়া স্টেশনের ১৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছন তিনি। তাঁকে নিতে এলেন রিষড়া পুরসভার চেয়ারম্যান। তিনি আবার পূর্ণমের ঘরে ফেরাকে স্মরণ করে রাখতে আনন্দ মিছিলের আয়োজন করেছেন। গোটা এলাকাতেই কার্যত উৎসবের মেজাজ। স্টেশনে পা দিতেই ফুলের মালা নিয়ে এগিয়ে এলেন শুভাকাঙ্খীরা। হাওড়া স্টেশনে তখন যেন একবারে উৎসবের মেজাজ।

পাক রেঞ্জার্সদের হাতে ২২ দিন আটকে ছিলেন বাংলার জওয়ান পূর্ণম সাউ।  দীর্ঘ সঙ্কট কাটিয়ে কয়েকদিন আগেই মুক্ত হন পূর্ণম। ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ফেরেন দেশে। তবে এত বড় বিপদের পরেও নিজের কর্তব্যে অনড় পূর্ণম। তিনি বলেন, “ফের কাজে যাব। আগেও কখনও ভয় পাইনি,  এখনও পাচ্ছি না, পরেও পাব না।”

আরও পড়ুন: নাগপুরের এক মহিলাকে ভারতে পাঠাল পাক রেঞ্জার্স, চর কিনা তদন্তে পুলিশ

বাড়ি ফিরলেন পাক রেঞ্জার্সদের হাতে ২২ দিন বন্দি থাকা বাংলার জওয়ান পূর্ণম

হাওড়া স্টেশন থেকে সড়কপথে রিষড়া পৌঁছনোর কথা পূর্ণমের। সেখানে অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রজনী। এদিন বলেন, “গত ২৩ এপ্রিল পাকিস্তানে বন্দি হন স্বামী। তার আগের মাসে বাড়ি এসেছিলেন। সেই হিসাব করলে প্রায় দু’মাস পর দেখা হবে। বাড়িতে যেন অকাল দীপাবলি। ঠিক যেন রাম আসছেন। খুব ভালো লাগছে। বাড়িতে কেক আনা হয়েছে। কেক কাটা হবে। রান্নাবান্না হচ্ছে। লুচি, তরকারি, মিষ্টি খেতে ভালোবাসেন। তাই তাঁর পছন্দমতো রান্নাবান্না হচ্ছে।” পূর্ণমের বছর আটেকের ছেলেও বাবার অপেক্ষায় উদগ্রীব। বাবা ফিরলে খেলা করবে বলেই জানিয়েছে সে।

মিষ্টিমুখ করার পরে পূর্ণম বলেন, ‘‘আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ। সকলের আশীর্বাদে দ্বিতীয় জন্ম হল আমার। পরিবারের সকলকে দেখতে পেলাম।’’ বাড়ি ফেরার পথে পূর্ণম আরও বলেন, ‘‘আমাদের জওয়ানদের ভয় পেতে নেই। আমাদের দিনরাত এক করে সীমান্ত পাহারা দিতে হয়। আমরা ভয় পেলে দেশবাসীর কী হবে! আমি ভয় পাইনি। তবে বাড়ির জন্য চিন্তা হয়েছিল।’’

বাড়িতে পূর্ণমের স্ত্রী বলেন, ‘‘এত দিন পরে ও বাড়ি ফিরবে, খুব ভাল লাগছে। কিন্তু ওর কাছে ফোন না থাকায় কথা বলতে পারিনি। ঠিক কখন ফিরছে, জানি না। দশ দিন আগে আমরা জেনে গিয়েছিলাম ভারতে ফিরেছে। আজ বাড়ি ফিরলে ওর প্রিয় লুচি-তরকারি, দই-মিষ্টির আয়োজন হবে। কেক কাটা হবে। আজ একাদশী, তাই কোনও আমিষ রান্না হবে না বাড়িতে। মাংস হবে রবিবার।’’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বাড়ি ফিরলেন পাক রেঞ্জার্সদের হাতে ২২ দিন বন্দি থাকা বাংলার জওয়ান পূর্ণম

আপডেট : ২৩ মে ২০২৫, শুক্রবার

জওয়ানদের ভয় পেতে নেই: বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দেশে ফেরার ৯ দিন পর নিজের বাড়ি ফিরছেন পাকিস্তানে বন্দি বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ। শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটের পর হাওড়া স্টেশনের ১৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছন তিনি। তাঁকে নিতে এলেন রিষড়া পুরসভার চেয়ারম্যান। তিনি আবার পূর্ণমের ঘরে ফেরাকে স্মরণ করে রাখতে আনন্দ মিছিলের আয়োজন করেছেন। গোটা এলাকাতেই কার্যত উৎসবের মেজাজ। স্টেশনে পা দিতেই ফুলের মালা নিয়ে এগিয়ে এলেন শুভাকাঙ্খীরা। হাওড়া স্টেশনে তখন যেন একবারে উৎসবের মেজাজ।

পাক রেঞ্জার্সদের হাতে ২২ দিন আটকে ছিলেন বাংলার জওয়ান পূর্ণম সাউ।  দীর্ঘ সঙ্কট কাটিয়ে কয়েকদিন আগেই মুক্ত হন পূর্ণম। ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ফেরেন দেশে। তবে এত বড় বিপদের পরেও নিজের কর্তব্যে অনড় পূর্ণম। তিনি বলেন, “ফের কাজে যাব। আগেও কখনও ভয় পাইনি,  এখনও পাচ্ছি না, পরেও পাব না।”

আরও পড়ুন: নাগপুরের এক মহিলাকে ভারতে পাঠাল পাক রেঞ্জার্স, চর কিনা তদন্তে পুলিশ

বাড়ি ফিরলেন পাক রেঞ্জার্সদের হাতে ২২ দিন বন্দি থাকা বাংলার জওয়ান পূর্ণম

হাওড়া স্টেশন থেকে সড়কপথে রিষড়া পৌঁছনোর কথা পূর্ণমের। সেখানে অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রজনী। এদিন বলেন, “গত ২৩ এপ্রিল পাকিস্তানে বন্দি হন স্বামী। তার আগের মাসে বাড়ি এসেছিলেন। সেই হিসাব করলে প্রায় দু’মাস পর দেখা হবে। বাড়িতে যেন অকাল দীপাবলি। ঠিক যেন রাম আসছেন। খুব ভালো লাগছে। বাড়িতে কেক আনা হয়েছে। কেক কাটা হবে। রান্নাবান্না হচ্ছে। লুচি, তরকারি, মিষ্টি খেতে ভালোবাসেন। তাই তাঁর পছন্দমতো রান্নাবান্না হচ্ছে।” পূর্ণমের বছর আটেকের ছেলেও বাবার অপেক্ষায় উদগ্রীব। বাবা ফিরলে খেলা করবে বলেই জানিয়েছে সে।

মিষ্টিমুখ করার পরে পূর্ণম বলেন, ‘‘আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ। সকলের আশীর্বাদে দ্বিতীয় জন্ম হল আমার। পরিবারের সকলকে দেখতে পেলাম।’’ বাড়ি ফেরার পথে পূর্ণম আরও বলেন, ‘‘আমাদের জওয়ানদের ভয় পেতে নেই। আমাদের দিনরাত এক করে সীমান্ত পাহারা দিতে হয়। আমরা ভয় পেলে দেশবাসীর কী হবে! আমি ভয় পাইনি। তবে বাড়ির জন্য চিন্তা হয়েছিল।’’

বাড়িতে পূর্ণমের স্ত্রী বলেন, ‘‘এত দিন পরে ও বাড়ি ফিরবে, খুব ভাল লাগছে। কিন্তু ওর কাছে ফোন না থাকায় কথা বলতে পারিনি। ঠিক কখন ফিরছে, জানি না। দশ দিন আগে আমরা জেনে গিয়েছিলাম ভারতে ফিরেছে। আজ বাড়ি ফিরলে ওর প্রিয় লুচি-তরকারি, দই-মিষ্টির আয়োজন হবে। কেক কাটা হবে। আজ একাদশী, তাই কোনও আমিষ রান্না হবে না বাড়িতে। মাংস হবে রবিবার।’’